ইংল্যান্ড প্রবাসী মুরাদ খান বিতর্ক!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

ব্রিকলেন নিউজঃ

আমি ‘দেশদ্রোহী’ নই, ‌দেশপ্রেমী সংস্কৃতিকর্মীঃ মুরাদ খান 

 

সম্প্রতি বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে আলোচিত নাম মুরাদ খান। মূলত
গত ২২ মে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কারণে  শুরু হয় আলোচনা।  এই ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এই মুরাদই সেই মুরাদ কিনা তা নিয়ে চলছে খোঁজ।

জানা যায়, সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনের নির্দেশনা কর্মশালা উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের  একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত। এতে সমাপনী অনুষ্ঠানে মুরাদ খানকে মঞ্চে দেখা যায়। পরে সেই ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। সিলেটের স্থানীয় পত্রিকা, জাতীয় পত্রিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিষয়টি আলোচনা শুরু  হয়। মূলত ৭১ টেলিভিশনের ফারজানা রুপার ৭১ জার্নালে আলোচনার সূত্র ধরে, বিষয়টি দেশে বিদেশে আলোচনায় চলে আসে।

মুরাদ খানকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার কারণ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার একটি বিতর্কিত প্রতিবেদন ” অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’ এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে করা প্রতিবেদন।  সেই প্রতিবেদনের বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে কণ্ঠ দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড প্রবাসী তিন সাংস্কৃতিক কর্মী, তাদের একজন হলেন  এই মুরাদ খান।

মুরাদ খান বাংলাদেশ এবং ব্রিটেনে বহুল পরিচিত নাট্যকার ও নাট্যকর্মী,  আরণ্যক, প্রাচ্যনাট এর মত সংগঠনে কাজ করা মুরাদ খান দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড প্রবাসী। ইংল্যান্ডে তাঁর নাট্য সংগঠন “পূর্বানাট” বেশ সুনামের সাথে, সল্টি ওয়াটার , ব্রিকলেন ৭৮ , সেক্টর ১২ সহ উল্লেখ যোগ্য কিছু কাজ করেছেন, যা মূলত ব্রিটেনে বাঙালির আত্মপরিচয় ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটেন প্রবাসীদের অবদান নিয়ে।

আল জাজিরায় তার কন্ঠ শুনে ব্রিটেনের সংস্কৃতিকর্মী থেকে শুরু করে সবাই অবাক হয়েছিলেন সেই সময়। তার প্রেক্ষিতে মুরাদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দায় স্বীকার করে একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছিলেন। এবং তিনি আল জাজিরা কতৃক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। এতে করে ব্রিটেনের সংস্কৃতিকর্মী গণ বিষয়টি নিয়ে আর মাতামাতি করেন নি। কারণ মুরাদ খানের আদর্শিক জায়গাটা মোটামুটি সবার কাছেই পরিচিত ছিল।কিন্ত সম্প্রতি সময়ে সিলেটে শিল্পকলা একাডেমিতে তার উপস্থিতি নিয়ে আবার ও আল জাজিরার বিষয়টি সামনে চলে আসে।


বিষয়টি নিয়ে মুরাদ খান এক লিখিত বার্তায়, কে এই মুরাদ খান শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিটি হুবুহ পাঠকেদের জন্য তুলে দেয়া হলো—–++


সম্প্রতি আমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক ও গনমাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ-

অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন শীর্ষক আল জাজিরার একটি কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে একটি মহল আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজেদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয় নিয়ে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করলেও সম্প্রতি সিলেট শিল্পকলা এবং গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের আমার উপস্থিতি নিয়ে বিব্রতকর নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে স্বার্থান্বেষী-ঈর্ষাকাতর একটি গোষ্ঠী, যাদের একাংশ ব্রিটেনে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্ছিষ্ট হিসেবে কুখ্যাত। তারা নির্লজ্জভাবে আমাকে দেশবিরোধী বলারও ধৃষ্ঠতা দেখাচ্ছে। অথচ এই অপপ্রচারকারীরা আমার পরিচয়, আমার রাজনৈতিক ভাবনা সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত রয়েছে। আমি মনে করি এরা ‘সুনজরে‘ এসে নিছক ‘ক্ষুদ্র স্বার্থ’ উদ্ধারের লক্ষ্যেই এসব অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
আল জাজিরার বানোয়াট প্রতিবেদনের কয়েক লাইনে আমার কন্ঠ ব্যবহার প্রসংগে সম্পর্কে ইতোমধ্যে যা বলেছি, তা এখানে আবারো তুলে ধরছি। প্রথমত আমি এই প্রতিবদেন তৈরিতে কখনো জড়িত ছিলাম না এমনকি এটি প্রচারের আগে এর বিশদ কন্টেন্ট সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। আর্টিস্ট হিসাবে শুধু কয়েকটা লাইন পড়েছি। এটি নির্মাণে কারা জড়িত তাও জানতাম না। বিলাতে শিল্পী নিয়োগ দেয়া হয় এজেন্সীর মাধ্যমে। একটা এজেন্সীর মাধ্যমে বাংলায় কন্ঠশিল্পী হিসাবে কাজ করার জন্য বার্মিংহাম থেকে লন্ডনে গিয়ে একদিন কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। আমি নিজেও এভাবে আমাদের সংগঠন পূর্বানাটের জন্য এজেন্সীর মাধ্যমে শিল্পী নিয়ে থাকি বা এখনো নেই।
আমি জানতাম না কুখ্যাত ডেভিড বার্গম্যান এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা এর সাথে জড়িত। বারবার বলার পরও আমি রেকর্ডিং এর আগ পর্যন্ত স্ক্রিপ্ট/পান্ডুলিপি পাইনি। রেকর্ডিং এর সময়ে শুধু আমাকে লাইনগুলো দেয়া হয়েছে বলার জন্য। অন্য কারো লাইন/সংলাপ আমি জানিনি। আমার রেকর্ডিংএর সময় অন্য সহ-শিল্পীর রেকর্ডিং একসাথে করা হয়নি। আলাদা আলাদা করে একেকজনের লাইন বা ভয়েস নেয়া হয়েছে।
রেকর্ডিংএর সময় আমাকে দেয়া লাইনগুলো পড়ে মনে হয়েছে এটা দূর্নীতি নিয়ে একটা প্রোগ্রাম হতে পারে। দূর্নীতি এবং তার বিরুদ্ধে প্রোগ্রাম হলে তাতে কন্ঠ দেয়া আমি তাতে খারাপ কিছু দেখিনি। তাই ছোটো অক্ষর বা ‘স্মল প্রিন্ট‌’ বলে এ রকম কয়েক পাতার এক বিশাল চুক্তিপত্রে না পড়ে দস্তখতও করেছি।
আমার এই ভয়েস কিভাবে ব্যবহার হবে তা আমি বিন্দুমাত্র জানিনা। একটা আপাত নিরিহ কথা এক ঘন্টার একটা ছবিতে নানাভাবে ব্যবহার হতে পারে। রেকর্ডিং এর পর ২/৩ মিনিটের কাজ পুরা একঘন্টার তথ্যচিত্র্রে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখে আর সবার মতো আমিও স্তম্ভিত হয়েছি।
আমি যদি আগে থেকে ডেভিড বার্গম্যানের জড়িত থাকার কথা যদি জানতাম, তাহলে যত ভালো প্রোগ্রামই হোক না কেন আমার তাতে জড়িত থাকার কোন অবকাশই ছিলো না। বার্গম্যান যখন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্যা পায়তারা করছিলো তখন আমি বার্মিংহামে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করে দিনের পর দিন নানা কর্মসূচী পালন করেছি।
আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি এই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর অন্য অনেকের মত আমিও আমার মত-রাজনৈতিক দর্শনের বাইরে আমার কণ্ঠ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ায় পীড়িত, অবাক এবং বিস্মিত হয়েছি।

সেক্টর ১২ নাটকের মঞ্চে মুরাদ খান

পুরো স্ক্রীপ্ট না জানিয়ে আমার কন্ঠ এভাবে ব্যবহার করা একটা মিডিয়া প্রতারণা এবং আমি এই প্রতারণার শিকার। আমি এর আগেও এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি, এখনো করি। আমি এখনো এই প্রতারণার ধকল কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি।
২. সম্প্রতি সিলেট শিল্পকলা এবং গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত এক ‘নির্দেশনা কর্মশালায়’ আমাকে জড়িয়ে যে কথা উঠেছে, তাতে আমি রীতিমত হতবাক। আমি তো উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কয়েক যুগের পদচারণা আমার।
আমি নাট্যচর্চা করি, ইংল্যান্ডে থাকি। সম্প্রতি সিলেট বেড়াতে গিয়েছিলাম এবং সেই সময় আমি জানতে পারলাম নাটকের একটা কর্মশালা হচ্ছে সিলেট শিল্পকলা একাডেমীতে। একসাথে এক জায়গায় বেশ কয়জন নাটকের লোকজনের সাথে পরিচয় হবে এই আশায় কর্মশালার একেবারে শেষের দিকে আমি সেখানে যাই। নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছি নাটকের লোক হিসাবে। এই কর্মশালায় আমি কোন প্রশিক্ষক নই বা আমন্ত্রিত অতিথিও ছিলাম না। এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রায় সবাই যখন শুভেচ্ছা জানিয়ে মতামত প্রকাশ করছিলেন, তখন আমিও আমার ভালোলাগার কথা বলি। আমি অনেককেই চিনতাম না। ইতিবাচক চিন্তাধারার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ অনেককে একসাথে দেখে ভালো লেগেছে।
এখানে যেমন রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই, তেমনি এই জায়গায় আমার উপস্থিতিকে নিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করা এবং আমাকে ‘দেশদ্রোহী’ প্রমাণে আদাজল খেয়ে লেগে যাওয়া দেখে আমি বিস্মিত। আমি আজন্ম মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন মানুষ। আল জাজিরার বিতর্কিত প্রতিবেদনে আমার কণ্ঠ ‘নিছক দুর্নীতি’ কিংবা ‘দুর্নীতি বিষয়ক কোন অনুষ্ঠানে’ ব্যবহৃত হবে মনে করে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এবং আগে থেকে প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তর না জেনে এতে অংশ নিয়ে আমি মারাত্মক ভুল করেছি, তা আমি নিঃসঙ্কোচে স্বীকার করি।একইসাথে আমি বলতে চাই যে- নিছক একটি ভুলকে কেন্দ্র করে আমাকে দেশবিরোধী-রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যায়িত করার কোন অবকাশ নেই।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক টনি হকের ইন্টারভিউ গ্রহণ কালে টনি হক ও মুরাদ খান

৩.
নিছক ‘দুর্নীতি’ কিংবা ‘দুর্নীতি বিষয়ক কোন অনুষ্ঠানে’ আমার কণ্ঠ/ভয়েস প্রদানকে পুঁজি করে সামাজিক মাধ্যম এবং পত্র-পত্রিকায় আমাকে নিয়ে যে রমরমা লেখালেখি চলছে তাতে সিলেটের এবং বিলেতের আমার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জড়িত। এরা আমার চিন্তাধারা, অতীত এবং বর্তমান কর্মতৎপরতা সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে থাকাকালীনেও যেমন আমি মূলধারায় ছিলাম তেমনি যুক্তরাজ্যেও বাংলা ও বাঙালী এবং মূলধারায় এর সম্মিলন ঘটাতে রয়েছি সক্রিয়। দেশে ও বিদেশে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমার সাফল্য আনেককেই অনুপ্রানিত করলেও কিছু মানুষকে ঈর্ষাকাতর করেছে। ধারনা করি, এই ঈর্ষাকাতরতা থেকে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে কেউ কেউ সচেষ্ট রয়েছেন, রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করেছিলাম কিছু বলবো না এবং নিজের সম্পর্কে কিছু বলা বিব্রতকরও। কিন্তু বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে।
আমি দেশের রাজনীতি করি না, রাজনৈতিক কোনো দলকে সমর্থন করি না বা কোনো দলের সদস্য নই। আমি একজন নাট্যকার এবং নাটকসহ অনেক সৃষ্টিশীল কাজের সাথে জড়িত। বহির্বিশ্বে বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করে চলেছি। বিলেতের মূল ধারায় আমাদের এ কাজ নানা ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-সক্ষমতার মানুষ গুরুত্ব নিয়ে দেখছে। বিলেতের মূল ধারার সংস্কৃতিক কর্মকান্ডে আমরা বেশ সক্রিয়। আমরা আন্তর্জাতিক ভাবে ‘বাংলাকে’ অন্য এক উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাই এবং বিলাতের বহুভাষী-জাতি পরিমন্ডলে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বাংলা উপাদান যোগ করতে চাই, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম গর্ববোধ করে। প্রতি বছর ১০ থেকে ১২টি ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন, বহির্বিশ্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা নববর্ষ পালন, প্রতি বছর নৌকা বাইচ, মুক্তিযুদ্ধে বার্মিংহাম থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের আংশগ্রহন নিয়ে নাটক সেক্টর ১২, মুক্তিযোদ্ধাদের মৌখিক ইতিহাস ধারন এবং বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে তা সংরক্ষণ করা, বহির্বিশ্বে গত দুই বছ‌রে স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানমালা তারই ধারাবা‌হিকতা মাত্র।
আমি মহান মুক্ত‌িযুদ্ধে‌রপক্ষের একজন স‌ৈ‌নিক এবং আমার সব কা‌জে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল‌্যবোধ এবং চেতনার বাস্তবায়‌নে কাজ ক‌রে চ‌লে‌ছি। এটা আমার অর্জন, এটা আমার অস্তিত্ব। এ অর্জন একদিনে তৈরি হয় নি, তাই আমি সংশ্লিস্ট সকলকে অনুরোধ করছি, আমার দেশপ্রেম, দেশের প্রতি ভালবাসা এবং দেশের জন্য কাজ নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ভুলকে ভুল হিসেবে দেখুন। ঈর্ষাণ্বিত হয়ে নিজেদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে আমার ভুলকে আমার দেশপ্রেম এবং রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না।
জয় বাংলা!
মুরাদ খান: নাট্যকার।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা  যায়, সিলেটের সংস্কৃতিতে নেতৃত্বদানকারী অনেকের,   জেলা কালচারাল  অফিসার অসিত বরণ দাশের সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্ধ রয়েছে, পাশাপাশি  বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের  সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হিসাবে অনিরুদ্ধ ধর শান্তনুকে মেনে নিতে পারছেন না সিলেটের স্থানীয়রা । অনিরুদ্ধ  ধর শান্তনু  হবিগঞ্জ থেকে সিলেটের দায়িত্ব পালন করুক সেটি চান না।  তারা চান সিলেটের স্থানীয় কেউ সেই দায়িত্বে থাকুক। মূলত এই দুইজনকে  সরিয়ে দিতেই  মুরাদ খান ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে  বলে  গুঞ্জন রয়েছে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০