বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশে স্মরণকালের ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যত স্থীতিশীল করতে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও সহযোগিতার আহ্বায়ন জানিয়েছেন ব্রিটেনের বাঙালী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সাম্প্রতিক বন্যায় বাংলাদেশে প্রায় ৬ মিলিয়নের বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় করণীয় নিয়ে সম্প্রতি এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা অক্সফাম। এতে যোগ দিয়ে অথিতিরা অবিলম্বে সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদী পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বরোপ করে আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্যে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে অক্সফাম ব্রিটেনের সিইও হালিমা বেগম বলেন, তিনি নিজে একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিসেবে উদারতার কথা ভালোভাবে জানেন। বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে কিন্তু প্রবাসীরা বসে নেই। যে যার তরফ থেকে সহযোগিতা করছেন কিন্তু সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। প্রবাসীদের সাথে জরুরী ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে অক্সফাম সর্বদা বদ্ধপরিকর। অক্সফাম বন্যার শুরু থেকেই স্থলভাগে রয়েছে, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন সুবিধা, খাদ্য সরবরাহ এবং চিকিৎসা সহ জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করছে। কিন্তু চাহিদা অপরিসীম। ওয়েবিনারের আলোচনায় এই প্রচেষ্টাগুলোর সাথে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। ওয়েবমিনারটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন অক্সফামের পৃষ্ঠপোষক আজিজ উর রহমান এবং বাংলাদেশে অক্সফামের প্রভাবের মিডিয়া বিভাগের প্রধান মোঃ সরিফুল ইসলাম।
এতে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দার, চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদ, লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ অলিউর রহমান ওবিই, ব্যারনেস মনজিলা পোলা উদ্দিন, ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম, ডক্টর শেখ রামজি, জুলিয়ান ফ্রান্সিস, রোহিমা মিয়া, মাহমুদ হাসান এমবিই এবং বাংলাদেশে অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে।
আলোচনায় তারা বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যা সংকট মোকাবেলায় একীভূত পদ্ধতির জরুরি প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন। অক্সফাম এবং যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য এবং বাস্তব প্রভাব তৈরি করা যেতে পাওে বলেও মত দেন তারা।