জুয়েল রাজ:
এক যুগের ও বেশী, দীর্ঘ নির্বাসনের পর শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এমন তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক। চ্যানেল এস কে দেয়া সাক্ষাতকারের পর বিষয়টি ব্যাপক ভাবে আলোচনায় আসে।
এম এ মালেক বলেন, বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তারেক রহমান বাংলাদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্ত বর্তমান সরকার যে পরিমান আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে, তাতে আমরা শংকিত, দেশে ফিরলে জনাব তারেক রহমান সাহেবকে বিচারের নামে প্রহসন সাজিয়ে, যে কোন সাজা দিয়ে দিতে পারে। তাই আন্তর্জাতিক ভাবে আমরা একটি জনমত গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা নিশ্চিত হতে চাই, দেশে ফিরলে জনাব তারেক রহমান কোন প্রহসনের মুখোমুখি হবেন না। তার নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
এবং সেটা অনেক দূর এগিয়েছে, আশা করছি খুব দ্রুতই সেই সুসংবাদ জাতি জানতে পারবে। এই মুহুর্তে আমরা ম্যাডাম বেগম খালেদাজিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। ম্যাডাম যদি দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য আসেন, সরকার যদি সেই অনুমতি দেয়, তাহলে জনাব তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।
জনাব মালেক, আরো বলেন, সারা বাংলাদেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে জনাব তারেক রহমানের দেশে ফেরার, তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরবেন আওয়ামী লীগ বানের জলের মত ভেসে যাবে।
তারেক রহমান দেশে গেলে, বাংলাদেশী পাসপোর্ট নাকী ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে ফিরবেন এমন প্রশ্নে, তিনি জানান, নিশ্চয় বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়েই তিনি ফিরবেন। কিন্তু বর্তমান হাই কমিশন তাঁর পাসপোর্ট নবায়ন করবে কী না সেটি একটি বিষয়। অন্যতায় বিকল্প ভাবে হতে পারে সেটা ব্রিটিশ পাসপোর্ট বা অন্যকিছু।
উল্লেখ্য বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়া, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, আছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বারবার। সরকার কোনভাবেই তাঁকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না, উপরোন্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রেসকনফারেন্সের বক্তব্য “রাখে আল্লাহ মারে কে” প্রচারের পর বিএনপি ধরেই নিয়েছে, সরকার খালেদা জিয়াকে আর দেশের বাইরে যেতে দেবে না। তাই তারেক জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে।
২০০৮ সালে সেনা শাসিত সরকারের সময়, রাজনীতি করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন জনাব তারেক রহমান। এর পর থেকে সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন। বাংলাদেশের আদালতে, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, অর্থ পাচার সহ বেশ কিছু মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং কিছু মামলা এখনো বিচারাধীন অবস্থায় আসলেই তারেক জিয়া দেশে ফিরবেন নাকী, রাজনৈতিক বক্তব্য হিসাবেই বিএনপির সভাপতি এমন বক্তব্য দিয়েছেন সেটি নিয়ে আলোচনা করছেন ব্রিটেনের বাঙালি লোকজন।
