জুয়েল রাজ-
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন মানবাধিকার লংঘন নিয়ে অল পার্টি পার্লামেন্টের প্রতিবেদন বাতিলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেয়া এম পি রূপা হকের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ।
এলিনং একটনের নির্বাচিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এম পি মিস রূপা হক গত ১৬ জানুয়ারী পার্লামেন্ট পয়েন্ট অব অর্ডারে বাংলাদেশ সম্পর্কিত এপিপিজি’র প্রতিবেদনটির তীব্রসমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীসরকারের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী পরিকল্পনার অংশ।
রূপা হক পার্লামেন্টে প্রতিবেদনটির তথ্য সঠিকনয় বলে অভিযোগ তোলার পর সেটি পর্যালোচনার জন্য স্থগিত করা হয়েছে ।
কিন্ত চরম বাস্তবতা হচ্ছে এপিপিজির প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের অধিক সংখ্যক মানুষ আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
আমরা দীর্ঘদিন যাবত গভীর উদ্বগের সাথে পরিলক্ষিত করছি রূপা হক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ইসলামী শিবিরের সাথে তার সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন ,এবং নানা ইস্যুতে তিনি আওয়ামী লীগের বিরোধী শক্তিকে নানা ভাবে সহায়তা করে আসছেন ,যার সর্বশেষ উদাহরণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী যুদ্ধাপরাধী দলের নেতা ডা: শফিকুর রহমানের সাথে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি সভায় মিলিত হয়েছেন।
বহু সংস্কৃতি ও গণতন্ত্রের তীর্থস্থান মহান ব্রিটেনের একজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ভূক্তিভোগী নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের পাশে না গিয়ে কোন ধরণের তথ্য উপাত্ত ছাড়া শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুরো প্রতিবেদনটি স্থগিত করার জন্য বক্তব্য রাখেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হত্যা ঘরবাড়ি পুড়ানো লুটপাটের দায় স্বীকার করে অনেক আসামী গ্রেফতারের কথা ও উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের নির্যাতিত নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুবিচারের আশা করছিল। যুক্তরাজ্য সব সময় মানবতার পক্ষে ,নির্যাতিত মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়। কিন্ত এপিপিজির প্রতিবেদন স্থগিত হওয়ার কারণে সেই সম্ভাবনার পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
রূপা হক বরং মানবতা বিরোধী ইসলামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত মূলক অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের প্রতি অমানবিক আচরণ করেছেন।রূপা হকের এই পক্ষপাত মূলক বক্তব্য প্রত্যাহার ও তার সংসদ সদস্য থেকে তার পদত্যাগ দাবী করছি।
সভায় আয়োজক কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন , অমৃত দাশ, অভিষেক শেখর জিকু , রবিন দাশ, অসীমা দে, স্বরুপ শ্যাম চৌধুরী , নজরুল ইসলাম অকিব, জরিপ মিয়া, সুজিত দাশ, সুদীপ চক্রবর্তী ,সাংবাদিক নজরুল ইসলাম , নিশিত সরকার মিঠু, মিটন চন্দ্র শীল সুজন দাশ সহ অনেকে। আয়োজদের পক্ষে অজিত দাস সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হবে বলে জানান।