চেয়ারম্যান, হাফেজ মাওলানা শামসুল হক, জেনারেল সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম হীরা ও ট্রেজারার আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল
টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের মসজিদ পরিচালনার শীর্ষ সেবা মূলক সংগঠন কাউন্সিল অফ মস্ক এর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর ২০২৩) লন্ডন মুসলিম সেন্টারে। টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিল এলাকার মসজিদ পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট ৫৯টি মসজিদ ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে, নির্বাচন অনুষ্ঠানে আলোচনা ক্রমে সংগঠনের ভোটার (সংগঠন কাউন্সিলর দের) প্রত্যক্ষ প্রস্তাব ও সমর্থনে এবং টাওয়ার হ্যামলেটেস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান নির্বাচন কমিশনারের পরিচালনায় প্রাণবন্ত সাধারণ সভায় কাউঞ্চিল অফ মস্ক তাদের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত দ্বায়িত্বশীলবৃন্দরা হলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হাফেজ মাওলানা শামসুল হক, জেনারেল সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম হীরা ও ট্রেজারার হিসেবে সিনিয়র সাংবাদিক ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মো: আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, আলহাজ্ব ফারুক আহমদকে সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান, মুহাম্মদ শামসুল হক’কে ভাইস-চেয়ারম্যান, মাহফিজুর রব ডেপুটি সেক্রেটারী এবং এক্সিকিউটিভ মেম্বার হিসেবে আলহাজ্ব বশির আহমেদ, ডক্টর মুহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ আতিক মিয়া, ব্যারিস্টার আহমেদ আব্দুল মালিক, নুরুল আমিন, মুসলেহ উদ্দিন, মাশুক আহমদ, মুসলেহ উদ্দিন ও ফারুক আহমদকে নির্বাচিত করা হয়। আগামী দুই বছর তারা টাওয়ার হেমলেট্স কাউন্সিলের মসজিদ গুলো পরিচালনার শীর্ষ সংগঠন ‘কাউন্সিল অফ মস্ক’ এর নেতৃত্ব দিবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেয়র লুতফুর রহমান কে সহযোগিতা করেন কাউন্সিলর মুশতাক আহমেদ ও আজম খান।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লন্ডন বারা অফ টাওয়ার হ্যামলেটেস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান, তিনি বলেন আমি এমন একটি বারার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি যেখানে ৫৫ টির বেশি মসজিদ রয়েছে। যে মসজিদগুলো কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষকে বহুমুখী সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এটা আমার জন্য একটি গর্বের বিষয়। এই মসজিদ গুলোর মাধ্যমে আমরা মানুষকে আরো বেশি করে সেবা প্রদান করতে পারব। উন্নত মানের পার্টনারশিপ ছাড়া জনগণকে কাঙ্কিত বা উন্নয়ন সেবা দেয়া যায়না। তাই কাউন্সিল অফ মস্ক এর মত দক্ষ সংগঠনের মাধ্যমে আমরা বারার মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে আরো বেশি কাজ করতে পারব। তিনি আরো বলেন শুধু কমিউনিটির জন্যই নয়, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বারা গড়তে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।
শনিবার বাদ জোহর অতিথি ও সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিল ফর মস্কের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন আল্লামা হাফেজ মাওলানা শামসুল হক। জেনারেল সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম হীরার পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইস্টলন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের চেয়ারম্যান ডক্টর আব্দুল হাই মুর্শেদ, সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব খান, সাবেক ডায়েরেক্টর দিলোয়ার হোসেন খান, দারুল উম্মাহ মস্ক এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আহমেদ আব্দুল মালিক, ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাস পাশা, সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ, সাবেক সেক্রেটারি মোহাম্মদ জুবায়ের, সাংবাদিক আব্দুল করিম গনি, নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবু, গোলাপ গজ্ঞ হেল্পিং হ্যান্ড এর চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন টিপু, গোলাপ গজ্ঞ সোস্যাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্টের সেক্রেটারি মো: দিলোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর ফারুক খান, কাউন্সিলর বেলাল উদ্দিন, কাউন্সিলর আব্দুল মালিক,
হেকনি রোড শাহ পরান মসজিদ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আতিক মিয়া, সেক্রেটারি মুস্তাকিম প্রামাণিক, সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জিলুসহ বিবিন্ন মসজিদ কমিটির সদস্য, ইমাম ও কমিউনিটির সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ।
সভায় বক্তারা কাউন্সিল অফ মস্ক’কে শুধু টাওয়ার হেমলেট’স নয় সমগ্র ব্রিটেনের অন্যতম সেরা মডেল সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আলেম-উলামা এবং ইসলামের দ্বায়ীদের নেতৃত্বে চলা এ সংগঠনটি টাওয়ার হেমলেটসের শুধু মসজিদ নয় আর্থ-সামাজিক বিষয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে আসছে। বক্তারা বলেন, একটি আদর্শ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মানে মসজিদের ভূমিকায় যে একমাত্র আলোকিত দর্শন পৃথিবীতে সেটার জীবন্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মানবতার ইতিহাসে রাসূল (সাঃ) দেখানো আদর্শ বাস্তবায়ন উম্মত হিসেবে অনুসরণ করা সকল মুমিনের দ্বায়িত্ব এবং কর্তব্য। কাউন্সিল অফ মস্ক টাওয়ার হেমলেট্স এর মসজিদ গোলোর মাধ্যমে এ বারার সামাজিক ও নৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদ পরিচালনার নেতৃত্বের মাধ্যমে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা টাওয়ার হেমলেটসে ড্ৰাগ-নাইফ ক্রাইম, খুন এবং অন্যান্য সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সমাজের সকল নাগরিক যদি তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অপরাধ নির্মূলে দায়িত্ব পালন করেন তবে এর প্রতিরোধ সম্ভব এবং এ ক্ষেত্রে মসজিদের ভূমিকা অপরিসীম। মসজিদের খতিব ও মসজিদ পরিচালনায় সংশ্লিষ্টরা শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকায় নয় একটি দেশের জাতীয় ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করতে পারেন।