জাহানারা ইমামের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটিরভার্চুয়াল স্মরণ অনুষ্ঠান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আনসার আহমেদ উল্লাহ

 

শহীদ জননী জাহানার ইমামের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষেএকাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে“শহীদ জননী: একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার ও ব্রিটিশআদালতের সাম্প্রতিক রায়-শীর্ষক এক ভার্চুয়েল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিতহয়েছে ।

২৬জুন অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল স্মরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেনসংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশা। সাধারণসম্পাদক মুনিরা পারভিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় মূলবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ, ইন্টারন্যাশনালক্রাইম স্টেট্রেজি ফোরামের ফাউন্ডার রায়হান রশীদ।

বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার দুইউপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মাহমুদ এ রউফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুমুসা হাসান, সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সহ সভাপতিনিলুফা ইয়াসমিন, সহ সভাপতি হরমুজ আলী, সহ সভাপতি মতিয়ারচৌধুরী, সহ সভাপতি মকিস মনসুর, কবি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক টিএম কায়সার, আমরা  একাত্তরের যুক্তরাজ্যের সংগঠক সত্যব্রত দাশস্বপন, উদ্যোক্তা সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সহ সাধারণ সম্পাদকসাংবাদিক জুয়েল রাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত দাশ প্রশান্ত,কার্যকরী সদস্য, বার্কিং এন্ড ডেগেনহামের মেয়র কাউন্সিলার মঈনকাদরী ও এক্টিভিষ্ট এম এম জি রব্বানী প্রমূখ।

বক্তারা শহীদ জননীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক আখ্যায়িত করে বলেন, বাঙালির সর্রবকালের সর্বশ্রেষ্ট অর্জন মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশটিকে যখন পরাজিত শত্রুরা খামচে ধরতে উদ্ধত হয়েছিলো, ঠিক তখন এদের মোকামেলায় জাতির ত্রাতা হিসেবে বজ্র কঠিন হুঙ্কার দিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন শহীদ জননী।

তারা বলেন, পাকিস্তানী শাষকদের শোষন নিপীড়ন থেকে বাঙালি জাতীকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু আবির্ভূত হয়েছিলেন ত্রাতা হিসেবে। আর পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ঘাতক দালালদের কড়াল থাবা থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছেন শহীদ জননী।

বক্তারা বাংলাদেশের আদালতে দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক রায় নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, শহীদ জননী গণআদালত গঠন করে  যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচারের যে সূচনা করেছিলেন, সেই বিচারই আন্তর্জাতিক সব আইন কানুন মেনে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ আদালত সম্পন্ন করছে। একটি স্বাধীন দেশের আদালতের বিচারকার্যক্রম সম্পর্কে অন্য কোন দেশ বা আদালত কি মন্তব্য করলো সেটি দেখার সময় নেই বাঙালি জাতির। একাত্তরে ভিকটিম হয়েছে যে দেশের মানুষ, সেই দেশ তাঁর নিজস্ব আইনে, নিজ আদালতে এই ভিকটিমদের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তী নিশ্চিত করেছে, সভ্যতার দাবিদার বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর এবিষয়টি অনুধাবন করা উচিত। তারা বলেন, ভিকটিমদের চেয়ে অপরাধীদের মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা আর যাই হোক সভ্যতার ঠিকাদার হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারেননা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০