8

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট লোকসান কাটিয়ে উঠতে বিশ্বের অনেক বড় ব্যাংকই শাখা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের দাবি, গ্রাহকরা এখন সশরীরে ব্যাংকের কার্যক্রমে অংশ নেয়ার চাইতে অনলাইনে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবা গ্রহণে বেশি আগ্রহী। অনেকেই বলছেন, মহামারী ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে।
লয়েডস ব্যাংকিং গ্রুপের রিটেইল ডিরেক্টর ভিম মারু বলেন, অন্য অনেক ব্যবসার মতো আমরাও লক্ষ করেছি যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুলনামূলক কম মানুষ আমাদের শাখাগুলোতে এসেছেন। আর শাখাগুলোতে গ্রাহকদের সরাসরি উপস্থিতির হার দিনে দিনে কমছে। মূলত ব্যাংকের শাখাগুলোর কাজ হলো গ্রাহকদের নিবিড়ভাবে সেবা দেয়া। কিন্তু গ্রাহকরাই যদি সেখানে না যান, তাহলে পুরো আয়োজনই ব্যর্থ হয়ে যায়।
তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে অজুহাতেই শাখাগুলো বন্ধ ঘোষণা করুক না কেন, পুরো বিষয়টির সমালোচনা করেছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। এক বিবৃতিতে ইউনাইট ইউনিয়ন বলছে, উচ্চ মুনাফার এ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এত দিন ধরে যারা শ্রম দিয়ে এসেছেন এবং যাদের জন্য ব্যাংকটি আজ এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে, তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। ব্যাংকের শাখা বন্ধের এ সিদ্ধান্ত কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শ্যারন গ্রাহাম বলেন, এ খাতের উচিত তাদের সামাজিক দায়িত্বগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। পাশাপাশি গ্রাহক ও কর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধতাগুলোও উপেক্ষা করা যাবে না। এসব শাখা বন্ধের মাধ্যমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বহু কর্মীকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।