আর কত মুক্তি কে প্রাণ দিতে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

শৈলেন  কুমার দাশ:

না ফুটা কুসুম কলি যেমন বিভোর থাকে ভোরের রাঙ্গা আবিরে সজ্জিত কাননে হাসির মাধুরী ছড়াতে। তেমনি কোমল কমনীয় মমতায় সাজানো প্রকৃতির মত সারল‍্যে ঘেরা ছোট্ট কিশোরী মুক্তি বর্মণ বিকশিত করতে চেয়েছিল নিজেকে বিদ‍্যার পূণ‍্য অঙ্গনে! কারণ সে যে প্রান্তিক নৃগোষ্টীর সদস‍্য সেখানে কন‍্যা সন্তানের বিদ‍্যা অর্জন আজো অনেকটা মহাসৌভাগ্য তুল‍্য। মনের অদম‍্য আগ্রহকে সাথে নিয়ে সহপাঠীদের নিবিড় বন্ধুত্বে বিদ‍্যার অঙ্গনে যার পথচলা ধীর, স্হির, বিনয় ও নম্রতার সাথে। লক্ষ‍্য ছিল সে কন‍্যার নিজেকে শিক্ষার বর্ণিল রংগে বিকশিত করা। গড়ে তোলা নিজেকে সমাজের মূলধারার সদস‍্য হিসাবে বিদ‍্যা অর্জনের মধ‍্য দিয়ে। কিন্তু পূর্ণ হলোনা সে আশা বাংলার এই শ‍্যামলী কন‍্যা মুক্তি বর্মনের! গতকাল ২রা মে ২০২৩ নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার এই কোমল সুন্দর এসএসসি পরীক্ষার্থীনীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক পাষন্ড  যুবক। উপজেলার বাউসী ইউনিয়ন এর প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে মুক্তি বর্মণ (১৬)। জানা যায় ২রা মে মঙ্গলবার দুপুর ১ ঘটিকায় প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে সহপাঠীদের সাথে বাড়িতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের শামছু মিয়ার ছোট ছেলে মোঃ কাওসার মিয়া (১৮) রাস্তায় দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মুক্তি রানীকে গুরুতর আহত করে। তখন সহপাঠীরা দৌড়াদৌড়ি ও চিৎকার করতে থাকলে আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী জড়ো হয়ে দ্রুত মুক্তিকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্হা মারাত্মক বিবেচনায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত স্হানান্তরের পরামর্শ দেন।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিকাল ৫ ঘটিকায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আদ‍্যপান্হ ঘটনা। সোশ‍্যাল মিডিয়ার সুবাধে গোটা বিশ্বময় এই শান্ত মায়াবী তরুণীর ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এভাবে তো এই মায়াবী মুখটি সোশ‍্যাল মিডিয়ায় দেখার কথা ছিল না?

প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর কন্যা সন্তান হিসেবে সে জানতো সবখানেই তার জীবণ চলার পথ মসৃন নয়; বহু কন্টকাকীর্ণ। কিন্তু এতটা নির্মম হত‍্যাকান্ডের শিকার হবে কেউ জানতো না। সাদামাটা জীবনের আঙ্গিনায় বাড়তি কোন আড়ম্বরের উপস্হিতি ছিল না এবং দারিদ্রের কারনে  সে সুযোগও ছিলনা। কিন্তু তার চাল চলনে, বলনে ও কথনে ছিল দৃঢ়তা। এক অদম‍্য মানসিক শক্তি তাকে জড়িয়ে রাখতো। তাই দিনের পর দিন উত্যক্ত করেও কোন সায় পায়নি বখাটে লম্পট কাওসার। ছোট্ট এই কিশোরীর প্রচন্ড মানসিক দৃঢ়তাই সহ্য হয়নি লম্পটের। তাই প্রকাশ্য দিবালোকে সহপাঠীদের সামনেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্রমাগত কুপিয়ে হত‍্যা করেছে এই ষোল বছরের কোমল কমনীয় শারদের মেঘের মতো সুন্দর এই মেয়েটিকে! আজ সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে কিশোরী মুক্তির মায়াভরা মুখ দেখে বার বার কত প্রশ্ন, কত জিজ্ঞাসা  মনের ভিতর মোচড় দিচ্ছে আমার মত কোটি কোটি মানুষের। ঘটনার বিস্তারিত জানলে আপনিও মমতায় বেদনায় আপ্লুত হবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কারণ আপনার মমতা সব সময় দেশের মানুষকে জড়িয়ে স্বপ্নের সোনালী ছবি আঁকে সম্প্রীতি ও উন্নয়নের। অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলো বড়সড় করে মুক্তির ছবি দিয়েছে। কিন্তু এমন ছবিতো আমাদের দেখার কথা ছিল না। এইমাত্র ‘নিপীড়িতের কন্ঠস্বর’ পেইজবুক পেইজের মাধ‍্যমে জানলাম নেত্রকোনা জেলা ডিবি পুলিশ, সিআইডি পুলিশ ও বারহাট্টা থানা পুলিশের সমন্বয়ে ঘঠিত বিশেষ দল এই বখাটে খুনী কাওসারকে জঙ্গলে পালিয়ে থাকা অবস্হায় গ্রেফতার করেছে।

এমন জঘন্য কাজের তীব্র প্রতিবাদ দেশে বিদেশে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়, সবাই বলছে এবং বলবে এই দোষী ব্যাক্তিকে দ্রুততর সময়ের মধ‍্যে আইনের আওতায় এনে এমন শাস্তি দেওয়া হোক যা দেখে অন্য কেউ এমন করার সাহস না পায়। এ কথা সবাই বলবে এটাই স্বভাবিক। কিন্তু আমার প্রশ্ন কতদিন বার বার এমন ঘটনা ঘটবে আর আমাদেরকে এমন চাওয়ার পূণরাবৃত্তি করতে হবে? আর আমার মত অনেকে লিখবে আপনাকে উদ্দ‍েশ‍্য করে এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা! কিন্তু কেন? অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন দীর্ঘদিন ধরে সংখ‍্যালঘুদের সাথে এ ধরনের সংগঠিত অপরাধ সমূহের বিচার না হওয়া, ঢিলেঢালা বিচার এসব অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে। যাকে তাঁরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি বলছেন। এখন একটু আলোকপাত করা যাক এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি বলতে বিশ্ব বিজ্ঞজনেরা কি বলছেন, Culture of injustice is lack of fairness or justice.  Sometimes it is referred to as “societal” or “systematic” and it reflects inequities built into or stemming from ideology, values, language, imagery, symbols, and unstated assumptions. Absence of justice, violation of right or of the rights of another, unfairness, an unjust act, or wrong actions against the candid and credolous people.
অর্থাৎ বিচারহীনতার সংস্কৃতি হল স্বচ্ছ বিচার বা ন্যায়বিচারের অভাব। কখনও কখনও এটিকে “সামাজিক” বা “পদ্ধতিগত” ত্রুটি হিসাবে উল্লেখ করা হয় এবং এটি সমাজের আদর্শ, মূল্যবোধ, ভাষা, চিত্র, প্রতীক এবং অনির্ধারিত অনুমানগুলির মধ্যে তৈরি বা উদ্ভূত অসাম্য ও অনায‍্যকে প্রতিফলিত করে। ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতি, অধিকার লঙ্ঘন বা অন্যের অধিকার হরণ, একটি অন্যায‍্য, অন্যায় কাজ, যা সহজ, সরল, নিরীহ, শান্ত এবং বিশ্বাসী লোকদের বিরুদ্ধে অন্যায় কর্ম। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞজনদের এই চিন্তা বা অভিমতের পুরো প্রতিফলন আজ বাংলাদেশের সমাজ জীবনে। বিশেষতঃ একশ্রেণীর মানুষকে ঘিরে। সুতরাং এর ইতিবাচক পরিবর্তন ছাড়া সামাজিক ন‍্যায়বিচার এবং সম্প্রীতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। যা দেশের সার্বিক উন্নয়নের অন‍্যতম শর্ত।

দীর্ঘদিন ধরে দেশে বিচার বিভাগের এই নীরব ও রহস‍্যজনক আচরণ দেশের শান্ত, নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর শত সহস্র অনায‍্য, অন‍্যায় আচরণের জন্ম দিচ্ছে। সম্পত্তি ব‍্যবসা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, জমিদখল, হত‍্যা, খুন, ধর্ষন, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ, হিন্দু স্হাপনা, প্রতিষ্ঠান, জায়গা, রাস্তার নামে কৌশলে ইসলামীকরণ, উদ্দেশ‍্যপূর্ণভাবে লাভ জেহাদের কৌশল প্রয়োগসহ আরো কত কি! গত বছর প্রশাসনের সামনে নড়াইলে হিন্দু কলেজ শিক্ষকের গলায় জুতার মালা, ছাত্র কতৃক সাভারে হিন্দু শিক্ষক খুন, সিএনজি চালক কতৃক হবিগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকা তরুণী সুপ্তি দাশকে দ্রুতগামী সিএনজি থেকে ফেলে খুন, হিন্দু ছেলের সাথে মুসলিম মেয়ের প্রেমের ঘটনা রটিয়ে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে এসে পিঠিয়ে খুন, উদ্দেশ‍্য প্রনোদিতভাবে পঞ্চগড়ের আউলিয়া ফেরীঘাটে মহালয়ার দিনে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটিয়ে শতাদিক হিন্দু তীর্থযাত্রী খুন। এসব তো মাত্র ক’টি ঘটনা। যেহেতু এ গুলোর সাথে আমার কলমের সম্পর্ক ছিল তাই বিষয় গুলো আমি জানি। বাস্তবতা আরো অনেক অনেক বেশী বেদনার রংগে সাজানো। শিক্ষকের গলায় জুতার মালার বিষয়টিয় দায় সাড়া ব‍্যবস্হা হয়েছে। আর বাকী ঘটনা গুলোর ঢিলেঢালা বিচার চলমান আর কোনটি বিচারিক প্রক্রিয়াই আসেনি। মানুষ ভয়ে এই প্রক্রিয়ায় যেতে সাহস পায়নি। যার প্রনোদনায় দেশব‍্যপী সন্ত্রাস আজ উৎসবে পরিনত হয়েছে। ফরিদপুরে বিশাল হিন্দু সম্পত্তি মসজিদের নামে দখল যা সর্বত্র আজ ব‍্যবসা হয়ে  দাঁড়িয়েছে, গোপালগঞ্জে দরিদ্র পরিবারের কিশোরী কন‍্যাকে জোরপূর্বক তোলে নেয়া, আগৈলঝাড়ার ১৫ বছরের হৈমন্তীকে প্রতিবেশী মৌলানার ছেলে কতৃক অপহরণ,  উজিরপুরের বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাস (সাবরেজিস্ট্রার) কে অপহরণ গত ২০শে এপ্রিল। আর সর্বশেষ ২রা মে খুন হল বারহাট্টার প্রেমনগরের মুক্তি বর্মন বখাটে কাওসারের হাতে নৃশংসভাবে দা এর কুপে কুপে। বিষয়টি ভাবতেই হিমশীতল হয়ে আসছে শরীর। কত কষ্টে যে এই কোমল মেয়েটির প্রাণ গিয়েছে? দেশের প্রতিটি শুভ চিন্তার মানুষকে বলছি এই তন্বী তরুণী যদি আপনার আদরের কন‍্যা হতো তাহলে যে কাজটি করতেন সবাই মিলে হাসি খুসীতে পূর্ণ এই মেয়েটির জন‍্য তাই করুন। যত কষ্টে মুক্তির প্রাণ গিয়েছে ঠিক ততটা কষ্টেই ফাঁসিতে যেন ওর খুনী কাওসার এর প্রাণ যায় সেই ব‍্যবস্হা করুন। কাওসারের পিতা শামসু মিয়ারও যেন কঠিনতম শাস্তির ব‍্যবস্হা হয়। কারণ তার কাছে তার বখাটে ছেলের কুকর্মের কথা মুক্তির পরিবার থেকে বার বার জানানোর পরও সে কোন ব‍্যবস্হা নেয়নি। যদি সে ভুক্তভোগী পরিবারের আবেদনে সাড়া দিত তাহলে এই সরল সুন্দর মেয়েটিকে আজ করুণভাবে প্রাণ দিতে হতো না। সুতরাং কাওসার এর পিতাও তার অসীম গুণধর পূত্রের সম অপরাধ অপরাধী। সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তুলুন কোনভাবেই যেন কোন অপশক্তি এই খুনীকে রক্ষা করতে কোন অপকৌশলের আশ্রয় নিতে সাহস না পায়। আর যেন কোন মুক্তিকে এমন করুনভাবে প্রাণ দিতে না হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  আজ সোশ‍্যাল মিডিয়ার পুরো গগন জুড়ে এই ছোট্ট সুন্দর অতি সরল নিষ্পাপ মুখের ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যেন পরম মমতায় আপনাকে উদ্দেশ‍্য করেই বলছে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী জননী আমার আমাকে কেন ওরা থাকতে দিল না আপনার সোনার বাংলার, স্মার্ট বাংলার পূর্ণ কমনীয় রুপ দেখতে ২০৪১ সালে রুপকল্পের বাস্তবায়নে? কেন আমাকে আপনার সাফল‍্যে গাঁথা, মমতায় আঁকা সোনালী কর্মের পটভূতিতে দাঁড়িয়ে আপনাকে প্রণাম করে আপনার কাজের সঙ্গী হতে দিল না? বড় ইচ্ছা ছিল অজস্র কর্মে স্বার্থক আর মায়ায় জড়ানো আপনার হাতের পরশ পড়ুক আমার মাথায়। এ জনমে আর এটি হলো না মহামান‍্যা। আমার এই আশা অপূর্ণই থেকে গেল এই জন্মে। আরেক জন্মে আপনার সাথে অবশ‍্যই দেখা হবে আমার। সেদিনে আপনার সমস্ত মমতা জড়ায়ে নিব প্রাণে আমার। সেদিন আপনি আপনার অজস্র কর্মের নিপুণা হাতের মমতার মাধবী রঙ্গে সাজিয়ে দেবেন আমায়! দেবেন তো? আর সেই সাথে শ‍্যামলী বাংলার মধুর মমতায় সাজানো অনেক প্রাণ বলছে মুক্তি বর্মণ তুমি আমাদের ক্ষমা করোনা। আমরা তোমাকে কেন রক্ষা করতে পারিনি? তোমার হাসিমাখা প্রাণের সৌরভ কেন মোদের সাথে মমতায় জড়িয়ে রাখতে পারিনি? তাই তুমি আমাদের বিদ্ধ করো প্রতিনিয়ত অনুসূচনার তীব্র বেদনায়! প্রশ্ন করো বার বার কবে কোন শ‍্যামলী বেলায় আমার বেড়ে উঠার নিষ্কণ্ঠ  আসর সাজাতে পারবে তোমরা অশোকে কিংশুকের আলপনায়? সেদিন না হয় ডেকো আমায় আসতে তোমাদের আঙ্গিনায়! তা না পারলে আমাকে ডেকো না আসতে আর! এনে আমাকে এত কষ্টে বিদায় দিও না আর অবেলায়! তোমার এই সারল‍্য আর প্রীতিময় প্রাণের সুষমা দিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত বিদ্ধ করো তুমি! আমরা কেন, কেন পারিনি তোমার বেড়ে উঠার সুন্দর পরিবেশ দিতে?

দেশে কেন যেন আজ একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে, হয়েছে তৈরী অহেতুক মেনে নেয়ার সংস্কৃতি, অন‍্যায় আস্ফালন মেনে নেয়ার সংস্কৃতি, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ না করে নীরবতার সংস্কৃতি। এ বলয় থেকে প্রতিটি মানুষকে বেড়িয়ে আসতে হবে এদেরকে প্রতিরোধ করতে। প্রয়োজন সবার একসঙ্গে সংঘবদ্ধ সম্প্রীতির উন্নয়নের মধ‍্যদিয়ে পথচলা। মানুষ হিসাবে আমাদের প্রতিটি মানুষের এটি সামাজিক দায়িত্ব আছে। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ আপনার প্রতি বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করে  উন্নয়নের স্বার্থক সফল অগ্রযাত্রায় দীপ্তপায়ে অগ্রসরমান নেতৃত্ব আপনি ছাড়া কে দিবে? স্মার্ট সোনালী স্বদেশ গড়ায় আজ আপনার জ‍্যোতির্ময় অঙ্গীকারে ছড়িয়ে পড়ুক বিচারহীনতার সংস্কৃতি মুলোৎপাঠনের বর্ণিল রংগ। তাতেই সেজে উঠবে মমতা ভালোবাসার উন্নয়নের মধ‍্যদিয়ে সার্বিক উন্নয়নের রুপকল্পে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ!
অন্ততঃ দু’ চারটা খুনেরও যদি দ্রুত সময়ের মধ‍্যে শতভাগ কার্যকরী বিচার হয় তাহলে দেখবেন এসব অত‍্যাচার নিপীড়ন নেমে আসবে শুণ‍্যের কোটায়। মানুষের মনে সাহসের সঞ্চার হবে, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করবে। মানুষের এই অহেতুক ভয়, মেনে নেয়া আর নীরবতার লক্ষণরেখা ভেদ করে ধীরে ধীরে ‘সুশীল সুশাসন’ নামের অধরা অধিকার মানুষের ভোরের আঙ্গিনায় হাতছানি দিবে এবং সেই বিশ্বাসে সেজে উঠবে সমাজ জীবন। সবার জীবনের বর্ণিল আয়োজনে স্মিতবরণী হবেন আপনি! আর আপনার মন্ত্রীদেরকে বলবেন বক্তব‍্য প্রদানে খুবই সচেতন হতে; সঠিক যুক্তিগ্রাহ্য বক্তব্যে প্রদানে আগে হোম ওয়ার্ক করে নিতে। তাঁদের কোন কথা যেন সমাজের কোন অংশের পক্ষে বেশী না যায়। আর তাঁরা সেই বক্ত‍ব‍্যে অনুপ্রাণিত হয়ে যেন অন‍্য অংশের উপর  নির্যাতনের সুযোগ না পায়। একবার সমাজে একটি অনিয়ম নিয়ম হিসাবে চালু হয়ে গেলে তা পূর্বের অবস্হায় ফিরিয়ে আনা খুবই দুষ্কর!
আপনার মমতাপূর্ণ হস্তক্ষেপে মুক্তি বর্মনের হত‍্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। আর কোন মুক্তি বা সুপ্তিকে এভাবে নির্মম হত‍্যার শিকার হতে  না হয় সে প্রত‍্যাশায় রইলাম।

তথ‍্যসুত্র:  ইন্টারনেট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০