শিক্ষিকা সুপ্তিঃ জীবন দিয়ে সন্মান রক্ষা –

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

শৈলেন কুমার দাশঃ

প্রাণচাঞ্চল‍্যে ভরপুর এক নবীন সুন্দর তরুণীর নাম সুপ্তা দাস। যার চোখে মুখে ছিল প্রতিষ্ঠা আর সুন্দর জীবনের। গ্রামীণ সারল‍্যে সাজানো যার সুন্দর ব‍্যবহার প্রথম পরিচয়েই মুগ্ধ করতো সবার মন।মনের প্রচন্ড সুন্দর শক্তিতে সাজানো এক তরুণী। জীবনকে সুন্দর, রঙ্গিন করে সাজানোর অভিপ্রায়ে মাত্র নবীন পথে পদচারণা তাঁর। নবীন স্বপ্নগুলো কুসুমিত হবার প্রতিক্ষায় আনন্দে বিচরণ। ফুলের মতই কোমল সুন্দরে সাজানো শিশুদের জীবনকে সুন্দরের আলপনায় ভরিয়ে দেয়ার অমিত সুন্দর মানসে সুপ্তা প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের শিক্ষকতায় নিজেকে সাজিয়ে তোলে নিজের কুসুমিত সুন্দর প্রচেষ্টায়। যা আমি শুনেছি অনেকের কাছে। গ্রামবাংলার সারল‍্যে ঘেরা অন‍্য দশটি তরুণীর মতই সুন্দর কমনীয় মন তার। চোখে মুখে দীপ্তিময় ভালবাসা ও শ্রদ্ধার প্রভা মানুষের ও তার প্রিয় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের প্রতি। আজ এই কোমলমতি শিশুরা তাদের অতি প্রিয় একজন শিক্ষক ও আদরে, সোহাগে সাজানো মানুষের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত চিরজীবনের জন‍্য। এভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে ফেলে তাদের প্রিয় শিক্ষককে খুন করার জন‍্য। এইতো গত ১১ই আগষ্ট সকাল ৯টায় অতি পরিচিত শায়েস্তাগঞ্জের প্রিয় নিশাপট সরকারী প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে যাবার পথে অটোরিকশা চালক ও তার সহযোগীরা তার সম্ভ্রমহানী করার চেষ্ঠা করে। তাতে সে প্রাণপণে বাঁধা দেয়। অটোরিকশা চালক ও তার সহযোগীরা তাঁকে প্রচন্ডভাবে উপুর্যুপরি আঘাত করলে সে সংজ্ঞহীন হয়ে পড়ে। তখন এই নরপশুরা তাঁকে মৃত ভেবে চলন্ত অটো থেকে রাস্তায় সজোরে ফেলে দিয়ে চলে যায়। আর তাতেই প্রাণ যায় এই দায়িত্ব পরায়ন শিক্ষিকা সুপ্তা দাসের। এ হত‍্যা মানুষের সভ‍্যতা ও সুন্দরের পরিপন্হী। তাই এ হত‍্যার উপযুক্ত বিচার ও দোষীদের কঠিনতম শাস্তির দাবী আজ অত্র অঞ্চলের সব মানুষের।

সুপ্তা দাস নামের এই শিক্ষিকা তরুণীকে আমি ব‍্যক্তিগতভাবে চিনিনা। কিন্তু তাঁকে চিনি আর দশটি গ্রামীণ তরুণীর মতই। যারা প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে শিক্ষিকার চাকুরী নিয়ে স্বপ্ন রচনা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত গ্রামীণ জীবনে। তাঁকে চিনি আমার নিজের অন্ততঃ দশ জনের অধিক ভাতিজী ও ভাগ্নী যারা সুপ্তার মতই প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের শিক্ষকতার পেশায় নিয়োযিত। যারা খুব ভোরে ঘুম হতে উঠে। ঘরর কাজ, রান্না-বান্না সম্পন্ন করে ত্রস্ত গতিতে একটি ব‍্যাগ কাঁদে নিয়ে স্কুলের পথে পাড়ি জমায় সেই কাকডাকা ভোরে সিএনজি চালিত অটোরিকশায়। যারা সকাল ও দুপুরের খাবার একসাথে ব‍্যাগে নিয়ে পথে পা রাখে সকালের সোনালী আলোয়। কখনোবা ঝড় ঝঞ্জাকে মাথায় নিয়েই এ পথ চলা। আমি শুধু চেয়ে দেখি ওরা কি সুন্দর পারদর্শী। ঘর কন্নার কাজসহ স্কুলের সুন্দর দায়িত্ব পালনে। হাসি আনন্দে মেশানো এই তরুণীদের মধ‍্যে স্বপ্নের কোন কমতি নেই; নেই কমতি প্রকৃতির মতই সুন্দর শিশুদের প্রতি ভালবাসার। সেভাবে আমি সুপ্তা দাসকে চিনি আমার অনেক আদরের ও ভালবাসার মানুষ গুলোর মত। যাদের স্বপ্ন ও সুন্দরে আমিও রঙ্গিন প্রতিনিয়ত মনে। সর্বোপরী চিনি গ্রামীণ বাংলার স্বপ্নে বিভোর এক নবীণ শিক্ষিকা রুপে। যার চোখে মুখে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। অটোরিকশা গুলোতে বসেও তাঁরা  উচ্ছল ও প্রাণবন্ত। স্বপ্নময় সুন্দর ব‍্যবহার সবার সাথে। সহযাত্রী ও চালকের প্রতিও তাদের সহানুভুতি মনকে স্পর্শ করে। এমন প্রাণের উচ্ছাস, শিক্ষা ও সারল‍্যে সাজানো তরুণীদের আগমন ছোট্ট এই গ্রামীণ বাহন গুলোকে মূখরিত করে তোলে। আনন্দময় এক যাত্রার মোহনীয় পরিবেশ রচনা করে তাঁরা তাঁদের প্রীতি ও সুন্দরের রঙ্গে অজানাভাবেই। Covid-19 মহামারীর কারণে আমার দেশে দীর্ঘদিন থাকার সুবাদে অটোরিকশায় এমন প্রীতি ও সুন্দরের সমাহার দেখে আমি খুব আশান্বিত ছিলাম। আর ভাবতাম দেশের প্রগতি ও উন্নয়নে অনন‍্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে নতুন প্রজন্মের নারীদের এই স্বাধীন সুন্দর বিচরণ। অনেকের সাথে কথা বলেও তাঁদের সুন্দর স্বপ্নের সোনালী দিগন্তকে মনে ধারণ করতাম পরম আনন্দে। ভাবতাম যে দেশের মেয়েরা আজ এবভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বিদ‍্যালয়, কলে-কারখানা আর গার্মেন্টস শিল্পে সে দেশের উন্নয়ন আর কেউ ধাবিয়ে রাখতে পারবে না।

নারী নারায়নী। নারীকে সেই সুন্দর ও শক্তির মধ‍্যেই সম্মান করতে হয়। তবেই শান্তি ও সুন্দরের পথ ধরে উন্নয়নের সাধনা অগ্রসর হয়। সুন্দরকে ধারণ করতে না পারলে, সুন্দর বিকাশের পরিবেশ তৈরী হয় না। তৈরী হয়না নারীর সক্ষমতা ও কর্মের শতভাগ প্রয়োগের ক্ষেত্র। ফলে দেশের জনশক্তির অর্ধেকই কোন উৎপাদনশীল কমাকান্ডে ব‍্যয়িত না হয়ে, অনুৎপাদনশীল কাজে ব‍্যয় হয় তথা শ্রমের অপচয় হয়। দুর্ভাগা দেশ এ অমিত শক্তিকে কাজে লাগাতে না পেরে উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় ছিটকে পড়ে। ফলে সুশীল সুন্দর জীবনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। নারী সুন্দর, প্রীতি আর মমতাপূর্ণ মানুষের প্রতীক। নারীর প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন ও তাকে সহযোগিতা প্রয়োজন। তার কাজের যোগ‍্য সুন্দর পরিবেশ রচনা করা সমাজের পূর্ণ উন্নয়ন ও বিকাশের জন‍্য প্রয়োজন। নারীর স্বতস্ফূর্ত, স্বাধীন ও আগ্রহব‍্যঞ্জক অংশগ্রহণ ব‍‍্যতিত দেশ আংশিক উন্নয়নের পথ ধরেই অগ্রসর হয়। উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ‍্যে আদৌ পৌঁছনো সম্বব নয়। তাই নারীর প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা, স্বাধীন ও সুন্দর কাজের পরিবেশ তৈরী করা সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন‍্যই প্রয়োজন। এটি তাদের প্রতি দান বা অনুদান নয়। এটি তাদের ন‍্যায‍্য ও মাববিক অধিকার। আর এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় গোটা সমাজই উপকৃত হবে। প্রতিষ্ঠিত হবে দেশে গতিশীল উন্নয়ন ধারা। নারীর প্রতি ভয়-ভীতি, অসম্মান প্রদর্শনের কারণে নারী যদি থমকে দাঁড়ায়।তবে বুঝে নিতে হবে দেশের উন্নয়নও থমকে দাঁড়াবে। নারীর নির্ভিক, নিঃসংকোচ অংশগ্রহণ ব‍্যতিত উন্নয়নের বর্ণিল দিগন্ত আমরা কোন দিনই স্পর্শ করতে পারবো না।

শিক্ষিকা সুপ্তা দাসকে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক ও তার সহযোগী যারা  প্রকাশ‍্য দিবালোকে তাঁর সাথে জঘন‍্য আচরণ করে হত‍্যা করেছে। তাদেরকে অতি সত্তর আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠিনতম শাস্তির ব‍্যবস্হা করা প্রয়োজন। যাতে করে ভবিষ‍‍্যতে এমন কর্ম শুধু একজন শিক্ষিকার প্রতিই নয়, যে কোন একজন নারীর সাথে কোন নরপশু  এমন কর্মের ভাবনাই করতে সাহস না পায়। দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্হা ও নীতিনির্ধারক মহল এ বিষয়টি  অধিক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন বলে আমার বিশ্বাস। যদি দেশের অমিত নারী শক্তির মনে ভয়-ভীতি ও সন্তস্ত্রের সংস্কৃতি একবার বদ্ধমূল হয় তবে তাঁকে ও তাঁর শক্তিকে পূর্ণোদ‍্যমে কাজে ফিরিয়ে আনা খুবই জঠিল এবং অনেক সময় ও সম্পদের ক্ষতি সাধন হয়। ফলে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া স্হবির হতে বাধ‍্য। তাই কোনভাবেই এ শক্তির অসম্মান ও অবহেলা করা যাবে না। যোগ‍্য সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করে সর্বত্র কাজের যোগ‍্য পরিবেশ ও চলাচলের ক্ষেত্র অধিক নিরাপদ করা প্রয়জন। সে জন‍্য আইন প্রয়োগকারী সংস্হা, নীতিনির্ধারক মহল, সামাজিক প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি ও কম‍্যুনিটির লোকেদেরকে একসাথে কাজ করা দরকার। তবেই একটি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরী হবে। যেখানে নারী নয় শুধু, পুরুষও নিরাপদে, নির্বিঘ্নে শান্ত-নিবিড় মনে কাজে মনযোগী হবে। যা উন্নয়নের অগ্রসর যাত্রাকে ক্রমাগত লক্ষ‍্যের দিকে ধাবিত করবে।

এখন দেখা যাক জগতবিখ‍্যাত বিজ্ঞজনেরা এ বিষয়ে কি বলেন -” Empowering more women to work, results in better growth of economies, specially developing countries. This is because women’s economic empowerment, increases economic diversification, boosts productivity and income equality, resulting in other positive development outcomes.” নারীর কাজে অধিকমাত্রায় অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের ফলে যেকোন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়ন অনন‍্য মাত্রায় পৌঁছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর প্রভাব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ নারীর অধিক মাত্রায় কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের ফলে স্হবির তথা নীরব শ্রম গতিশীল হয়ে উঠে। যা নারীর ক্ষমতায়নের সুশীল পথে অগ্রযাত্রা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৈচিত্র্য আনয়ন করে, উৎপাদনের ক্ষেত্রে গতিশীলতা সঞ্চার করে। আয়ের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতা আনয়নের মধ‍্য দিয়ে সুন্দর পরিবার, সমাজ, সামাজিক প্রতিষ্টান এবং সর্বক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ সুন্দর নেতৃত্ব তৈরীর মধ‍্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় কাঙ্খিত উন্নয়ন  অর্জনের পথে। তাই নারী শক্তি সর্বদাই পূজনীয় ও সম্মানের সর্বক্ষেত্রে, সর্ববস্হায়।  এ সম্মান, শ্রদ্ধা যতক্ষণ পর্যন্ত কোন সমাজে সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন পর্যন্ত দেশ প্রকৃত উন্নয়নের নিশানা খোঁজে পাবে ন।

দেশ যখন উন্নয়নের পথে অগ্রসর হয়  তখন নানাবিধ সমস‍্যা এর পথ রুখে দাঁড়াতে চায়। তখন সমাজের প্রতিটি মানুষকে নিজ নিজ অবস্হান থেকে এই রুদ্ধ পথে পা রাখার সাহসী কাজে অবতীর্ণ হতে হয়। এটি শুধুমাত্র সরকারের একার কাজ নয়। স্বাধীন দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। আমরা অনেক সময় নাগরিক দায়িত্ব ভুলে যাই। ফলে অপশক্তি শক্তিশালী হয়ে উঠে। যা আমাদের পরিবেশ ও জীবনকে অসুন্দর করে তোলে। তাই এই নাগরিক দায়বদ্ধতা কি, শুধু তা শিখতে হবে তা নয়;  এর প্রতি সুযোগ‍্য সম্মান প্রদর্শন করা ও এর প্রয়োগ কৌশলও জানা প্রয়োজন। তবেই আপনার আমার সামাজিক দায়িত্ব পালনের সেবায় অসুন্দর ও অপকর্মের মুলোৎপাঠন হয়ে সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক ও উন্নয়নের ধারা স্হিতিশীলতার পথে অগ্রসর হবে।

শায়েস্তাগঞ্জের নিশাপট সরকারী প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের সজীব, সুন্দর শিক্ষিকা সুপ্তা দাস যদি আপনার কন‍্যা, বোন অথবা আপনার আত্মীয় হতো তাহলে আপনি কি করতেন? আজ সেই কাজটি প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সবাইকে করার জন‍্য অনুরোধ করছি। এইমাত্র হবিগঞ্জের বর্তমান প্রজন্মের সাহসী তরুণনেতা দৈনিক আমার হবিগঞ্জ  এর সুযোগ‍্য ও বলিষ্ঠ সম্পাদক ও প্রকাশক সুশান্ত দাসগুপ্ত লিখেছেন এই শিক্ষিকার হত‍্যাকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বদরগাজী গ্রামের বাসিন্দা  মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র মতিন মিয়া। এই জঘন‍্য অপরাধী মতিন মিয়ার অতি দ্রুত গ্রেফতারসহ যেন কঠিনতম বিচার হয়। সে জন‍্য প্রশাসনসহ সর্বসাধারণকে বলিষ্ঠ ও কার্যকরী ভূমিকা পালনের জন‍্য অনুরোধ করছি। যেন শিক্ষিকা সুপ্তা দাসের মত আর কোন তরুণীর এমন করুন পরিনতি না হয়। এমন বিচার হওয়া প্রয়োজন যাতে ভবিষ‍্যতে এই জঘন‍্য পাশবিক চিন্তার অধিকারী মতিনেরা এমন কর্ম করার চিন্তাই মাথায় না আনতে পারে। শুধু এই অনুরোধ টুকু আপনাদের সবার কাছে (আইন প্রয়োগকারী সংস্হা, বিচার বিভাগ ও জনসাধারণের কাছে)  আমার। এই মেয়েটিকে আপনাদের আপনজন ভাবুন এবং এর জন‍্য যা করনীয় তাই করার চেষ্টা করুন। তাহলেই এই পাশবিক শক্তি বার বার সুন্দরকে ধ্বংস করার লালসায় লিপ্ত হবেনা, পৃষ্ঠ হবে না মানবতা এভাবে পথের ধুলায় বার বার। শেষে প্রাণবন্ত, হাস‍্যোজ্জল তরুণী, শিক্ষিকা সুপ্তা দাসের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আমরা তোমায় হায়ানাদের কবল থেকে রক্ষা করতে পারিনি বলে। নর্থ আমেরিকায় একজন Elementary School (প্রাথমিক বিদ‍্যালয়) এর শিক্ষকের কত সম্মান ও যত্ন করা হয় সরকার এবং জনসাধারণের পক্ষ থেকে। কারণ এরা ভবিষ‍্যত সুন্দর মানুষ তৈরীর প্রাণান্তকর প্রচেষ্ঠায় লিপ্ত। এমন ঘটনা এখানে হলে মানুষ বুঝার আগেই সরকার কঠিনতম ব‍্যবস্হা গ্রহণ করতো। দুর্ভাগ্য  আমাদের, আজও শিক্ষকেরা আমাদের দেশে অবহেলার সারিতেই দাঁড়িয়ে আছেন। ফলে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা; শিক্ষিকাকে অটোরিকশা থেকে ছুড়ে ফেলে হত‍্যা করে সামান‍্য অটোরিকশা চালক! এ সাহস এরা পায় কোথায়? এর কারণ তো একটাই বিচারহীনতার সংস্কৃতি। এ লজ্জা কি রাষ্ট্রের কর্তা ব‍্যক্তিদের কোনভাবেই স্পর্শ করে না?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০