নিউইয়র্ক প্রতিনিধি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘একাত্তরের প্রহরী ফাউণ্ডেশন’
নামে একটি অলাভজনক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদ,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর
আদর্শের বাংলাদেশ গঠন,প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাসের সন্ধান দান এবং
সাম্য-শান্তি-প্রগতি’র বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই সংগঠন নিরলস কাজ করে যাবে।
সংগঠনটি ইতোমধ্যে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রেজিষ্ট্রেশন লাভ করেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি মোর্চা হিসেবে জন্ম নেয়া
এই সংগঠনটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও একাত্তরের বাংলাদেশ গঠনে
গেল দশমাস থেকেই বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখে আসছিল।
জাতীয় শোকদিবস পালন, মহান বিজয় দিবসে একটি বড় অনুষ্ঠান,
গৌরবের একুশে ফেব্রুয়ারী ও মহান স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান
আয়োজনের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকায় অন্যন্ত নন্দিত হয়েছে,
এই সংগঠন।
এবছরের মে মাসে নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা-২০২৫’
এর দুইদিনব্যাপি একটি বড় আয়োজনের মাধ্যমে সংগঠনটি দেশে-বিদেশে সকলের সুদৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়।
সংগঠনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত
লেখক ড: নুরুন নবী জানান, অত্যন্ত ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই এই
মোর্চাটি জন্ম নেয়। বাংলাদেশে পাঁচই আগস্টের পরে যখন একটি চরম
জুলুম ও অরাজকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে- তখন প্রতিবাদের প্রতীক
হিসেবেই এই মোর্চা আত্মপ্রকাশ করে।
তিনি জানান, এই মোর্চাটি এখন একটি পরিপূর্ণ ফাউণ্ডেশন হিসেবে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেজিষ্ট্রেশন লাভ করেছে। এই ফাউণ্ডেশন প্রতিবছর
নিউইয়র্কে তিনদিনব্যাপি ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা’ আয়োজন করবে। ফাউণ্ডেশনের পূর্ণ কমিটির নামের তালিকা খুব শীগগীর প্রকাশ করা হবে।
এই ফাউণ্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বইমেলার একটি আহ্বায়ক কমিটি এবং
অন্যান্য সাবকমিটি গঠিত হবে। বইমেলার নির্বাচিত আহ্বায়ক তাঁর টীম নিয়ে মেলা আয়োজনের সকল ব্যবস্থা করবেন।
ড: নবী জানান, এছাড়াও বাংলাদেশের সকল জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে এই
ফাউণ্ডেশন একাত্তরের শাণিত প্রজন্মকে পাশে নিয়ে সব সময় কাজ করে যাবে। সভা, সমাবেশ, সেমিনার,আলোচনা সহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অগ্রণী ভূমিকা ও উদ্যোগ নেবে এই ফাউণ্ডেশন। তিনি ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতার জন্যে সকল মিডিয়া, সকল সচেতন মানুষ, এবং তিরিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতাকামী সকল সংগঠন ও নেতৃত্বের প্রতি উদার আহ্বান জানিয়েছেন ।