ব্রিকলেন ডেস্ক-
বিলেতে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির জন্য সোমবার, ১৫ডিসেম্বর, ছিল এক গর্বের, আবেগের ও প্রেরণার দুপুর। এইদিন বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্প্রদায়িক বিরোধী আন্দোলনের একজন অকুতোভয়কণ্ঠস্বর, এই আন্দোলনের রাজপথকর্মীদের নির্ভীক সহযোদ্ধা ও গণমাধ্যমেরদায়িত্বশীল কর্মী আনসার আহমেদ উল্লার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন উপলক্ষেআয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা পরিণত হয় এক অনন্য মিলনমেলায়।
সিটি অফ লন্ডনের গিল্ডহল ওয়েস্ট উইংয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিতঅনুষ্ঠানজুড়ে ছিল সম্মান, ভালোবাসা ও আনসার আহমেদ উল্লাহ’রসংগ্রামী জীবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। বক্তারা বলেন, আনসার আহমেদ উল্লারএই একাডেমিক অর্জন কেবল ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; এটি প্রবাসী বাঙালিরচিন্তাশীল চর্চা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রগতিশীল আন্দোলনেরধারাবাহিকতার প্রতীক। যিনি দীর্ঘদিন ধরে বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতারবিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ থেকেছেন, যুদ্ধপরাধের বিচারের দাবিতে রাজপথে সক্রিয়থেকেছেন—তাঁর গবেষণালব্ধ এই সাফল্য আন্দোলনকেও করেছে আরও শক্তভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহযোদ্ধা, সহকর্মী, কমিউনিটিনেতৃবৃন্দ ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত থেকে বলেন, আনসার আহমেদ উল্লাপ্রমাণ করেছেন, জ্ঞান ও সংগ্রাম কখনো আলাদা পথ নয়। মিডিয়া হাউসেদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গবেষণায় নিষ্ঠা, সমাজচিন্তায় গভীরতা এবংমানবিক মূল্যবোধে অবিচলতা, এই তিনের সম্মিলনই তাঁকে আলাদা করেচিহ্নিত করেছে।
আনসার আহমেদ উল্লাহ তাঁর বক্তব্যে এই সম্মানকে ব্যক্তিগত অর্জনের গণ্ডিছাড়িয়ে পুরো কমিউনিটির অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এইভালোবাসা ও স্বীকৃতি তাঁকে আগামীতেও সত্য, ন্যায় ও মানবিকতার পক্ষেকাজ করে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে।
শেষ পর্যন্ত করতালি, ফুলেল শুভেচ্ছা ও আবেগঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে শেষহয় নাগরিক সংবর্ধনা। প্রবাসে থেকেও শেকড়, ইতিহাস ও মানবিকদায়বদ্ধতার প্রতি অবিচল থাকার যে দৃষ্টান্ত আনসার আহমেদ উল্লাহ স্থাপনকরেছেন, এই সংবর্ধনা ছিল তারই সম্মিলিত স্বীকৃতি।
প্রবীন কমিউনিটি নেতা শাহগীর বখত ফারুকের সভাপতিত্বে ও বার্কিং ওডেগেনামের কাউন্সিলার অজন্তা দেব রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নাগরিকসংবর্ধনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলম্যান শাহনান বখত।
উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, কমিউনিটি একটিভিষ্ট, টাওয়ারহ্যামলেটসের সাবেক ডেপুটি লিডার কাউন্সিলার রাজন উদ্দিন জালাল, কুইনম্যারি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও আনসার আহমেদ উল্লার পিএইচডিসুপারভাইজার আলেষ্টার ওয়েন, গ্রেটার লন্ডন এসেম্বলির প্রাক্তন সদস্যমুরাদ কোরেশী, আনসার আহমেদ উল্লাহ’র শাশুড়ি হোসনা মতিন, টাওয়ারহ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলার নুর উদ্দিন আহমেদ, জামাল আহমেদখান, কমিউনিটি একটিভিষ্ট পারভেজ কোরেশী, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বারঅফ কমার্সের বশির আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেইন, একাত্তরেরঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র যুক্তরাজ্য সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, আনসার আহমেদ উল্লার স্বজন জায়েদ আলী খুশনু, লুটন বারা কাউন্সিলঅফিসার সহির উদ্দিন মিন্টু, লুটনের বাংলাদেশ ইয়ুথ লীগ সংগঠক ইরাকচৌধুরী, লুটন কাউন্সিলের কাউন্সিলার তাহির খান, টাওয়ার হ্যামলেটসেরসাবেক স্পীকার আহবাব হোসেইন, কমিউনিটি একটিভিষ্ট আব্দুল বাসির , লর্ড মেয়র অফিসের জেসমিন চৌধুরী, , কমিউনিটি একটিভিষ্ট সামিরুনচৌধুরী, নাজমা হোসেইন, হামিদা ইদ্রিস, সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, সুয়েজমিয়া ও সৈয়দ আনাস পাশা প্রমূখ।


