ব্রিকলেন নিউজ-
মেজর জিয়াউল আহসান মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। পরিবারের পক্ষে একটি লিখিত বার্তায় জানানো হয়, সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান সেনাবাহিনীতে অত্যন্ত সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন। ১৯৮৯সালে তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীতে যোগদান করেন।কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে নির্ধারিত সময়ে ১৯৯১ সালে তিনি কমিশনলাভ করেন এবং দীর্ঘ ৩৫ বছর ১ মাস ১৬ দিন অতি নিষ্ঠার সাথেতার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি একজন প্যারা কমান্ডো প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অফিসার এবং প্রশিক্ষকছিলেন। ১৯৯৭ সাল হতে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর তিনিঅত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি স্কুলে প্রশিক্ষক হিসেবেকর্মরত ছিলেন।
তিনি একজন ফ্রি ফলার, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী জাম্পমাষ্টার এবং Sky Diving এর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
সেনাবাহিনীর সকল mandatory কোর্স এর পাশাপাশি তিনি অনেকস্পেশালাইজড কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি কম্ব্যাট ট্র্যাকিং এবং সারভাইভ্যাল কোর্স সম্পন্ন একজন দক্ষ সেনা অফিসার। US Special Force এর সাথেও তিনি ব্যালেন্স ব্যাফেলো, বেস ব্যাফেলোকোর্সের ওআইসি (Officer In Charge) বা Commanding Officer হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে দায়িত্বপালনকালে তিনিসেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদক এসবিপি (সেনাবাহিনী পদক) এবংবিএসপি (বিশিষ্ট সেবা পদক) প্রাপ্ত হন।
দীর্ঘ চাকুরীজীবনে তিনি কখনো কোনদিন উপরস্থ কর্মকর্তা বাকর্তৃপক্ষ কর্তৃক ওয়ার্নিং, সতর্ক, ভর্ৎসনা, কঠোর ভর্ৎসনা, আদালতকর্তৃক সমন বা সাজা প্রাপ্ত হননি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এতদিনচাকুরী করে তার কোন punishment বা সাজা নেই যা খুব কম সেনাকর্মকর্তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। দীর্ঘ এই চাকুরী জীবনে তার বিরুদ্ধেকোন ধরণের অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি।
তিনি তার কর্মজীবনে নীতি বর্হিভূত কর্মকান্ডের সাথে আপোসকরেননি। তাই নিজ কর্তব্যের প্রতি একনিষ্ঠ এই কর্মকর্তা ফেসবুক বাসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপপ্রচারের শিকার। তাকে নিয়েসারাদিন এক শ্রেণীর মানুষ (তার নিকট হতে যারা অবৈধ সুবিধা প্রাপ্তহননি বা যাদের অপকর্মে তিনি সহায়তা করেননি এমন ব্যক্তিবর্গযাদের মধ্যে বিভিন্ন বাহিনী হতে বহিঃষ্কৃত বা চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তাওরয়েছেন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে view ব্যবসার জন্য বিভিন্নধরনের অযৌক্তিক, মিথ্যা, বানোয়াট, মুখরোচক সমালোচনা করেআসছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে চাকুরী করতেন বিধায় কোনদিনএসব মিথ্যা ও বানোয়াট সমালোচনার প্রতিবাদন করেননি। একজনসেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে সেনা আইন অনুযায়ী তিনি কখনোপ্রতিবাদন করতে পারেন না এবং তিনি তা করেননি।
এই সকল ব্যক্তিবর্গ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাও বানোয়াট এইসব প্রোপাগান্ডা প্রচার করতো। যাতে করে তার প্রতিসাধারণ জনগনের মনে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়। তিনি সব সময়মনে করেন যে, A commando never lefts the battle field. অর্থ্যাৎযুদ্ধের মাঠ হতে কমান্ডো কখনো পালায় না। গত ০৬ আগষ্ট ২০২৪তারিখ তিনি যখন তার ঢাকা সেনানিবাসের সরকারি বাসভবনেমধ্যরাতে ঘুমিয়ে ছিলেন তখন এক শ্রেণীর অপপ্রচারকারীরা ফেসবুকেস্ট্যাটাস দিয়েছে যে, তিনি বিমাবন্দর হতে পলায়নের সময় বিমানবন্দরহতে আটক হয়েছেন।
গত ০৭ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে রাত আনুমানিক ২০৪৫ ঘটিকার দিকেঢাকা সেনানিবাসের স্টাফ রোডের নক্ষত্র বাসার ৯/এ এপার্টমেন্ট থেকেনিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৬ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ তাকে খিলক্ষেতথানা থেকে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয় মর্মে মিথ্যা তথ্য মিডিয়ায়উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ডিএমপি কর্তৃক পুনরায় সেইসংবাদ সংশোধন করে জানায় যে, সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলআহসানকে সেনাবাহিনী কর্তৃক পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় ১৬আগষ্ট যা বিভিন্ন মিডিয়া ও ডিএমপি এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেপ্রচার করা হয়। এখানেও তিনি অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের শিকার হন।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৭ অগাস্ট থেকে ১৬ই অগাস্ট পর্যন্ত এই ৮ দিন তাকে গোপন স্থানেকোনোরকম অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা হয় যা মানবাধিকারলঙ্ঘন এবং সম্পূর্ণ অবৈধ ছিল। এই বিষয় উল্লেখযোগ্য যে ৭ এঅগাস্ট থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু কুচক্রীঅনবরত তাকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা করতে থাকে যা এখনো চলছে।এসব মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচারণা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেএবং তার পারিবারিক সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি গর্বিত ও সাহসী বাহিনী যার উপরেজনগণের অগাধ আস্থা রয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সেনাবাহিনীকেদক্ষ অফিসার তৈরি করে আরও শক্তিশালী এবং আধুনিক করা হয়।যার ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশসেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা ও অবস্থান অনেক প্রশংসনীয় হয়ে উঠে।বিভিন্ন সময়ে পরিকল্পিতভাবে এই বাহিনীর দক্ষ অফিসারদের বিরুদ্ধেষড়যন্ত্র করে বাহিনীকে ধ্বংস করার একটি অপচেষ্টা চলমান রয়েছে।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অযুহাতে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদেরপরিকল্পিতভাবে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর শক্তিকেদূর্বল করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহসী, চৌকস, দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তা #Ziaul Ahsan ও আজ একইষড়যন্ত্রের শিকার, যেখানে কিছু সুযোগ সন্ধানী কুচক্রী মিডিয়ারঅপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে তাকে হেনস্তা করার চেষ্টা চলছে।