সুজাত মনসুর
গত ৩১শে অক্টোবর থেকে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে শুরু হয়েছে জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ। শেষ হবে ১২ই নভেম্বর। সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় ৩০ হাজার প্রতিনিধি যোগদান করেছেন। আছেন কয়েক হাজার পরিবেশবাদী যাঁরা সম্মেলন স্থলের বাইরে বিক্ষোভ করছেন, তাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় হচ্ছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ, যিনি বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের মুখপাত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি ও বিক্ষোভকারী পরিবেশবাদী দাবী ও প্রত্যাশা একই, তাহলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় দ্রæত কার্যকর উদ্যোগ নিক দেশগুলো। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও কার্বন নিঃসরণের সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে বিশ্ব নেতারা ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি দিক।

গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত এই জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ নামে পরিচিত। এর অর্থ হলো ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’। জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ হিসেবে ১৯৯৫ সালে কপ-এর প্রথম সম্মেলন হয়। পর্যায়ক্রমে ২০১৫ সালে বিশ্বনেতারা প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এই মর্মে চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন যে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলা ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে তারা একসাথে কাজ করবেন। কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২০ সালে প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়া ও বাকী দেশগুলো যারা ম‚লতঃ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অভাবে এখনো প্যারিস চুক্তির তেমন অগ্রগতি হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কপ থেকে ট্রাম্পের বের হয়ে যাওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, “আমার ক্ষমা চাওয়ার কারণ নেই। তবুও ক্ষমা চাইছি। কারণ আমেরিকার সাবেক প্রশাসন প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল।” বাইডেন আরও বলেছেন, “আমেরিকা কেবল এই চুক্তিতে ফিরে আসছে না, জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। আমেরিকা সকলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি।” জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল অত্যন্ত ক্ষোভের সাথেই বলেছেন, “২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনে আমরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার অধিকাংশই খাতায় কলমে থেকে গেছে। বাস্তবে ঘটেনি। এবার আমাদের পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে হবে। গোটা বিশ্ব এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে। ” বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মতে, ” এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে ক্ষতির শিকার হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।” কপ-২৬ সম্মেলনের সভাপতি বৃটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মার অভিমত হচ্ছে, “বর্তমান শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনতে হলে কপ-২৬ হচ্ছে শেষ সুযোগ। সম্মেলনের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্যকে পরিবেশবাদীরা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য অনেকেই নিরাশ করেছে। তিনি ২০৭০ সালকে ভারতে কার্বন নিঃসরণ মুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। আর চীনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২০৬০ সাল। যা বিশ্বের জন্য তো বটেই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ শংকার কারণ। গ্লাসগো সম্মেলনে সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন একটা সিদ্ধান্ত কিন্তু হয়ে গেছে। যেকোনো ভাবেই হোক শতাব্দীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হতে দেওয়া যাবে না। আর তা করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে কার্বন ফুটপ্রিন্টের পরিমাণ ব্যাপক হারে কমাতে হবে।
জাতিসংঘে যেমন তেমনি কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনেও আশার আলো ছড়িয়েছেন মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা। তিনি কেবল বাংলাদেশের প্রধানমনন্ত্রী হিসেবে নয়, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও কার্বন নিঃসরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সংগঠন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সোচ্চার ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ’-এর সভাপতি ও ৪৮টি দেশের মুখপাত্র হিসেবে প্যারিস সম্মেলনের ঘোষণা অনুয়ায়ী উন্নত বিশ্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণসহ চার দফা দাবি পেশ করেন। কপ-২৬ এর লিডার সামিটে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের রাশ টানার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগও তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ১২ বিলিয়ন ডলারের ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাতিল করেছে। মুকুট মণি শেখ হাসিনার এরকম সাহসীয, বিচক্ষণ ও উৎসাহব্যঞ্জক ঘোষণা জ্বালানি উৎপাদনে কয়লা ব্যবহারকারী আরো ১৯০টি দেশ ও সংস্থা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার থেকে, তারাও জ্বালানি উৎপাদনে কয়লা ব্যবহার করা থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করেছে। যুক্তরাজ্য সরকারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে চলমান জলবায়ু শীর্ষক কপ-২৬ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্টপ্রধানেরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ও ইতোমধ্যে ৪০টি দেশ সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কয়লানির্ভর বড় বড় যেসব দেশ যেমন অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির করে সমগ্র বিশ্বকে ভবিষ্যত প্রজন্মের বসবাসের অনুপযোগি করে তুলছে তারা এই সমঝোতায় স্বাক্ষর করেনি। অথচ কয়লা জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে ভ‚মিকা রাখে। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩৭ শতাংশ কয়লা থেকে এসেছে।
লিডার সামিটে বঙ্গবন্ধু কন্যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলার নিমিত্তে যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তাহলো, প্রথমতঃ প্রধান কার্বন নিঃসরণকারীদের অবশ্যই উচ্চাভিলাষী জাতীয় পরিকল্পনা (এনডিসি) দাখিল এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ উন্নত দেশগুলোকে অভিযোজন এবং প্রশমনে অর্ধেক অর্ধেক (৫০ঃ৫০) ভিত্তিতে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। তৃতীয়তঃ উন্নত দেশগুলোকে স্বল্প খরচে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। চতুর্থতঃ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা ও খরার মতো দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব নেওয়াসহ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ক্ষতি ও ধ্বংস মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি শুধু দাবিগুলো উত্থাপন করেই ক্ষান্ত হননি। আক্ষেপ করে বলেন বৈশ্বিক মোট কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের দায় ০.৪৭ শতাংশের চেয়েও কম ও জলবায়ু পরিবর্তনে নগণ্য অবদান রাখলেও বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। তবে বাংলাদেশ যে কার্বন নিঃসরণ জনিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়ু শুধু বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে বসে নেই সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা ও ২০২০ সালে জলবায়ুসংক্রান্ত ব্যয় দ্বিগুণ করা হয়েছে। ‘জাতীয় অ্যাডাপটেশন প্ল্যাান ’ ও একটি উচ্চাভিলাষী ও হালনাগাদ জাতীয় নির্ধারিত পরিকল্পনা পেশ করার কথাও সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের অবহিত করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ জ্বালানি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দৃঢ়তা ও প্রত্যয়ের সাথে বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্থানীয় সৌরবিদ্যুৎ কর্মস‚চিগুলোর একটি বাংলাদেশে রয়েছে। জলবায়ু বিপদগ্রস্ত দেশ থেকে জলবায়ুসহিষ্ণু এবং সেখান থেকে জলবায়ু সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য রোহিঙ্গারা অন্যতম কারণ উল্লেখ করে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলারও চেষ্টার কথাও উল্লেখ করে তিনি।
লিডার সামিট ছাড়া গ্লাসগোতে অবস্থানকালে আরো কয়েকটি গুরুত্ব বৈঠক বা আরোচনায় অংশ নেন। তন্মধ্যে অন্যতম হলো ‘ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ বিষয়ে সিভিএফ-কমনওয়েলথ উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াল পরিণাম থেকে বাঁচাতে কমনওয়েলথ এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামকে (সিভিএফ) এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে একটি বাস্তবসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিম‚লক সমাধান খুঁজে বের করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে অনুঘটক হিসেবে সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’ প্যানেল আলোচনায় উভয়ের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার জন্য কয়েকিিট সুপারিশ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো হলো, প্রথমতঃ সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ ও প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান অর্জনে জ্ঞান, গবেষণা, সক্ষমতা তৈরি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা। দ্বিতীয়তঃ প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলোর বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে সম্মিলিত অবস্থান গস্খহন।
তৃতীয়তঃ জলবায়ু পরিবর্তন জনিত উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে বিশ্বের দায়িত্ব রয়েছে। চতুর্থতঃ সুপারিশে বলা হয়, সবার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী দেশগুলোকে উচ্চাভিলাষী এবং আগ্রাসী জাতীয় পরিকল্পনা ঘোষণা করতে চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে। পঞ্চমতঃ জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সহনীয় খরচে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি হস্তান্তর। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড।
অমরা জানি প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান ইতিবাচক কোনকিছু হয়নি। এদিকে, কপ-২৬ এ ফিরে আসার পর বাইডেনের ‘জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে ও আমেরিকা সকলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি’ বলে ঘোষণা দেওযার পরও আমেরিকা জ্বালানী উৎপাদনে কয়লা ব্যবহার না করার সমঝোতা স্বাক্ষর করেনি। একইভাবে স্ট্রেলিয়া, ভারত, চীনও স্বাক্ষর করেনি। সুতরাং প্রশ্ন জাগতেই পারে অঙ্গিকার রক্ষায় শিল্পোন্নত দেশগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা ছাড়া তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কমিয়ে আসা সম্ভব হবে কি? গ্লাসগো সম্মেলন কি আসলেই ব্যর্থ হবে? ইতোমধ্যেই সুইডিশ পরিবেশবাদী গ্রেটা থানবার্গ শুক্রবার, ৫ই নভেম্বর গ্লাসগোতে কয়েক হাজার স্কুল ছাত্রের সমাবেশে কপ-২৬ সম্মেলন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। কয়লার ব্যবহার কমানো সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে অধিক পরিমানে কয়লা ব্যবহারকারী দেশগুলোর স্বাক্ষর না করার বিষয়টি উল্লেখ করে শুক্রবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিং-এ মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম মোমেনকে প্রশ্ন করেছিলাম, এরপরও বাংলাদেশ কতটুকু আশাবাদী? উত্তরে তিনি অত্যন্ত প্রত্যয়ের সাথেই বলেছেন, “বাংলাদেশ অত্যন্ত আশাবাদী। কেননা ভবিষৎ প্রজন্মের বসবাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই।” আমরাও আশাবাদী। বঙ্গবন্ধু কন্যার কথা অনৃযায়ী কমনওয়েলথ ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ’ যদি একসাথে কাজ করে তাহলে উন্নত দেশগুলোও বাধ্য হবে তাদের অঙ্গিকার পুরণে। গড়ে উঠবে এক নতুন বিশ্ব যেখানে বৈশ্বিক উষ্ণতা থাকবে সহনীয় পর্যায়ে। ভবিষৎ প্রজন্ম বেড়ে উঠবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মুক্ত সবুজাভ পরিবেশে।
লেখকঃ যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ও লেখক