সুব্রত দাশ খোকনঃ
স্টুডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের অনেক ছেলে মেয়ে যুক্তরাজ্য এসেছে এবং আরও আসছে।বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা আগেও এখানে ভালো করেছে, আগামীতেও করবে।
যখন কেউ প্রথমে আসে তাকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
১. থাকবার ব্যবস্থা। যাদের এই দেশে আত্মীয় স্বজন নেই তারা কিছুটা ঝামেলার মধ্যে থাকে।
সমাধান হচ্ছে কিছুদিন এইসব ঝামেলা অসুবিধা নিয়েই দিন পার করে দেবার মানসিকতা তৈরি করা। কিছুদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান নিজেই করতে পারা যায়।
২. রান্নাবান্না করা। অনেকেই এইটা পারেনা। তাই প্রথমদিকে কষ্ট হয়। সমাধান হচ্ছে রান্না করতে করতে সবাই একসময় পাকা রাধুনি হয়ে যায়।
৩. চাকরি পাওয়া এবং চাকরি করা। চাকরি পাওয়াটা তুলনামূলক সহজ কিন্তু চাকরি করাটা অনেক কঠিন। কারণ ইংল্যান্ডে কাজের পরিবেশ গতি সবই আলাদা। তবে কিছুদিন সহ্য করে, কষ্ট করে আয়ত্ত করে নেওয়া যায়। সবাই পারে আপনিও পারবেন।
৪. টিউশন ফি দেওয়া। অনেক টাকার বোঝা সামনে। কী হবে? কীভাবে হবে?
এইটাও কাজ করেই জোগার করা যাবে৷ কিছু হয়ত দেশ থেকে আনা লাগবে।
৫. পড়ালেখা করা। আসছেনই পড়তে। পড়তে হবেই। প্রথম প্রথম খুব কঠিন লাগতে পারে। আদতে খুব কঠিন না। সামান্য পড়ালেখা করলেই দেখবেন আত্মবিশ্বাস পাবেন।
যারা আসবেন তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসুন। হাসতে হাসতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার শক্তি অর্জন করবার পদ্ধতি আবিষ্কার করুন।
হতাশ, নেতিবাচক মানুষ হতে হাজার মাইল দূরে থাকুন।
যুক্তরাজ্য ইন্টারনেশনাল স্টুডেন্টদের জন্যে স্বর্গরাজ্য। পড়বেন, কাজ করবেন এবং জয় করবেন।
কাউকে তেল মারার দরকার নাই, শুধু দরকার স্বপ্নের সাথে পরিশ্রম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয় করে এগিয়ে যাওয়া।
হারানোর কিছুই নেই। শিখবার মতন মন থাকলে কেউ কাউকে থামিয়ে দিতে পারেনা কোন দেশেই।
যুক্তরাজ্য বসেই আছে মেধাবীদের পুরষ্কৃত করতে।
হর্নের শব্দ নেই, ট্রাফিকজ্যাম নাই, ধুলা নাই, খাবারে ভেজাল নাই, চিকিৎসা ফ্রি, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ নাই, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নাই, ভালোবাসা প্রেম প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন বাধা দেবার কেউ নেই, ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে অপ্রয়োজনীয় আইন নেই, পুলিশের বাড়াবাড়ি নেই, ছেলে মেয়েকে আলাদা করে দেখবার মানসিকতা নেই! এইসব নেই মানে নেই। যাদের এইসব দরকার তাদের এই দেশ ভালো লাগতে না পারে।
যারা আসবেন তাদের জন্যে শুভকামনা। যারা আসবার প্লান করেছন দ্বিধাহীনচিত্তে চলে আসুন।