অনলাইন ডেস্ক-
লন্ডনে সিজন অব বাংলা ড্রামায় ছান্দসিক উপস্থাপন করলো কাইন্ডনেস ইন পোয়েট্রি। পাশাপাশি গান এবং কবিতায় উচ্চারিত হলো, মানুষের কথা। কাব্য ছন্দে যেমন ভালোবাসা, মায়া মমতার দ্যুতি ছড়ান বাচিক শিল্পীরা, তেমনই আলোচকদের কথায় উঠে এলো সাম্যের বারতা।
ছান্দসিকের কর্ণধার মুনিরা পারভীনের ব্যতিক্রমী উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের কৃপণ কবিতা আবৃত্তি করে মুনিরা বলেন, মানুষকে ভালোবাসলে, মায়ায় জড়ালে, মমতার বন্ধনে আবদ্ধ করলে তা দ্বিগুণ ফেরৎ আসে। সাম্যের যে শক্তি তা আর অন্য কিছুতে নেই। মানুষের আজকের জয়যাত্রার মূলেও রয়েছে সাম্যগাঁথা।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ব্রিটেনে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ড. আনসার আহমেদ উল্লাহ বলেন, সময়ের সাথে সাথে মানুষ যেমন আধুনিক হয়েছে তেমনই হয়েছে উদার। কুসংস্কারকে পরিহার করে হয়েছে সভ্য। আজকের পৃথিবীতে তাই বর্ণবাদের কোন ঠাই নেই। বর্ণবাদকে মানুষ ঘুণার চোখে দেখে।
তার বক্তব্যের পর মুনিরা পারভীনের নেতৃত্বে শুরু হয় ছান্দসিকের দলীয় পরিবেশনা। কবি, গবেষক অপূর্ব শর্মার ‘স্বদেশ আমার সাম্যের’ কাব্যনাট্য থেকে সম্মিলিত পরিবেশনায় অংশ নেন, আবৃত্তি শিল্পী ধনঞ্জয় পাল, মাহমুদা শিরীন, মাহমুদ হাসান মিঠু এবং শতরূপা চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে গাজার শিশুদের লেখা বেশ কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করা হয়। কবিতাগুলোতে মানবিকতার বিপর্যয়, গণহত্যা, শিশুদের করুণ আর্তি ফুটে উঠেছে। এ পর্বে আবৃত্তি করেন, আরিফুর রহমান খন্দকার, আসমা আনজুম, মাহমুদ হাসান মিঠু, শহীদুর রহমান, নূর উদ্দীন ও সাঈদা ইয়াসমীন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সাম্যের কবিতা আবৃত্তি করেন, শাহাব আহমেদ বাচ্চু, নজরুল ইসলাম অকিব ও মুজিবুর রহমান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শতরূপা চৌধুরী এবং হীরক কাঞ্চন হীরক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিজেএ) সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাপ্তাহিক জনমতের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, ব্রিটেন হচ্ছে মানবিকতা, সাম্যের তীর্থভূমি। বিশে^র কোথাও এতো নিরাপদ ফিল করিনা। কোথাও ভ্রমণ থেকে ফিরে এলে মনে হয় নিজের ঘরে ফিরে এসেছি। এর চেয়ে শান্তির স্থান আর কোথাও নেই।
ব্রিটেনের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হলেও ছান্দসিকের আয়োজনে উপস্থিতি ছিলো হলভর্তি। এজন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মুনিরা পারভীন। আগামীতেও ছান্দসিকের পাশে থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।



