‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কথা বলা সরকারের পছন্দ নয়’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কথা বলা সরকার পছন্দ করছে না। তারপরেও তাদের ‘কালচালার স্পেস’ দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি পছন্দ করি না, প্রথম কথা। কিন্তু আমরা তারপরও একটি কালচারাল স্পেস দিয়েছি। কারণ, এই সংস্কৃতিটা বাংলাদেশে আছে অনেক দিন থেকে। কিন্তু আমরা চাই তারা এই সংস্কৃতি থেকে সরে আসবে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নেবে।

তিনি বলেন, এটি খুব আনন্দের কথা নয়, মর্যাদাকর নয় যে বিশ্বের অন্য দেশগুলো যারা বিষয়গুলোতে ব্যর্থ হচ্ছে- বরং খারাপভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বলবো। আমি যদি আরও ক্রিটিক্যাল হওয়ার চেষ্টা করি যে এসব রাষ্ট্রই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গবেষণা করে দেখেছেন যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা আছে ৭০ শতাংশ বা তারও বেশি। তাদেরই পয়সায় চালানো জরিপ। আবার সেই রাষ্ট্রে এসব সংস্থা জরিপ করে দেখছে যে তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে পড়ছে বলে মনে করছেন বেশিরভাগ মানুষ, ৭০ শতাংশ মানুষ। পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। এখানে তাদের নৈতিক ভিত্তি যে নেই এটি পরিষ্কার বলা যায়।

নির্বাচনের তফসিল আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন ধৈর্য প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রদূত যারা আছেন, তারা আমাদের অতিথি। তারা যদি না মানেন ভিয়েনা কনভেনশন, আমাদের রাষ্ট্র হিসেবে দায়িত্ব আছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বিরুদ্ধে কোনও আপত্তিপত্র ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়নি বলেও জানান শাহরিয়ার আলম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কোনও রাষ্ট্রদূতই যত সীমা লঙ্ঘন করুক না কেন–আমি জানি এটি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কঠিন। কিন্তু সবারই আচরণ, কথাবার্তা, অভিব্যক্তি, এমনকি লেখালেখিও সহনীয় হওয়ার প্রয়োজন আছে।

রাষ্ট্রদূতদের কার্যপরিধির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অতীতে কিছু কিছু রাষ্ট্রদূতকে একা ডেকে তাদের কার্যপরিধির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে যে যোগাযোগ হয়েছে- আমার মনে হয় না যে এবং এর আগেও একাধিকবার তারা বলেছেন যে নির্বাচন খুব কাছে এবং নির্বাচনের আগে তারা সতর্ক থাকবেন। অতীতে ছয় মাস আগে তারা যে কথা বলেছেন এবং সেটি যদি এখন আবার বলেন, সেটির প্রভাব কিন্তু এখন অনেক বেশি।

যদি কোনও রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠাতে হয় তবে সেটি হবে দুঃখজনক জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে অন্য উপায় না থাকলে আমাদের যেটি সঠিক সেটি করতে হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০