মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী শেষে অনুভূতি প্রকাশ করে বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র মাইক সিনেমাটি এক কথায় অসাধারণ। আমি এ সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক শাহীনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সিনেমায় দাইয়ান, সানজিদ, মেঘসহ চার শিশুশিল্পী কী যে অভিনয় করলো, তা এক কথায় অনবদ্য। এ সিনেমার মধ্যে কোনো ছেদ নেই। সিনেমা দেখে আমি অভিভূত। আশা করি এ সিনেমার জন্য শাহীনসহ শিল্পী ও কলাকুশলীরা সম্মানিত হবেন। আমার ধারণা বঙ্গবন্ধুর অনুসারী যারা, তার সঙ্গে আমি যুক্ত করবো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ যারা এ সিনেমাটি দেখবেন, তারা দেখে অভিভূত হবেন।
সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এ চলচ্চিত্রটি দেখে দর্শক আন্দোলিত ও উৎসাহিত হবে। নতুন প্রজন্মের জানা দরকার যে, বায়ান্ন ও একাত্তরে কী হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ মানুষকে উজ্জীবিত ও আন্দোলিত করে। সেই কারণে এ ভাষণকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব এ ভাষণকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানানো।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, ‘মাইক’ সিনেমা প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ কালে কালে, যুগে যুগে সবসময় প্রাসঙ্গিক। মাইক সিনেমাটি সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করি।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা বলেন, মাইক সিনেমা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি খুবই খুশি। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ৭ মার্চের ভাষণকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, মাইক সিনেমা দেখে আমি খুবই অভিভূত। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িবে পড়বে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মাইক চলচ্চিত্র দেখে আমি অভিভূত। এ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল, সেটি উঠে এসেছে। স্বাধীনতাবিরোধীরা এদেশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা তা পারেনি। আমি আশা করি, চলচ্চিত্রটি তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেবে।
কবি অসীম সাহা বলেন, যে স্বপ্ন আমরা দেখতাম, এ দেশের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখে অনুপ্রেরণা পাবে। সেটি এ চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। এ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পীরা অসাধারণ অভিনয় করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার অনন্যতা দেখিয়েছে।
বিশেষ প্রদর্শনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন মাইক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, জয়িতা মহলানবিশ, নীপা খান, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খন্দকার মেঘদূত জলিল, মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিতসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, মাইক চলচ্চিত্রের নির্বাহী প্রযোজক তানিম পারভেজ, সংগীত পরিচালক লাবিক কামাল গৌরব, শিল্প নির্দেশক আহসান আহমেদ, পোশাক পরিকল্পনাকারী ইমন খন্দকার, বিবার্তার সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক সরকার, সাংবাদিক নেতা আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, গৌরব ’৭১-এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম, নির্মাতা ও অভিনেতা কচি খন্দকার, কবি ও নির্মাতা টোকন ঠাকুর, নির্মাতা প্রশান্ত অধিকারী, নির্মাতা রেজা ঘটক, কবি আহমেদ শিপলু ও কবি ও ভাস্কর রিঙকু অনিমিখ, বিবার্তার বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান রোমেল উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল (বিপুল)।