বাংলাদেশ সেন্টার বিতর্কে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

লন্ডনে বাংলাদেশ  সেন্টার কান্ডে  সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক  শহীদুর রহমান সাক্ষরিত 

 

সেন্টারের সাধারণ সম্পাদকের বরাতে  বিজ্ঞপ্তিতে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক ও কমিটির সদস্যদের দায়ী করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

—————————–
১৭ই নভেম্বর ২০২৫। বাংলাদেশ সেন্টারে ব্যবস্থাপনা পরিষদের একটি পুর্ব নির্ধারিত সভা কতিপয় সদস্যদের অসামাজিক কার্যকলাপ বশত বিঘ্নিত হয়।সভার সূচনাতে সেন্টারের চেয়ারপার্সন ও মাননীয় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের আগমনের সাথে সাথে অপ্রত্যাশিত ভাবে একদল সাংবাদিক বেপরোয়া ভাবে তাঁকে ঘেরাও করে রাখে এবং নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভায় (non-public) সাংবাদিকদের অননুমোদিত  (without approval of the owner of the summon) উপস্থিতি ও তাঁদের এই অপ্রত্যাশিত আচরণের বৈধতা প্রশ্ন সাপেক্ষ। শুধু তাই নয়, ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য জনাব দেলোয়ার হোসেনের, নেতৃত্বে সর্বজনাব মাহবুব আহমেদ, আলী আহমেদ বেবুল, শিব্বির আহমেদ, মামুনুর রশিদ (ভিডিও ফুটেজ অনুকরণে) সহ তাঁর কতিপয় সহযোগী অত্যন্ত অশালীন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এবং সভাস্থলে চরম হাঙ্গামা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন। তাঁদের শিষ্টাচার বহির্ভূত অসামাজিক আচরণ যেমন চিৎকার করে অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলা, সভাস্থলের চেয়ার টেবিল গুটিয়ে ফেলা সভা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে সভায় আগত মাননীয় রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য প্রতিনিধিদেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এর ফলে মাননীয় রাষ্ট্রদূত, উপ রাষ্ট্রদূত, মিনিস্টার কনস্যুলার, ফার্স্ট সেক্রেটারি সহ সভায় সমাগত সকল সদস্যদের সাথে বেয়াদবি ও অবমাননা প্রদর্শন করা হয়।ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য ও চেয়ারপার্সনের উপস্থিতিতে সভাস্থলের চেয়ার টেবিল প্রত্যাহার করে নিয়ে চরম ধৃষ্টতার পরিচয় দেন। ঘটনা স্থলে চেয়ারপার্সন ও ব্যবস্থাপনা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া সাংবাদিকদেরকে ডেকে এনে সুপরিকল্পিত ভাবে সভাকক্ষে হৈচৈ হট্টগোল ও গালিগালাজ করে এক ভীতিকর নৈরাজ্য সৃষ্টির দ্বারা সভার কাজ বিঘ্নিত করা হয়। নিরাপত্তাহীন এই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে মাননীয় রাষ্ট্রদূতকে জোর পূর্বক সভাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি মাহবুব আহমেদকে মাননীয় রাষ্ট্রদূতের গাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করতে দেখা যায় (যা ভিডিও ফুটেজে পরিস্কার প্রতিয়মান)। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ঘটনার আকষ্মিকতায় অকুস্থলে ভয়ভীতি ছরিয়ে পরে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে সেন্টারের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুর রহমান পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে। এমতাবস্থায় সকলের অনুরোধে মাননীয় রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে আনা হয়। ফিরে এসে মাননীয় রাষ্ট্রদূত সভার কাজ শুরু করেন, কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও জনাব দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা সভার কাজে বাঁধা দিতে থাকেন। তাই এক পর্যায়ে পুলিশ মাহবুব আহমেদকে ডেকে নিয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেয়। অবস্থার প্রেক্ষিতে মাননীয় রাষ্ট্রদূত সভার কাজ সংক্ষিপ্ত করেন। তাঁর নাতীদীর্ঘ আলোচনায়‌ মাননীয় রাষ্ট্রদূত সকল সাংবাদিক সহ দেলোয়ার হোসেন ও অন্যান্য প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের উদ্দেশ্য বলেন:
১. আমি দায়িত্ব গ্ৰহনের পর আমার পূর্ববর্তী রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য সহকর্মীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেন্টারের বিগত নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হই।
২. আমি পরবর্তীতে বিবদমান পক্ষগুলোর বিরোধ নিরসনে তাঁদের প্রতিনিধিদের সাথে পৃথক পৃথক ভাবে বৈঠক করি।
৩. তৎপরবর্তীতে আমি বিবদমান পক্ষগুলোর সাথে যৌথভাবে আলোচনা করে একটি সমঝোতায় আসার চেষ্টা করি।
৪. কিন্তু পরিতাপের বিষয় কোন কোন পক্ষের অনমনীয় মনোভাবের কারণে সমঝোতার সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হয়।
৫. ফলে বিবদমান পক্ষগুলোর বিরোধ নিরসনে বিকল্প পন্থা হিসেবে সংবিধানে চেয়ারপারসনের উপর অর্পিত ক্ষমতা বলে আমি চেয়ার এ্যাকশনে কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট বা ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভা আহ্বান করি। আমার সহকর্মীদের সহযোগিতায় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সকল সদস্যদের কাছে কাছে সংবিধিবদ্ধভাবে  সভার নোটিশ প্রেরণ করি।
৬. উদ্দেশ্য ছিলো – যেহেতু বাংলাদেশে সেন্টারের বার্ষিক সভা (AGM) ও প্রতিনিধিদের নির্বাচন (Bienniel election) আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণের মাধ্যমে বিরাজমান সংকট সমাধান করা। সেই লক্ষ্যে বার্ষিক সভার (AGM) এর স্থান নির্ধারণ করা। তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা ।
প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নির্বাচন কমিশন (election Commission) গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে যাবতীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি উপ কমিটি (sub Committee) গঠন করা।
১০. পরিশেষে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নবনিযুক্ত কমিটির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলমান সংকট সমাধান করা। এবং বাংলাদেশে সেন্টারকে একটি সময়োপযোগী সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যকর ভাবে গড়ে তোলা।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ভাবে কতিপয় সদস্যদের অবাঞ্চিত কর্মকান্ডে আমাদের এই মহৎ প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা হলো। আমরা এই হটকারী সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাই। এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সেন্টারের চলমান সংকট আরো ঘনীভূত করবে নিঃসন্দেহে। এই সমস্যার সমাধান কল্পে সকল সদস্যদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আজ বাংলাদেশ সেন্টারে যে নারকীয় তান্ডব চালিয়ে এই মহতী উদ্যোগকে নস্যাৎ করা হল তা কেবল মাত্র নিন্দনীয়ই নয়, তা কমিউনিটির জন্য ক্ষতিকর ও নাশকতামূলক। দেশ ও জাতির স্বার্থে এই ঐতিহাসিক সেন্টারের অচলাবস্থার অবসান জরুরী। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০