নির্বাচিত হলে গ্রিন এলায়েন্স থাকবে সিন্ডিকেট মুক্ত
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনের আগামী ২৬ নভেম্বর নির্বাচনে দুটি প্যালেন প্রতিদ্বন্ধিতা করছে।
গত ৬ নভেম্বর সোমবার গ্রিন এলায়েন্স এর প্যানেল পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রিণ এলায়েন্স ক্যাম্পেইন কমিটির উদ্যোগে পূর্ব লণ্ডনের একটি হলে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ সেন্টারের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজন, সংগঠক ও শুভাকাঙ্খীরা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রিন এল্যায়েন্স প্রার্থী পরিচিতি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ক্যাম্পেইন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্জ্ব আফাজ উদ্দিন।ক্যাম্পেইন কমিটির সদস্য সচিব ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সেন্টারের বর্তমান সিনিয়র সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন স্থায়ী সদস্য পদপ্রার্থী মোস্তফা মিয়া।
দুই পর্বের প্যালেন পরিচিতি অনুষ্ঠানে স্থায়ী সদস্যপদ প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন- চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি,যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্জ্ব জালাল উদ্দিন, ক্যাম্পেইন কমিটির আহবায়ক এম এ মুনিম ওবিই।
আজীবন ও সাধারণ সদস্যপদ প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহতাব চৌধুরী, গ্রিন এলায়েন্স এর যুগ্ম আহবায়ক ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, বিসিএর প্রেসিডেন্ট ওলী খান এমবিই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রিণ এলায়েন্স এর স্থায়ী সদস্য পদপ্রার্থী, বাংলাদেশ সেন্টারের বর্তমান সিনিয়র সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব। তিনি বিগত সময়ে বাংলাদেশ সেন্টারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। আপনাদের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ সেন্টারের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের মাধ্যমে একটি আধুনিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করবো। যেখানে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, সেন্টারের নতুন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আবাসন ব্যবস্থা সহ নতুন প্রজন্মদের সম্পৃক্ত করে ডাইভার্স কমিউনিটির সেবার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অনুকরণীয় কাজ করতে চাই।
পরে আজীবন ও সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন গ্রিন এলায়েন্স প্রার্থী লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এমরান আহমদ।তিনি বলেন, আমাদের এলায়েন্স অভিজ্ঞ ও সাংগঠনিক দক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়ে গঠন করা হয়েছে। আপনাদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হলে- বাংলাদেশ সেন্টারকে সিন্ডিকেট ও আঞ্চলিকতামুক্ত রেখে বৃটিশ-বাংলাদেশী প্রজন্ম ও বহু সাংস্কৃতি কমিউনিটির সামনে বাংলাদেশকে আলোকিতভাবে তুলে ধরবো।
আমাদের কয়েকটি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হলো- এদেশে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা। বৃটেনের মূলধারায় বাংলাদেশীদের অর্জন ও সম্ভাবনাকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরা। কমিউনিটিবান্ধব চিন্তাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেন্টারের পাঁচশত সদস্যের বাইরে থেকে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা সম্পন্ন মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল ব্যক্তিদের সুনিদৃষ্ট কাজে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ সেন্টারকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতবদ্ধ ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গউস সুলতান, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি , সাপ্তাহিক জনমত সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা,সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, শাহ জালাল ব্যাংকের পরিচালক ও বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আব্দুল করিম নাজিম, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি রহমত আলী, সাবেক সহ সভাপতি সাংবাদিক মাহবুব রহমান, সাধারণ সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন, বিসিএর সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, কাউন্সিলার সাঈদা চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আ স ম মিসবাহ, সাংবাদিক মিছবাহ জামাল,সাংবাদিক আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, কমিউনিটি সংগঠক সাব উদ্দিন চঞ্চল, ওহিদ উদ্দিন,নাজিম উদ্দিন,আব্দুল হান্নান,দি ম্যান এন্ড কোং পরিচালক আব্দুল বাসিত, আশিকুর রহমান, জালাল হোসেন খান, বিসিএ নেতা সৈয়দ হাসান,হিলসাইট ট্রাভেলস এর স্বত্বাধিকারী হেলাল উদ্দিন খান, পংকী খান, সাবেক ছাত্রনেতা ছরওয়ার আহমদ, জেবুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম, আতিকুর রহমান,আফছার খান ছাদেক,মোহাম্মদ আবু নোমান,মামুন কে চৌধুরী, আব্দুল বাসির ,জামাল খান, প্রশান্ত পুরকায়স্থ ,ফয়েজ আহমদ, মাহমুদ আলী,এম মাসুদ আহমদ, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রেজারার ইফতেখার আহমদ সিপন,সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রাসেল, আনসার উদ্দিন,আলাউদ্দিন,নাছির উদ্দিন,জমসেদ আহমদ,রাসেল আহমদ জুয়েল,সাদেক আহমদ, আক্তার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গ্রীণ এলায়েন্স সাংগঠনিক ও প্রতিশ্রুতিশীল প্রবীন- নবীন সংগঠকদের সমন্বয়ে গঠিত।বাংলাদেশ সেন্টারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও এটি এখনও অসম্পূর্ণ। বাকী কাজ সম্পন্ন করতে প্রয়োজন যোগ্য এবং কর্মউদ্যোম কর্মীর। গ্রীণ এলায়েন্স বাংলাদেশ সেন্টারের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার সক্ষমতা রাখে।
আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ সেন্টার সিন্ডিকেট মুক্ত হয়ে পরিচালিত হবে ।
গ্রিন এলায়েন্স প্রার্থীদের মধ্য থেকে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন ইসবাহ উদ্দিন,শওকত মাহমুদ টিপু, কে এম আব্দুল্লাহ।
শেষে বাংলাদেশ সেন্টারের যারা প্রয়াত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত সহ সকলের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মৌলানা আব্দুল কুদ্দুছ।
রাতের প্রীতিভোজের মাধ্যমে গ্রিন এলায়েন্স এর প্যানেল পরিচিতি সভা শেষ হয়।