অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য সুসংবাদ
বাঁধন দাসঃ আগামী বছর ২০২২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে চালু হচ্ছে নতুন ভিসা “স্কেল আপ” উচ্চ শিক্ষিত ও পেশাগতভাবে দক্ষ অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য ‘স্কেল আপ’ নামে এই ভিসা আগামী বছর থেকে চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক।
ব্রিটেনে ওয়ার্ক পারমিটসহ অন্যান্য পূর্ণকালীন কাজের ভিসার ক্ষেত্রে স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের হোম অফিস থেকে স্পন্সরশিপ লাইসেন্স নেওয়া থাকতে হয়।‘টি আর টু’ বা ব্রিটেনের বাইরে থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানীর লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে,বিনিয়োগকারীকে নানা শর্ত পূরণ করতে হয় কিন্তু নতুন ‘স্কেল আপ’ ভিসার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার হোম অফিসের লেইসেন্স লাগবে না। আবেদনকারীর ভিসা আবেদন দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাচাই করবে হোম অফিস। নতুন ভিসার ক্ষেত্রে ন্যূনতম, বছরে ৩৩ হাজার পাউন্ড বেতন প্রদান করতে হবে, নিয়োগকারী কোম্পানি কমপক্ষে তিন বছরের পুরনো ও ন্যূনতম দশজন কর্মী এবং কোম্পানির বছরে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকতে হবে। ভিসার আবেদনকারী জব অফার লেটার ও নিয়োগদাতা কোম্পানির কাগজপত্র দিয়ে ভিসা পাবেন। ব্রিটেনে ছাত্র ও অভিবাসী ভিসার পরামর্শকরা বলছেন, এই ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে ব্রিটেনে পাঁচ বছর বসবাসের পর আবেদনকারী ব্রিটেনে ‘ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন’ বা স্থায়ী বসবাসের সুবিধা পাবেন। চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, নার্সসহ পেশাজীবীরা এ ভিসায় ব্রিটেনে আসতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন বেতনসীমা ৩৩ হাজার পাউন্ড হওয়ায় কম দক্ষ কোনও কর্মীর ক্ষেত্রে এ ভিসার সুবিধা নেওয়া কঠিন হবে। অন্যদিকে, বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসায় যারা ব্রিটেনে বসবাস করছেন বা আসছেন তারাও কোর্স শেষে এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে করে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশী ছাত্রদের এইদেশে, স্থায়ী হওয়ার পথ যেমন সুগম হবে, তেমনি নতুনদের ও যুক্তরাজ্যে আসার নতুন দরজা খুলবে বলে আশা করছেন ।