বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের প্রতিবাদে লন্ডনে সমাবেশ

সুশান্ত দাশ প্রশান্ত –
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব, শারদীয় দূর্গা পূজায়, গুজব ছড়িয়ে, পরিকল্পিত ভাবে ধারাবাহিক সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে লন্ডনে, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার ডাকে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশ।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে, সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুবি হকের পরিচালনায়, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বিকাল ৫ টা থেকে শুরু হয়ে তিন ঘন্টা ব্যাপী চলে প্রতিবাদ সমাবেশ। লন্ডনের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী সহ শতাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন এই প্রতিবাদ সমাবেশে।
সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশার প্রারম্ভিক বক্তব্যে, বৃষ্টি আর তাঁর কান্না একাকার হয়ে গিয়েছিল। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হরমুজ আলী, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক কর্মী স্মৃতি আজাদ, নারী নেত্রী, সৈয়দা নাজনীন সুলতানা শিখা, পুষ্পিতা গুপ্তা, সিপিবি নেতা আবেদ রহমান, রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, ব্যারিস্টার সৈয়দ রুম্মান, কয়েছ আলী, অজন্তা দেব রায়, কামরুল ইসলাম তুষার ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত দাশ গুপ্ত, প্রশান্ত দাশ সুশান্ত, আনসার আহামেদ উল্ল্যাহ, প্রশান্ত পুরকায়স্থ, সুজিত দাশ সহ সনাতন ধর্মালম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা, সবাই তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া নারকীয় এই তান্ডবের ঘৃণা জানাতে কোন দল, সংগঠন নয়, মানুষ হিসাবে, বাঙালি হিসাবে এখানে সমবেত হয়েছি।
রাজনৈতিক দোষারোপ এর সংস্কৃতি, এইসব ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি আমাদের প্রগতিশীল দাবীদারদের অনৈক্য বারবার সুবিদা আদায় করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং এই নির্দিষ্ট সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কোন ভাবেই এই দায় এড়াতে পারে না। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা কে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী এই নারকীয় তান্ডব লীলা সরকার ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যার্থ হয়েছে।
আমরা এই বাংলাদেশ চাই না বলে বলে, এই বাংলাদেশটি আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে তুলে দিচ্ছি। সংখ্যালঘু নির্যাতনের সুফল বারবার আওয়ামী লীগের বাক্সেই যায়। রামু, নাসির নগর শাল্লা অতীতে কোন ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া এর জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন। ৭২ এর ধর্ম নিরেপক্ষ সংবিধানে ফিরে যেতে ও সরকারের প্রতি দাবী জানান।