সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের প্রতিবাদে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট স্কয়ার ও বিবিসির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ
বাঁধন দাসঃ
বাংলাদেশে দূর্গাপুজায় মন্দির ভাঙচুর, দেশ জুড়ে ধারাবাহিক ভাবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপর পরিকল্পিত নির্যাতন নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে লন্ডনের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী সনাতন ধর্মালম্বী প্রবাসীগণ।
ধর্ম যার যার দেশ সবার / তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ/ হিন্দু হত্যা বন্ধ করো / আমরা ন্যায় বিচার চাই এই জাতীয় দাবী সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ব্যানার নিয়ে সমবেত হন তাঁরা।
এইবারই প্রথমবার ব্রিটেনে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মালম্বীরা একসাথে বিশাল কোন প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ব্রিটেনে জন্ম নেয়া অনেক তরুণ তরুণী ও বিক্ষোভে যোগ দেন। সংসদ ভবনের প্রবেশ পথে এই সমাবেশ এমপিদের চোখে পরে, এবং অনেক এম পি বিক্ষোভ কারীদের সাথে কথা বলেন, এবং পার্লামেন্ট বিষয়টি আলোচনা করবেন বলে ও জানান। দুইটার পর দীর্ঘ বিক্ষোভ মিছিলটি পার্লামেন্ট স্কয়ার থেকে বিবিসি বরাবর যাত্রা শুরু করে।
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন (ইউকে), যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের জন্য একটি সম্মিলিত সংগঠন, সারা যুক্তরাজ্যের সমর্থক সংগঠন এবং পূজা কমিটির সহযোগিতায় এই প্রতিবাদ সমাবেশের আহ্বান ও সমন্বয় করে।
উপস্থাপক: প্রশান্ত পুয়াকায়স্থ, চেয়ারম্যান বিএইচএ ইউকে সহকারী কো-অর্ডিনেটর- হিসাবে বিপ্লব দত্ত দায়িত্ব পালন করেন।
বক্তব্য রাখেন, জিনি সেন, সনাতন এসোসিয়েশন, অজিত সাহা, CPRMB, UK
বিপুল মন্ডল, অমর বৈদ্য, ব্র্যাডফোর্ডঅলোক চন্দ, বার্মিংহাম সুচিত্রা গোস্বামী, হাইড বিএইচএরাজীব মন্ডল, ইউরোপিয়ান হিন্দু ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন খুশি রানী বৈদ্য, ব্র্যাডফোর্ড
এবং ম্যানচেস্টার
ননী পল, ইউনাইটেড হিন্দু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন।
সুরঞ্জিত গুপ্ত, শ্রী শ্রী লোকনাথ ভক্ত পরিষদ, লন্ডন, স্বরূপ শ্যাম চৌধুরী – ওম শান্তি সমিতি, লন্ডন,বিক্রম ব্যানার্জি, BHAS, UK অমিত দেব, বিএইচএ ইয়ুথ ফোরাম, ইউকে সুজয় সাহা, হিন্দু এইড (ইউকে) বাপ্পি বাঁধ,রীতা দে
বিনিল সাহা ইউকে হিন্দু কালচারাল অর্গানাইজেশন, গৌর পদ দেব, অলোক মুখোপাধ্যায় সহ অনেকে,
এছাড়াও গৌরী চৌধুরীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশনায় ছিল পথনাটক।
বক্তাদের বক্তব্যে, বারবার উঠে এসেছে বাংলাদেশে প্রতিনিয়িন নির্বিচারে এই নিধন যজ্ঞ চলে আসছে, কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। যুদ্ধ করে অর্জিত একটি দেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখন নিজ দেশে পরবাসী আমরা। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রাখা হয়েছে। সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে এনে ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার দাবী জানান।