প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন আজ যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে হাই কমিশনে আয়োজিত এক বিশেষ স্মারক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টনে এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান এবং মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ বীরাঙ্গনাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক পটভূমির বর্ণনা করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মুজিবনগর সরকারের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
হাই কমিশনার বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃতে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমর্থন আদায়, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা ও মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মুজিবনগর সরকারের অবদান বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাথা হয়ে থাকবে।”
হাই কমিশনার মুজিবনগর সরকারের প্রতি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারত ও অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর অসামান্য সহযোগিতার কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মযজ্ঞে অংশ নেয়ার জন্য নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাট্য-ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার অংশগ্রহন করনে। তিনি মুজিবনগরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মাইলস্টোন হিসেবে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও অবদান ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ওপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।