বঙ্গবন্ধুই শক্তি, বঙ্গবন্ধুই মুক্তি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin


-সুজাত মনসুর

১৫ই আগষ্ট ২০২৪ সাল যে এমনিভাবে পালিত হবে কেউ হয়তো দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। অথচ কল্পনার অতীত হলেও হয়েছে। হঠাৎ করেই বাংলাদেশর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক প্রেক্ষাপট শুধু বদলেই যায়নি, পুরোপুরি উল্টোপথে চলতে শুরু করেছে। এই চলার শেষ কোথায়, কোন দিগন্তে তা কেবল যাদের হাতে এখন বাংলাদেশ নামক গাড়ির স্টিয়ারিং তারা ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। তবে যাত্রার শুরুতেই চালকের গন্তব্যের যে আভাস, ইঙ্গিত পাওয়া গেলো তাতে মনে হচ্ছে গন্তব্য আসলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত গন্তব্যের ঠিক উল্টোদিকে। অর্থাৎ একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সমতাভিত্তিক, গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মানের বিপরীতে। আমরা চলেছি একটি অন্ধকারে দিকে। তার প্রমাণ পেলাম তথাকথিত ছাত্র জনতার আন্দোলনের নায়ক কিংবা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’র প্রবক্তাদের কথাবার্তা ও দেশব্যাপী সংঘটিত সহিংস তান্ডব, লুটতরাজ, জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর আর মানুষ খুন থেকে।

‘বিপ্লবী’দের কর্মকাণ্ডের সূচনাই হয়েছে গণভবন লুটপাট আর বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার মধ্যদিয়ে। গণভবনে লুটপাট অত্যন্ত গর্হিত ও ন্যাক্কারজনক হলেও ধরেই নিলাম বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি ক্ষোভের কারনে ও আমাদের লুটপাট ও তঞ্চক মনোবৃত্তির কারনে লোভ সামলাতে না পেরে তথাকথিত বিপ্লবীরা করেছে। ফেইসবুকে লুটপাটের এমন চিত্রও জাতি দেখেছে যারফলো জাতি হিসাবে বিশ্বে আমরা নিকৃষ্ট মনমানসিকতার বলেই চিহ্নিত হবো যুগের পর যুগ। অথচ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগেও আমরা যে এমন প্রকৃতির তা বিশ্ববাসী জানতো না। তবে আমরা যে ভিক্ষুকের জাতি এই বদনাম সবসময়ই ছিল। ভিক্ষা ও ঋণ করে জাতিগত ও ব্যক্তিগতভাবেই জীবিকা নির্বাহ করতাম এটাই স্বতঃসিদ্ধ ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গত ১৫/ ১৬ বছরে কেবল সেই বদনামই গোছাননি, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ করে প্রমাণ করে দিয়েছেন বাঙালি জাতি হিসাবে আমাদের সাহস ও সক্ষমতা। আর এই সাহস ও সক্ষমতা পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেনে নিতে পারেনি বলেই তাঁকে ক্ষমতা থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছে। বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁকেও হয়তো হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারনে।

গণভবনে লুটপাটের কারণ না হয় বুঝলাম, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বাড়ি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষিত আছে এমন স্থাপনাগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া এবং বঙ্গবন্ধু, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন-এর ভাস্কর্য ভাঙচুরের মধ্যদিয়ে কিসের ঈঙ্গিত আমরা পাই? বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক, চেতনার উৎস। বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু ভবন মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া মানে আর গোটা বাংলাদেশকেই জ্বালিয়ে দেওয়া একই কথা। তাই বোধহয় তথাকথিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ওরা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলে আখ্যায়িত করে। কেননা আমেরিকা ও তার এদেশীয় সাঙ্গাতরা যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কখনোই মেনে নেয়নি তা আবারও প্রমাণিত।

বঙ্গবন্ধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা এবং শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মেছেন, ভবনটিকে ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ বানিয়েছেন যাতে আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আত্মত্যাগ জেনে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে পারে। তাই হয়তো শেখ হাসিনার প্রতি ক্ষোভ ও আন্দোলনকে পুঁজি করে ঘাপটি মারা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে। কিন্তু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউল সাধক লালন ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হলো কেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল, বাউল সাধক লালন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বাঙালি সংস্কৃতির স্মারক, ধারক, বাহক, প্রতিভূ। তাঁরা বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুর মতো।
তাঁদের গান, কবিতা, শিল্পকর্মে ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবতার চিরন্তন বাণী ফুটে ওঠেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের সৃষ্টি ও কর্ম প্রেরণা জাগিয়েছে, শক্তি জুগিয়েছে। যেভাবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রেরণা ও শক্তির প্রধান উৎস ছিল, আছে এখনো। তাহলে কি আমরা ধরে নেব বঙ্গবন্ধুর বাড়ি জ্বালিয়ে ও ভাস্কর্য ভেঙেও আশ্বস্ত ও নিশ্চিত হতে পারেনি বলেই তারা রবীন্দ্রনাথ, লালন আর জয়নুলের ভাস্কর্য ভেঙেছে। কেবল নজরুলই আপাততঃ এই দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কেননা, তারা নজরুলকে ইসলামের কবি মনে করে। কিন্তু মুর্খরা এটা কি জানে না, কাজী নজরুল ইসলাম ইসলাম ও মুসলমানের কবি নন। তিনি নির্যাতিত মানুষের কবি। মানবতা আর সাম্যের কবি। সুতরাং নজরুলকে যতই মুসলমানদের কবি বানানোর চেষ্টা করা হউক না কেন, তা কি আদৌ সম্ভব? নজরুল নিজেই সে বেড়াজাল ছিন্ন করে আসবেন তাঁর সৃষ্টি গুণে।

শুধু যে বঙ্গবন্ধু, লালন, রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য ভেঙে শান্ত হয়েছে তা নয়। তারা ভেঙেছে বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য। নারি স্বাধীনতার অগ্রদূত মহিয়ষী বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য। এসব কিসের ইঙ্গিত বহন করে? এতে কি প্রমাণিত হয় না যে, ছাত্রদের আন্দোলনকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি আমাদেরকে একাত্তরের বীর গাথা ভুলিয়ে দিতে চায়। আমাদেরকে আলো থেকে অন্ধকার জগতের বাসিন্দা বানাতে চায়। নারীদের হয় রান্নাঘর কিংবা কেবলই শয্যাসঙ্গী অথবা ক্রীতদাস বানিয়ে রাখতে চায়। তাই তো ওরা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আগুন দেয়। বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, লালন, বীরশ্রেষ্ঠ আর বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ভাঙে। কারণ ওরাই যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি আর নারী প্রগতির প্রতিকৃত।

ইতিহাস স্বাক্ষী এ ধরনের অপচেষ্টা অতীতেও হয়েছে। মোনায়েম খান তার প্রভূ আইয়ুব খানকে খুশি করার জন্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল। যারা সাম্য ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মুসলমানদের কবি বানাতে ব্যস্ত, তাদের শাসনামলে অর্থাৎ পাকিস্তানি শাসনামলে নজরুলের সৌভাগ্য হয়নি কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে বসবাসের। বাংলাদেশ স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি উপাধি দিয়ে বঙ্গবন্ধু সসম্মানে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ধানমন্ডিতে তিনি কবি নজরুলের জন্য একটি বাড়ি বরাদ্দ দেন এবং সরকারের তরফ থেকে সমূদয় খরচ সরকার থেকে বহনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কবি নজরুল ইসলামকে এতই সম্মানিত করা হয়েছিল যে, বঙ্গবন্ধু নিজে কলকাতা গিয়ে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের গান যেমন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত, তেমনি নজরুলের কবিতাও আমাদের রণসঙ্গীত।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে নির্যাতন করেছে। জীবনের বারোটি বছর অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে। মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হত্যা করতে চেয়েছে। তবুও বঙ্গবন্ধু নতিস্বীকার করেননি। বাংলা ও বাঙালি মুক্তির প্রশ্নে আপোষ করেননি। বাংলা ও বাঙালিকে ভালোবেসে সপরিবারে জীবন দিয়েছেন। বাংলা ও বাঙালিকে অতিরিক্ত ভালোবাসাই তিনি ও তাঁর পরিবারের জন্য কাল হয়েছিল। পাকিস্তানিদের হাতে নয়, বাঙালিদের হাতেই বঙ্গবন্ধুকে জীবন দিতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে তাঁকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে একুশ বছর। একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বিকৃতকারিরা সফল হতে পারেনি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতিকে কলুষিত করতে পারেনি। এখনো আবার একই চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা সম্ভব কি? না সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু এমনই শক্তি তাকে শেষ করা যায় না। এ শক্তি অবিনশ্বর, অবিনাশী। যারাই বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে তারাই বরং ইতিহাস থেকে মুছে গিয়েছে। নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু এমনই মুক্তির বারতা যা ঘোর অন্ধকার আর প্রতিকূলতার বিপরীতে চির উদ্ভাসিত, চির ভাস্বর। বঙ্গবন্ধু মানেই বিশ্বের স্বাধীনতাকামি, শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের শক্তির উৎস, মুক্তির পথ প্রদর্শক। বঙ্গবন্ধু মানেই শান্তি ও প্রগতির মূর্তপ্রতীক।

প্রচলিত সংবিধান মোতাবেক পনেরোই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী জাতীয় শোকদিবস এবং বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। লেখাটি যখন লিখছি(১৩ই আগষ্ট, সোমবার) তখন পর্যন্ত, পনেরো আগষ্ট ‘জাতীয় শোকদিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হবে কি না এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। অথচ আর দুইদিন পরেই পনেরো আগষ্ট। অন্যদিকে, সোমবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার(অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে তা তিনি স্বীকার করেছেন। যদি তাই হয় তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে অসুবিধা তো থাকার কথা নয়। আশা করবো অন্ততপক্ষে সংবিধানের এই বিধানটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে ব্রতি হবে। আরেকটি বিষয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিপূর্ণভাবে সংস্কার করতে চাচ্ছেন। এটা একটা ভালো উদ্যোগ সন্দেহ নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে রক্তের আকরে লিখিত সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্র সংস্কার করা কি সম্ভব না উচিত? গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করবেন আর সংবিধান মানবেন না, তা তো হয় না।

এদিকে, জাতীয় শোকদিবসে সরকারি ছুটি বাতিল করা, আওয়ামী লীগকে বাতিল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখিন করার দাবি তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও হেফাজতসহ কয়েকটি সংগঠন। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও অনেক মামলা হবে এটাই স্বাভাবিক। আরও অনেক আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার হবেন সেটাও নিশ্চিত। যেহেতু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের নির্দেশেই দেশ পরিচালিত ও শাসিত হচ্ছে তাতে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় পনেরোই আগষ্টের আগে, আজ অথবা কাল জাতীয় শোকদিবসের সরকারি ছুটি বাতিল অবধারিত। জানিনা এর সূদুরপ্রসারি ফল কি হবে? তবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় বঙ্গবন্ধু বাঙালির মনে চির জাগ্রত। আইন করে যেমন তাঁর সম্মান বাড়ানো যাবে না, তেমনি আইন করে তাঁর সম্মান ক্ষুন্ন করা যাবে না, বাঙালির মন থেকে মোছা যাবে না।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কবি নির্মলেন্দু গুণ তাঁকে নিয়ে বহু কবিতা লিখেছেন। তারমধ্যে একটি কবিতার শিরোনাম ‘মুজিব মানে মুক্তি’। ঐতিহাসিক এই কবিতার কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে লেখাটির ইতি টানছি।

মুজিব মানে আর কিছু না
মুজিব মানে মুক্তি;
পিতার সাথে সন্তানের ঐ
না-লেখা প্রেম চুক্তি।

মুজিব মানে আর কিছু না
মুজিব মানে শক্তি;
গর্বিত শির বীর-বাঙালির
চিরকালের ভক্তি।

সুজাত মনসুর
লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০