অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আল-ফাখৌরা স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে।
আলজাজিরার ইমাদ জাকাউট বলেছেন, স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আলজাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের মধ্যে অনেক ফিলিস্তিনি সুরক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশপাশে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের আল-ফাখৌরা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া লোকেরা ভেবেছিল, তারা সেখানে সহিংসতা থেকে আশ্রয় পেতে পারে। তাদের অনেকে অসুস্থও ছিল। কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের একটি বার্তা পাঠাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে : গাজা উপত্যকার দক্ষিণে পালিয়ে যাও।’
জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরটি কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও বারবার স্কুল ও জাতিসংঘ পরিচালিত স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। গাজার বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।
যুদ্ধের আগে আল-ফাখৌরা স্কুলটিতেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেশ কয়েকবার আঘাত করেছিল।