ব্রিকলেন ডেস্ক:
স্বাধীন বাংলাদেশের সমর্থনে অ্যাকশন বাংলাদেশের উদ্যোগে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে শেখ মুজিবের মুক্তি এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয় ১০০০০ বাঙ্গালির বিশাল জনসমাবেশ। সমাবেশের আগে মিছিল করে পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন করা হয়। মিছিল এবং সভা ৪ ঘণ্টা ধরে চলে। সমাবেশের মঞ্চে বিশাল ব্যানারে লেখা ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘বয়কট পাকিস্তান’! দুই পাশে চিরচেনা শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি। জনসমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন প্রবাসী সরকারের ভ্রাম্যমাণ দুত বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী, জন স্টোন হাউজ, প্রেনটিস, এডওয়ার্ডস, রেভা রাইট, রেভা ক্রন্থউইট, লেডী গিফোরড, পল কনেট। বক্তারা বাংলাদেশে গন হত্যা বন্ধ, বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য এবং পাকিস্তানকে সকল প্রকার সাহায্য দেয়া বন্ধের জন্য বিদেশী রাষ্ট্র সমুহকে আবেদন জানানো, শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি দাবী করা হয়। এসব বর্ণনা যুক্ত স্মারকলিপি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেয়া হত। এ সভায় বাঙালী কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন জ্ঞাপন করে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ করেন। তিনি এপ্রিল থেকেই বাংলাদেশ একশন কমিটির সাথে লিয়াজো রেখে আসছিলেন।
কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছেন।
লন্ডনে পাকিস্তান দুতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। তিনি লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে সমাবেশে বাংলাদেশের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন জ্ঞাপন করে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ করেন। তিনি এপ্রিল থেকেই বাংলাদেশ একশন কমিটির সাথে লিয়াজো রেখে আসছিলেন। ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ মিশন প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সে মিশনে যোগ দেন।
ছবি ও তথ্যসূত্রঃ জাফর ওয়াজেদ।