প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকের উদ্যোগে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের সামনে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার বাংলাদেশ প্রেমী প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের মূল লক্ষ্য ছিল: বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ, সম্পত্তি দখল, ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। বিশেষ করে, হিন্দু ধর্মীয় সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে মিথ্যা মামলায় বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রাখা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
এই সভা থেকে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয় যে, কমনওয়েলথ-এর দায়িত্বের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ প্রয়োগ করা হোক, যাতে সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার সুরক্ষিত হয়।
সভাটি পরিচালনা করেন সেক্যুলার বাংলাদেশ ইউকের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও কাউন্সিলর পুষ্পিতা গুপ্ত। এ কর্মসূচিতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন:
বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ এনাম ইসলাম,ড. শাহ নেওয়াজ,স্বরূপ শাম চৌধুরী,জ্ঞান গুপ্ত,অতীশ সাহা,রাম সাহা, নিশিত সরকার মিটু, মিনা চক্রবর্তী,সুরঞ্জিত গুপ্ত,আহাদ চৌধুরী,জামাল খান,সুজিত চৌধুরী ,সুদীপ চক্রবর্তী, অমৃত দাশ, রবিন দাশ।
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশ করেন এবং বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট সুজিত চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির বিশিষ্ট নেতা স্বরূপ চৌধুরী শিবু এবং আরও অনেকে।
বক্তারা নিম্নলিখিত দাবি উপস্থাপন করেন:
সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পিত হামলা, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, সম্পত্তি দখল, চাকরি থেকে জোরপূর্বক অপসারণ ও রাজনৈতিক নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক হয়ে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সেক্যুলার বাংলাদেশ ইউকে ভবিষ্যতেও মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।