বাংলাদেশে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ ও সাংবাদিক হয়রানী বন্ধের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

ব্রিকলেন নিউজ-

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন ,নিপীড়ন, গ্রেফতার, মিথ্যা হত্যা মামলা, ব্যাংক হিসাব জব্দ করা সহ নানা ধরণের হয়রানী সহ সর্বশেষ দীপ্ত টিভি বন্ধ ঘোষণা ও সাংবাদিকদের চাকরীচ্যুত করে ,গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ ও সাংবাদিক হয়রানী’র
প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন আয়োজনে করেন যুক্তরাজ্যের বাংলা গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে
৩রা মে রোজ শনিবার ,বিকালে ৪ ঘটিকায় বিলেতের সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মীরা সমবেত হন।

বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মূসা হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক জুয়েল রাজ এর পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হত্যা মামলা দি‌য়ে আটকে রাখা হয়েছে, জামিন ও দেওয়া হচ্ছেনা । প্রায় ২ শতাধিক সাংবাদিকের নামে মামলা করা হয়েছে। এতে শঙ্কিত আছেন সাংবাদিকরা।

সভায় জানানো হয়, দেশের বড় বড় সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে আর নিরীহ সাংবাদিকদের দিয়ে জেল ভরে রাখা হচ্ছে এবং দিন দিন দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, ড. ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিলেও সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি বরং নির্যাতন বেড়েছে। তাই সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না।
সাংবাদিকের কাজই প্রশ্ন করা ,সেই প্রশ্ন উত্থাপনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান তার কর্মীকে চাকরী থেকে ছাঁটাই করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। এই সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এইসব ঘটনা ঘটছে। সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের রাজনৈতিক পক্ষপাত পৃথিবীর সব দেশেই আছে। কিন্ত বাংলাদেশে গত ৮ মাস ২৯৬ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা,৫০ টি মিডিয়া ও প্রেস অফিসে হামলা,৬০০ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা,৬ জন ,সাংবাদিক নিহত, ১৮ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার,১০০ এর অধিক সাংবাদিক আহত হয়েছেন ১০০০ এর অধিক সাংবাদিককে বরখাস্ত/পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে ,৯৬ জন সাংবাদিকের আর্থিক বিবরণী চাওয়া হয়েছে ,১৬৮ জন সাংবাদিকের প্রেস স্বীকৃতি বাতিল,১৮ জন সাংবাদিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ,৮৩ জন সাংবাদিকের প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ মিডিয়া হাউসের মালিকানা জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া সহ নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে এই সরকারকে প্রশ্ন করা থেকে বিরত রাখার সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা ।

প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মানবাধিকার কর্মী কাউন্সিলার পুস্পিতা গুপ্তা, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, আহাদ চৌধুরী বাবু, শাহ বেলাল, জামাল খান, জুবায়ের আহমদ, সুয়েজ মিয়া, সৈয়দ এনাম, সালাউদ্দিন , অভিষেক শেখর জিকু ,নুরুন্নবী, চৌধুরী,সোহাগ যাদু, নিশিথ সরকার মিটু, মুন্না  মিয়া, এ রহমান ওলী প্রমুখ৷

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১