বিজ্ঞপ্তিঃ
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত পরিবর্তন করতে চাইলে অক্সফোর্ড ও কেইমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যোগসূত্র স্থাপন করতে হবে। তাদের শিক্ষা পদ্ধতি ও গবেষণার মানদন্ড অনুসরণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাংলাদেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত উন্নয়ন সম্ভব। শনিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসবে যোগ দিয়ে এমন পরামর্শ দেন অক্সফোর্ড ও কেইমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদরা। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ইউকে’র উদ্যোগে আয়োজিত শতবর্ষ উৎসবের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেইমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ইজাজ হক। ড. এজাজ আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার অংশীদারিত্বের উপর জোর দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, থার্ড সেক্টর কনসালটেন্ট বিধান গোস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশের বাইরে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা, এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের পরিচালনা পরিষদের অপর সদস্য সংবাদিক তানভীর আহমদে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল মেধাবী শিক্ষার্থীরা অক্সফোর্ড ও কেইমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন, তাদেরকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে শতবর্ষ উদযাপনের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ড. এম শাহ নেওয়াজ খান, ড. আজাদ ও আবীর হাসান নিলয়।
অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক প্রতিনিধি, এ এইচ জেড এর পরিচালক গোলাম মর্তুজা, ভাবী ঘি এন্ড পিকল এর পরিচালক শাহরিন শাওন, প্রিন্ট ব্রিটানিয়ার পরিচালক আমীনুল হাই, হোসেন ল এসোসিয়েটস এর প্রিন্সপাল সলিসিটর ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেন, হ্যান্ডস অন হার্ট কেয়ার এর পরিচালক পুস্প দেব ও এ্যাডওয়ার্ড আলম এন্ড এসোসিয়েটস এর শাহ আলম সরকার কে শুভেচ্ছা জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান।
এর আগে দুপুরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক রেডক্লিফ স্কয়ারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে যোগ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসবের সফলতা কামনা করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবেন কলেজের প্রেসিডেন্ট ও ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর রিসার্চ প্রফেসর লায়নেল তারাসেঙ্কো সিবিই। এ সময় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অমৃতা পন্ডিত, সাইফুর রহমান, ড. মানজিদা আহমেদ, ড. সালমা আক্তার, মোহাম্মদ ওমর শরীফ সোহান, ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স এর ওমর ফারুক সরকার, ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কানিজ ফাতিমা সহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহর থেকে আগত প্রায় দুই শতাধিক অ্যালামনাই ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
শতবর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই নাদিরা সুলতানা রাখির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজ ও ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ঘুরে দেখান। বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ব্রিটেনের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সারোয়ারী ই আলম, মিলন বিশ্বাস ও সওগাতুল খান। কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তি শিল্পী পপি শাহনাজ ও সংবাদ উপস্থাপক তানজিনা নূর-ই সিদ্দীকী।
অনুষ্ঠান শেষে র্যাফেল ড্র বিজয়ী ও শিশু কিশোরদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার কাজী আশিকুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম, ঝুমুর দত্ত, রওশন জাহান পলি, হারুনুর রশীদ, ফাতেমা লিলি, শওকত আলী বেনু, এম কে জিলানী, প্রদীপ মজুমদার, ফজলে এলাহী, রথীন্দ্র গোস্বামী, আরিফুর রহমান, শাকিল জুবায়ের ও তাসলিমা তাজ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসবের আয়োজনটি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।