লন্ডনে মে দিবসের গণসমাবেশ ও গণসংগীত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

 

 সুশান্ত দাশ,প্রশান্ত 

মে দিবসের চেতনায় সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি লড়াকু সংহতি জানিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে গণসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে পূর্ব লন্ডনে।

শোষণমুক্ত সমতার বিশ্ব গড়ার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়কে সামনে রেখে গত ৬ মে শনিবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের ইস্টহ্যামের ট্রিনিটি সেন্টারে ‘বাংলাদেশী ওয়ার্কার্স কাউন্সিল, ইউ কে’র উদ্যোগে এ গণসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশী ওয়ার্কার্স কাউন্সিল, ইউ কে ‘র চেয়ারপারসন শাহরিয়ার বিন আলী ও সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত দাশের যৌথ সভাপতিত্বে সমাবেশে মে দিবসের লড়াকু ইতিহাস- চেতনা ও বর্তমান পরিস্থিতিতে এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন জিএমবি ইউনিয়ন এর অফিসার হেলেন অ কনর, আরএমটি’র এনইসি মেম্বার রতিমি আজাই, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ আলী আবিদ, ইন্ডিয়ান ওয়ার্কার্স এসোসিয়েশন-গ্রেটব্রিটেন এর ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট হারসিভ বেইনস, যুক্তরাজ্য উদীচীর নেতা ডা রফিকুল হাসান খান জিন্নাহ,
বিখ্যাত বামপন্থী দৈনিক পত্রিকা মর্নিং স্টার এর ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ক্যালভিন টাকের, ব্রিটিশ কমিউনিস্ট পার্টির অ্যান্ডি ব্যাইন, বাংলাদেশী ওয়ার্কার্স কাউন্সিল, ইউ কে‘র সহ-সভাপতি জাহানারা রহমান জলি, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু খন্দকার প্রমুখ।

এছাড়া সভায় উপস্থিত থেকে সংহতি প্রদান করেন লেবার পার্টির নেতাকর্মীবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, ব্রিটেনের মূলধারার ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলসমূহ, নির্বাচিত প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত প্রবাসী বাঙালী শ্রমিকবৃন্দ।

এবছরের মে দিবসের কর্মসূচিতে রাণা প্লাজা ধ্বংসযজ্ঞের দশ বছর বার্ষিকীতে নিহত সকল শ্রমিকদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।

সমাবেশে গণসংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, যুক্তরাজ্য সংসদের শিল্পীবৃন্দ। এককভাবে সংগীত পরিবেশন করেন অসীমা দে, অনুপম রহমান। গনসংগীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে মোহাম্মদ দ্বীপ,
তোড়া দে, বৃন্দা ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শ্রমিকই মূলত তাদের শ্রম, মেধা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে পৃথিবীর দেশে দেশে সভ্যতার চাকা এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সমাজের সমৃদ্ধি অর্জনের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, তাদের নিজেদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। সত্যিকার অর্থে শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে মালিক ও শাসক শ্রেণীর শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটাতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ।

সমাবেশে শ্রমিকদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মস্থল নিশ্চিত করা, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মস্থলে হতাহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপুরন প্রদান, স্বীকৃত দৈনিক কর্মঘণ্টা নিশ্চিত করা ও ন্যায্য মজুরি প্রদানের দাবি জানানো হয়।

বক্তারা আরো বলেন, সারা বিশ্বের পরিবেশ দূষণ, যুদ্ধ বিগ্রহ, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অভিবাসী শ্রমিক ও শরণার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং বর্ণবাদী আইনের বিরুদ্ধে জোরদার জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশী এবং অন্যান্য দেশের শ্রমজীবি মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ‘বাংলাদেশী ওয়ার্কার্স কাউন্সিল, যুক্তরাজ্য’ গঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রগতিশীল শ্রমিক আন্দোলন ও বিশ্বশ্রমিক আন্দোলনকে সক্রিয় সমর্থন করাও এ সংগঠনের অন্যতম লক্ষ্য।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১