জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘মহানবী (সা.) সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও নারীদের যুক্ত করেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের যুক্ত করেছেন। তাই আমরা তাদের আটকে রাখার কে? তারা সামর্ম্য অনুযায়ী দেশের জন্য আত্মনিয়োগ করবেন। নারীদের পোশাক নিয়ে আমরা বাধ্য করব না।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে দল ও ধর্মের ঊর্ধ্বে থেকে আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। ইনসাফ কায়েম করতে চাই।
তিনি বলেন, ‘মানুষ যেন শিক্ষা পেয়ে মানুষ হয়। শিক্ষা নিয়ে যেন ডাকাত না হয়। এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলতে চাই।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘চব্বিশের বিজয় এমনিতে এমনিতে আসেনি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দিনের বেলায় লগি-বৈঠা দিয়ে খুনিরা আদম হত্যায় মেতেছিল। মানুষের মরদেহের ওপর তারা লাফিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে রক্তের হলি খেলায় মেতেছিল। তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিচারের নামে জামায়াতের নেতাদের হত্যা করেছে।
আমরা এমন একটি দেশ চাই যেখানে মসজিদ, মন্দির, মঠ, গির্জা কোনো কিছুই পাহারা দেওয়া লাগবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার বাগান। এই বাগানে মাঝে মধ্যে হুতুম পেঁচা ঢুকে পড়ে। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’
একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীও ভিআইপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা তিন দিন পরিষ্কার না করলে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারব না। তাই তাদেরও মর্যাদা দিতে হবে। সেই সম্প্রীতির বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। আমরা জাতীয় স্বার্থে দল ও ধর্মের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে চাই। এই দেশকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ বানাতে চাই। কিন্তু আকাশে কালো শকুন ঘুরছে। এই শকুন মাঝে মাঝে ফোঁস করছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। যে যেভাবেই উসকানি দিক, আমরা ফাঁদে পা দেব না।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের দেশে অফুরন্ত সম্পদ। কিন্তু তা কাজে আসছে না। যারাই ত্রাতার দায়িত্বে থাকে, তারাই পকেট ভরে। বিগত সরকার জনগণের অধিকার দেয়নি। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে খুন করেছে। জামায়াতের দুজন আমীরসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশকে খুনের বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শত জুলুম-অত্যাচারের পরও আমরা পালিয়ে যাইনি। দেশকে যারা ভালোবাসে তারা পালাতে পারে না। আমরা এই দেশকে গড়তে চাই। এই দেশের এক ইঞ্চি মাটিও আমরা ছাড়ব না।’