ব্রিকলেন নিউজ:
ব্রিটেনের আগামী ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন দলের হয়ে। জনমত জরিপে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। এই ৩৪ প্রার্থীর হয়ে লেবার এর পক্ষে লড়ছেন বাঙালি এই ছয় নারী প্রার্থী যাদের বিজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী সবাই। এর মধ্যে গত নির্বাচনে বিজয়ী ৪ নারী প্রার্থী ও আছেন। সিদ্দিক, রুশনারা আলী,রুপা হক , আফসানা বেগম, যারা আবার ও বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন করে যে দুই প্রার্থী আলোচনায় আছেন তাঁরা হলেন ,রুমী চৌধুরী ও রুফিয়া আশরাফ।
রুশনারা আলী: রুশনারা আলী যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি। লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ২০১০ সাল থেকে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০১০ থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রুশনারা আলী। এরপর তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবরে ছায়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। রুশনারা আলীর জন্ম সিলেটে। তিনি অক্সফোর্ডের সেন্ট জনস কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
টিউলিপ সিদ্দিক: টিউলিপ সিদ্দিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার মেয়ে। তিনি টানা তিনবারের এমপি। ২০১৫ সালে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার, নারী ও সমতা নির্বাচন কমিটির সদস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন। তিনি হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্নে এলাকার স্কুলে পড়েছেন ও কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।
রুপা হক: পুরো নাম, রাবেয়া রুপা আশা হক। কিন্তু রূপা হক নামেই পরিচিত। তিনি লেবার পার্টির মনোনয়নে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। এরপর টানা তিনবার তিনি পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেবার পার্টির ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রুপা আশা হক। তাকে সর্বদলীয় সংসদীয় মিউজিক গ্রুপের ভাইস চেয়ার এবং ক্রসরেলের সর্বদলীয় সংসদীয় পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। বার্মিংহামের কুইনস শার্লটস হসপিটালে জন্ম হয় রূপা হকের। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৯ সালে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
আফসানা বেগম: আফসানা বেগম পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এমপি আফসানা বেগম। তার আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে।
রুমী চৌধুরী: রুমী চৌধুরী এবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের লন্ডন থেকে ৩০ মেইল উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে লিয়া নদীর তীরে ও বেডফোর্ডশায়ারে অবস্থিত লুটন কাউন্সিল থেকে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
রুফিয়া আশরাফ: ব্রিটিশ বাংলাদেশি রুফিয়া আশরাফ নর্থাম্পটন টাউন কাউন্সিলের মেয়র ও কাউন্সিলর। তিনি প্রথম লেবার পার্টির মনোনয়নে সাউথ নর্থাম্পটন আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। রুফিয়া আশরাফের বাবার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায়। তার স্বামী আবু তাহের মোহাম্মদ আশরাফ সিলেটের সাবেক মেয়র আ ফ ম কামালের ছোট ভাই।