জুয়েল রাজ-
আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে পিছনের দরজা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন যুক্তরাজ্য সফরত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড: মুহাম্মদ ইউনূস।
চার দিনের সরকারী সফরের প্রথম দিনেই প্রতিবাদের মুখে পড়লেন ড: ইউনূস। মঙ্গলবার সকালে লন্ডনে এসে পৌঁছান তিনি। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার আবিদা সুলতান তাঁকে স্বাগত জানান, সেখান থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্ক লেইনের দ্যা ডচেস্টাটার হোটেলে উঠেন তিনি।
এরমধ্যে বাংলাদেশ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সদস্যরা তার সাথে হোটেলে দেখা করবেন। এ গ্রুপের চেয়ার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। এরপর একাধিক মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রাখা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি মঙ্গলবার লন্ডনে প্রেস ব্রিফিং করতে পারেন বলে ও জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
এই সফরে তিনি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাৎ করবেন এবং রাজা চার্লসের হাত থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন। কথা রয়েছে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাতের ।যদি ও প্রতিবাদের মুখে নিরাপত্তা অজুহাতে বাতিল হয়েছে নাগরিক সংবর্ধনা।
অন্যদিকে, সেখানে ভোর থেকেই যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সহ লন্ডনে থাকা প্রায় ১০ জন এম পি ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন , যদি ও কয়েক জন ছাড়া বেশীর ভাগ এম পি গণ এতোদিন নীরবেই দিন কাটাচ্ছিলেন। ড: ইউনূসের আগমনে নীরবতা ভেঙে প্রকাশ্যে আসেন এসব নেতারা।

এসব নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ড: ইউনূসের চার দিনের সফর কে প্রতিহত করতে চারদিনই বিক্ষোভ প্রতিবাদে অংশ নিবেন তারা। নীরবরা ভেঙে রাস্তায় আসেন সুনামগঞ্জের সাবেক এম পি এডভোকেট রনজিত সরকার, হবিগঞ্জের এডভোকেট আবু জাহির, হাবিবে মিল্লাত , হাবিবুর রহমান, খালিদ মাহামুদ মিঠু, আব্দুর রহমান, সিলেটের সাবেক ছাত্রনেতা সিলেমহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহা সহ অনেকে।