শৈলেন কুমার দাশ:
মাত্র ক’মাস হলো বাংলাদেশের মানুষের অনেক প্রতিক্ষিত ও প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। কিন্তু ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে। দেশের অপার এক অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন সংযোজন হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে এই স্হাপনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় ও প্রয়োজনকে বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এক মহা অর্থনৈতিক সফলতার দ্বার উন্মোচন করেছে। যা সত্যি এক কথায় অভাবনীয় সফলতা বলে উল্লেখ করেছেন অনেক বিজ্ঞ অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। অনেক বিশ্লেষক এই সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘একটি অসামান্য দক্ষতাপূর্ণ সুবিধাবান্ধব এবং খুব চতুর বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। মাত্র ক’মাসেই দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রেখে দেশের ব্যবসা বানিজ্যর শক্তিশালী এক কোষাগার হিসাবে পরিনত হয়েছে অনন্যা পদ্মা সেতু। এই নয় মাসেই পদ্মা সেতু থেকে আয় এসেছে ৬০৩ কোটি টাকারও বেশী। উন্নয়ন অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন তথা গতি আনতে দুর্বল এক অর্থনীতি থেকে এক অনন্য উত্তরণের পন্হায় স্বার্থক অভিযাত্রা বাংলাদেশের ঘটবে এর মাধ্যমে। যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল আর সাহসী প্রয়োজন কেন্দ্রীক ভূমিকা ও নেতৃত্বের কারণে। তাঁর এই পথ দেখানোর সাহসী নেতৃত্ব জাতির কাছে এক অনন্য পাওয়া বা অর্জন। যা জাতির উন্নয়ন ইতিহাসে একদিন সোনালী সুন্দর হরফে লেখা হবে। কারণ দেশী বিদেশী অনেক শক্তিশালী উদ্দেশ্যে প্রনোদিত বিরোধিতার জন্য যখন বিশ্ব ব্যাংক অর্থ সহায়তা থেকে সরে দাঁড়ায় বাংলাদেশের অতি কাঙ্খিত পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী কন্ঠে ঘোষণা দেন “আমরা দেশীয় অর্থায়নেই এই মহা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।” তখন অনেকে আবার তাঁর ঘোষণাকে তিরস্কারও করেছিলেন। তাঁর জনবান্ধব ও দেশের উন্নয়ন বান্ধব নেতৃত্ব যে মহাকর্মযজ্ঞের সফল সোনালী পথরেখা সাজিয়েছে তা জাতির জন্য এক মহান শক্তি ও সম্পদ হিসাবে যুক্ত হয়েছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের এক রাঙ্গা প্রভাত; প্রত্যাশার নতুন দিগন্ত। উন্নয়নের নক্ষত্র খচিত পূর্বাশার প্রান্তদেশে উজ্জ্বল এক নতুন সুর্য। গত বছর ২৫শে জুন থেকে শুরু হয় পদ্মা সেতুর নতুন পথচলা। আর তারপর থেকেই বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে সমৃদ্ধির সংযোজন ক্রমাগত বলিষ্ট ধারায়। এই মহান সংযোজনে একদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতি এসেছে অন্যদিকে পাশ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেতুটি সম্পন্ন হওয়ার ফলে বাংলাদেশের সমুদ্র যাত্রার উন্নতি ও আরও অধিক কার্যকরীভাবে প্রবেশের সুযোগ তৈরী হয়েছে। সম্প্রসারিত করেছে নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ। সেতুটি দেশের মানুষের জন্য ভ্রমণ ও যোগাযোগ ব্যবস্হাকে নিরাপদ, কার্যকরী ও যুগপযোগী করে তোলেছে। পর্যটন শিল্পের অতুল সম্ভাবনার সুযোগকে হাতছানি দিচ্ছে। শুধু প্রয়োজন এক্ষেত্রে বিশ্বের সাথে মিল রেখে সঠিক পরিকল্পনায় আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী গড়ে তোলা। পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের উন্নয়ন ইতিহাসে একটি বড় অর্জন ও মাইলফলক স্বরুপ। সেতুটি দেশের রাজধানী শহরের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলাসহ দু’টি বৃহত্তম শহর, ঢাকা ও বরিশাল মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সংযোগ স্হাপন করেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী শহরের ভ্রমণ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে এবং এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যকান্ডে প্রাণের সঞ্চারসহ নতুন শিল্প বানিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই কর্মচাঞ্চল্য সত্যি এক অভাবনীয় সাফল্যের প্রতিচ্ছবি এবং দেখার মত। কর্ম চঞ্চলতা আর প্রাণের সঞ্চার জাগিয়ে তোলেছে এই অঞ্চলকে। তাছাড়া প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হয়েছে। যা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বানিজ্যে এনেছে ইতিবাচক পরিবর্তন ও করেছে এক্ষেত্রে নতুন বানিজ্য সম্পর্কের সঞ্চার। পদ্মাসেতু চালুর মাত্র নয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ইতোমধ্যেই এই সেতুটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গেইম চেঞ্জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ। অথবা গুণীজনদের ভাষায় বলা যায় – Padma Bridge is an event, idea, or procedure that effects a significant shift in the current manner of doing or thinking about something special in country’s economic, social, cultural, environmental and even in political arena. অর্থাৎ পদ্মা সেতু হল এমন একটি ঘটনা, ধারণা বা পদ্ধতি যা দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশগত এমনকি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ কিছু করার বা চিন্তা করার বর্তমান পদ্ধতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে প্রভাবিত করে। যাকে দেশের অর্থনীতিতে মহান সংযোজন বলে নির্দ্বিধায় আনন্দের সাথে উল্লেখ করা যায়। অভিনব এই কর্মযজ্ঞ আবার সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে। এর জন্য দেশের নেতৃত্ব অবশ্যই প্রশংসায় আদরিনীয় হওয়া উচিৎ। তবে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা জোর করে তাঁর সুন্দর বক্তব্য শৈলীতে এ বিষয়ে নেতিবাচক উপস্হাপনা সংযোজন করবেন এটাই স্বাভাবিক। কারণ অহেতুক বিরোধিতার শৈলীতে আজ তাঁদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি আচ্ছন্ন। তবে ব্যাক্তিগতভাবে তিনি আমার একজন পছন্দের মানুষ। এই পছন্দের জায়গাটিকে আরও বলিষ্ট করার জন্য যৌক্তিক সমালোচনার পথে রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে উজ্জ্বলতর করার প্রয়োজন। সেইসাথে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আরও এক ধাপ অগ্রসর হয়ে এই মহান কর্মযজ্ঞের বিরোধিতা করবেন এটি তাঁর পক্ষেও স্বাভাবিক। কারণ ক্রমাগত বিরোধিতার শব্দ চয়নে আমার চিরচেনা তাঁর সুন্দর যৌক্তিক বক্তব্য আজ আর খুঁজে পাই না। যার বক্তব্যে অনেকটাই মনযোগ দিয়ে শুনতাম আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সোনালী দিনে রাজশাহীর সবুজ মতিহারে। সাম্য, সুস্হির ছাত্রনেতা হিসাবে তিনি ছিলেন আমার পছন্দের তালিকায়। আর অপর পাশ থেকে শুনবো সুভাষ সিংহ রায়ের যৌক্তিক অকাট্য নিরস বক্তব্য সিংহের হুংকারে। যা হওয়া উচিত পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার রাজনৈতিক চারণভূমিতে মনোমুগ্ধ সংলাপের অবতারণা। যা মানুষকে শেখাবে, পথ দেখাবে সম্পর্ক ও সুন্দরে আগামী সুন্দর পথ চলা। কিন্তু তা কোথায়? আর তরুণ সঞ্চালক ঝড়ো গতিতে সঞ্চালনায় কথার সৌন্দর্য্য ও তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন। দর্শকরা পুরো অনুষ্ঠান শেষে হতাশ।
পদ্মা সেতুর টোল আদায় থেকে যে ক্রমাগত বর্ধনশীল আয় সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে তা সত্যি অবাক করার মত। সেতু চালু হওয়ার প্রথম ৩০ দিনেই টোল টেক্স থেকে জমা হয়েছে ৭৬ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর চালুর প্রথম দু’মাসে টোল আদায়ের থেকে এসেছে ১৩৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ টাকা। ছ’মাসে আয় ৩৯৫ কোটি টাকা। আর নয় মাসে টোল আদায় হয়েছে ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যে হারে পদ্মা সেতু থেকে আয় আসছে তা অব্যাহত থাকলে এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় এই সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক অভিনব বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। সেতুর কারণে পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহের উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে দ্রুত গতিতে। দু’যুগ পূর্বে যে সেতুর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল এখন সেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ জেলা রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সড়ক পথে সংযুক্ত হয়েছে। তাছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিতে পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্হায় অনেক আধুনিক সুবিধার সংযোগ ঘটেছে। এক কথায় সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। তবে মাত্র নয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন পরিবর্তন আসবে একটি সেতুর জন্য তা ছিল অনেকটা স্বপ্নভূমিতে বিচরণের মত। স্বপ্নের রুপরেখা আর বিচরণের স্বপ্নীল ভূমি এখন সোনালী বাস্তব।
তবে ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাংলাদেশের বৃহত্তম এই সেতু আজ যে বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছে তার নেপথ্যে রয়েছে অনেক দীর্ঘ ইতিহাস। পদ্মাসেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। অনেক প্রতিকুলতা ও পদ্মা সেতু নিয়ে দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর একক ও দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়ন করেছেন এই মেগা প্রকল্প। বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে এত বড় প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন সত্যি অবিশ্বাস্য এবং অতি চেলেঞ্জিং।
কোন্ উপায়ে কিভাবে পদ্মা সেতুর নির্মাণ খরচ উঠে আসতে পারে সরকারিভাবে তার সুনির্দিষ্ট রুপরেখা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সভা, সেমিনারে এবং সেতু মন্ত্রীর বক্তব্যে। তবে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নানান তথ্য উপাত্ত থেকেও এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়। এই সেতু চালু হওয়ার পর দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিক উৎপাদন, সেবা, শিল্প, বাণিজ্য, পর্যটন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হবে সেটা আগে থেকেই সরকারের তরফ থেকে অনুমান করা হয়েছিল। যার বাস্তব রুপ অবলোকন করছে দেশের মানুষ এখন। প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার শুরুতেই প্রত্যাশা ছিল এই সেতু দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও জিডিপিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে তথা এক শক্তিশালী মাইল ফলক হিসাবে কাজ করবে। তাঁর ধারণা ছিল দেশের জিডিপি বাড়াবে ১.২ শতাংশ থেকে ১.৫ শতাংশ। যা সত্যি সে পথ ধরেই অগ্রসর হচ্ছে। প্রত্যাশায় ও আরো সোনালী স্বপ্নে বিভোর হচ্ছে দেশের মানুষ তাঁর নেতৃত্বে।
কিন্তু পদ্মা সেতু থেকে উপার্জিত আয় কি কাজে এবং কিভাবে ব্যবহার হবে? তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন? সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় এর মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ, সেতু নির্মাণে ব্যয় এবং রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করা হবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ ব্যয় মূলতঃ অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে। ২০১৯ সালের অগাষ্টে অর্থমন্ত্রণালয় একটি চুক্তি সম্পাদিত করে সেতু কতৃপক্ষের সাথে। সেতু কর্তৃপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পাওয়া ১ শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণের টাকা প্রতি তিন মাস পর পর ১৪০ কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এমনকি প্রতি দশ বছর পর পর সেতু মেরামতের দরকার হতে পারে, সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তার জন্য পরিকল্পনাও রাখা হয়েছে। আদায় কৃত অর্থের ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা হবে। সব খরচ মেটানোর পর বাকী অর্থ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে জমা থাকবে। যার উপর আয়কর দিতে হবে সরকারকে। তাহলে মুনাফা কিভাবে আসবে সেতু থেকে? সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সমস্ত কিস্তি পরিশোধের পর মুনাফা করতে থাকবে সেতু বিভাগ। বর্তমানে যে হাড়ে টোল আদায় হচ্ছে তাতে প্রতি বছর প্রায় ৭০০/৮০০ কোটি টাকা আয় হবে। ২০৫০ সাল নাগাদ পদ্মা সেতু থেকে এই মুনাফা দাঁড়াবে প্রতি বছর ৯০০-১২০০ কোটি টাকা। অনেকেই বলছেন ধীরে ধীরে আরো লাভজনক হয়ে উঠবে পদ্মাসেতু প্রকল্প। বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধের পর মুনাফা আরও অনেকগুণ বেড়ে যাবে। প্রতি বছর যানবাহনের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে টোল আদায়ের পরিমাণও বাড়বে। সেই সাথে আগামী ৩৫ বছর পরে যানবাহনের সংখ্যা যেমন বাড়বে তেমনি টোলের পরিমাণও বাড়বে। তখন ভ্যাট এবং আয়কর সংস্কার ছাড়া আর কোন ব্যয়ও থাকবে না তখন সেতুর আয় বলিষ্ট রুপ নেবে। আজকের পরিকল্পনা ভবিষ্যতে বিবেচনায় রাখা খুব জরুরী। আর এটি পুরো মাত্রায় অনুসরণ করা হয়েছে পদ্মা সেতুর পরিকল্পনায়। স্বপ্ন জয়ের পদ্মাসেতু চালু হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে কোটি মানুষের আর এর প্রসার ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। যুগান্তকারী পরিবর্তনের বর্ণালী স্বপন ধরা দিয়েছে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক উদাহরণ তুল্য পরিবর্তন মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। এটি জোর গলায় বলছে সকলেই; বলছে দেশের মানুষগুলো। কারণ তাদের কাছে আজ বিশাল এক নির্মাণ সম্পদের নাম পদ্মা সেতু। যার সাথে স্বপ্ন জড়িয়ে আছে দেশের ২০ কোটি মানুষের উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট