* প্রক্সি যুদ্ধের নেতৃত্বে ড. ইউনূস
* যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে রশদ দিচ্ছে তুরস্ক
* ইউনূসের ঢাল হয়ে কাজ করছে মাহাফুজ, পিনাকী, কনক, ইলিয়াস, খলিলুর ও মাহমুদুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবসা ও নিজের পেশি শক্তির বিস্তার ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বঙ্গোপসাগরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা একমাত্র মোক্ষম পথ। আর এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রন বাগিয়ে নিতে সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের গলার কাঁটা হয়ে কাজ করেছে চীন এবং ভারত। বঙ্গোপসাগরে নিয়ন্ত্রণের ছড়ি ঘোরাতে বাংলাদেশের পরে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক টার্গেট ছিল মিয়ানমার রাখাইনের কিয়াউকফিউ বন্দর। যুক্তরাষ্ট্রের সেই আশাতেও ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বরে পানি ঢেলে দেয় চীন। তাই চীনকে শিক্ষা দিতে বাংলাদেশকে ঘুঁটি বানিয়ে দাবার কোর্টে আগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যা বাস্তবায়নে কাজ করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, দিচ্ছেন প্রক্সি যুদ্ধের নেতৃত্ব। আর যুক্তরাষ্ট্রের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে ইউনূসকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ইউটিউবার পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়া প্রবাসী ইলিয়াস হোসেন এবং প্রবাসী কনক সারোয়ারসহ একাধিক ব্যক্তিবর্গ।
দক্ষিন এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাখাইনের কিয়াউকফিউ সমুদ্রবন্দর। এই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর অংশ হিসেবে। এই প্রকল্পটি চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহরকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে। ফলে মালাক্কা প্রণালীর উপর নির্ভরতা কমবে এবং চীনের জ্বালানি ও বাণিজ্য পরিবহন আরও কার্যকর হবে। শুধু তাই নয়, বন্দরকে কেন্দ্র করে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে এক শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে। যা পরিপূর্ন আকারে বাস্তবায়ন হলে সম্পূর্ন আকারে নিস্প্রভ হয়ে যাবে দক্ষিন এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন।
২০০৯ সালে কিয়াউকফিউ বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য মিয়ানমারের সাথে আলোচনা শুরু করে চীন। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত দেশটির সাথে পাইপলাইন প্রক্কল্প থেকে শুরু করে এমওইউ স্বাক্ষর এবং কৌশলগত সমঝোতায় আসে চীন। এর পরপরই ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে আং সান সুচির নেতৃত্বাধীন দল এনএলডি। ভূ-রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন এবং হস্তক্ষেপে জয় লাভ করেন সুচি, যার এক মাত্র উদ্দেশ্য ছিল কিয়াউকফিউ বন্দরকে ঘিরে চীনের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে না দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের এই বাধায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বরে কিয়াউকফিউ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের জন্য চীনের সাথে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর করে সুচির সরকার। আর এ কারণেই ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে গ্রেফতার হন তিনি। তবে সুচি যুক্তরাষ্ট্রের এক মাত্র ঘুঁটি ছিলেন না, প্রকল্প নস্যাৎ করতে সুচি থাকাকালীনই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নতুন করে ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হয় রোহিঙ্গা নিধন প্রক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ছিল রাখাইনে অস্থিতিশীলতা তৈরির মাধ্যমে কিয়াউকফিউ প্রকল্পে সংকট তৈরি করা।

২০২৫ সালের ৪ মে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদন মোতাবেক বাংলাদেশে মোট ১৩ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছেন। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলাপের মধ্যেই ২৭ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে। পরবর্তিতে ২১ মে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান জানান, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রাণ সরবরাহের একটি ‘চ্যানেল বা পাথওয়ে’ তৈরির কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। করিডোরের আলোচনার মধ্যেই কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হস্তগত করার প্রক্রিয়া শুরু করেন ড. ইউনূস। কারো কথা শুনতেই তিনি নারাজ।
আভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, নিজের দেশের সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাথে সকল প্রকার আমদানি রফতানি বন্ধ করেছে ভারত। তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশে আসা পাকিস্তানি এবং আমেরিকান কার্গোতে অস্ত্রের চালান ছিল। যা মূলত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ, পাশাপাশি ভারত এবং মিয়ানমারকে আরও বেশি অস্থিতিশীল করতেই সরবরাহ করা হয়েছে।
ভূ-রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে অস্থিতশীলতা তৈরির জন্য অস্ত্র সরবরাহের একটা সুবর্ন সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ভারত সেই সুযোগ দেয় নি। কিন্তু রাখাইনে মানবিক করিডোর চালু হয়ে গেলে ভারত আরও বেশি বিপাকে পড়বে। তখন মিয়ানমার হয়ে সহজেই ভারতে অস্ত্র চালান ঢুকতে পারবে। যা ভারতকে অস্থিতিশীল করতে বড় ভূমিকা রাখবে। আর ভারত অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে এই দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা কিছু সময়ে বিষয় হয়ে দাড়াবে। ওই রাষ্ট্রকে পেট্রোনাইজ করবে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র। কেননা বঙ্গোপসাগর থাকবে তাদের দখলে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে. পাকিস্তানি কার্গোতে বাংলাদেশে আসা অস্ত্রের এই চালান এসেছে তুরস্ক থেকে। আর অস্ত্রের এই চালান সম্পর্কে সম্পূর্ন অবহিত আছেন ইউনূস এবং তার আস্থাভাজনরা।
ভূ-রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালে মার্কিন প্রতিনিধি ব্র্যাড শেরম্যান রাখাইনকে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ মার্কিনিরা চায় এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরির মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার। আর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল মার্কিন বিরোধিতা করার কারনে। মার্কিনিরা সুচির উত্থান করিয়েছিল যাতে চীন কিয়াউকফিউ বন্দর প্রকল্প হাতে না নিতে পারে। কিন্তু সুচি তাদের ব্যর্থ করায় সুচি আবার কারাগারে ফিরে গেছেন। আজকে বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ক্ষমতার মসনদে বসেছেন যেমনটা বসেছিলেন সুচি। উদ্দেশ্য একটাই। মার্কিনিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন। আর মার্কিন স্বার্থ হাসিল না করতে পারলে নোবেল জয়ী সুচির মত পতন হবে নোবেল জয়ী ইউনূসেরও।
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, দেশজুড়ে মব সৃষ্টির পাশাপাশি ইউনূসের পক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করছে পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন এবং কনক সারোয়ার। এই তিন জন কাজ করছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নির্দেশনায়। এমনকি ইউনূসের পদত্যাগ ঠেকাতে দেশে ফেরার ঘোষণাও দিয়েছিলেন মার্কিন ও পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার মদদপুষ্ট এই প্রবাসীরা। এদিকে নিরভর্যোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ইউনূসের ম্যান্ডেটে তুরস্ক সফর করে এসেছেন মাহমুদুর রহমান এবং তুরস্ক ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল তুরস্কের সামরিক বাহিনীর সাথে বৈঠক করা। বাংলাদেশে ‘মানবিক করিডোর’ বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে তুরস্কের থেকে আমদানি করা অস্ত্র ও ড্রোন আরকান আর্মির কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সেখানে আলোচনা হয়।
শুধু পিনাকী, ইলিয়াস এবং কনক নয়, মাহমুদুর রহমানের নির্দেশনায় কাজ করছেন ৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড খ্যাত অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমও। আভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, সম্প্রতি তুরস্ক সফর করেছেন মাহফুজ আলম। সেখানে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন এবং সামরিক সদস্যদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে।
এদিকে করিডোর বাস্তবায়ন, রাখাইন সংকট এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেনাবাহিনী ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা খলিল দাবি করেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডোর ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু সেনা প্রধানের বক্তব্য বলছে একেবারেই উল্টো কথা। সেনা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত অফিসার্স অ্যাড্রেস বৈঠকে করিডোর বিষয়ে সেনাবাহিনী কোনভাবেই রাজি নয় বলে স্পষ্ট বার্তা দেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।এই বক্তব্য স্পষ্ট ভাবেই প্রমাণ করে যে, করিডোর নিয়ে খলিলের বক্তব্য ছিলো ডাহা মিথ্যা কথা।
করিডোর বাস্তবায়নে ইলিয়াস, পিনাকী ভট্টাচার্য ও কনক সারওয়ার অনবড়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কথাগুলো সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি কনক সারওয়ারের তার স্ট্যাটাসে জানান, সেনাপ্রধানের বাসায় মধ্যরাতে উচ্চপদস্থ অফিসারদের জরুরি বৈঠক চলছে। তবে এর কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। এ স্ট্যাটাস কোনো প্রমাণ ছাড়াই সেনাবাহিনীকে সন্দেহের চোখে ফেলছে। এছাড়া ইউনুসকে সহমর্মিতা জানিয়ে এবং সেনাপ্রধান কে তাচ্ছিল্য করে একাধিক পোষ্ট করতে দেখা যায় কনক সরোয়ারকে(https://www.facebook.com/drkanaksarwarbd)।
পিনাকি তার সবশেষ স্ট্যাটাসে সেনাপ্রধানকে ভারতপন্থী হিসেবে তুলে ধরেন এবং দাবি করেন, তিনি আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে চাইছেন। এক পোষ্টে তিনি সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে বলেন, ‘সেনাপ্রধানের বক্তব্য হিসেবে যা ঘুরে বেড়াইতেছে। তা ভুয়া। এই কল্পিত বয়ান আওয়ামী লীগ আর ইন্ডিয়া প্রযোজিত। (https://www.facebook.com/share/p/15R3Po9g8a/)’ আবার আরেক পোষ্টে তিনি লিখেন, ইউনূস রাজনীতি বোঝেন না এবং সেনাপ্রধান ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করছে (https://www.facebook.com/share/p/1HrfwJcXps/)।
এদিকে সেনপ্রধানকে ভর্সনাৎ করে এবং ইউনুস কে সহমর্মিতা দেখিয়ে ইলিয়াস পোষ্ট করেন, ‘সেনা প্রধানের কাবজাব ও ইউনূসের পদত্যাগের সিদ্ধান্তসহ অনেক নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে গেলো একটি সপ্তাহ।‘ (https://www.facebook.com/share/p/1Ag1WLdoY6/)! আবার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্বলিত নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানকে ডিফেন্ড করে পোষ্ট করে তিনি লিখেন, ড. খলিলুর রহমানকে নিয়ে যাদের চুলকানি উঠেছে তাদের নামগুলো দেখলেই বুঝবেন খলিলুর ভাই ঠিক জায়গায় আছেন(https://www.facebook.com/share/p/1Eo2R5vGVq/)।
অন্যদিকে ড.ইউনূসের মদদপুষ্ট এনসিপি শুরু থেকেই সেনাপ্রধানের বিরোধিতা করছে। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এর আগে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি দাবি করেছিলেন ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে একটি নতুন ষড়যন্ত্র ভারতের পক্ষ থেকে চলছে। তিনি বলেছিলেন, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরীন শারমিন ও তাপসকে সামনে রেখে বিরোধী দলগুলোকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরে জানা গেছে, এগুলো অপপ্রচার ছিল।