চলে গেলেন গাফফার চৌধুরী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

জুয়েল রাজ: 

না ফেরার দেশে চলে গেলেন,  প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট , একুশের গানের রচিয়তা আব্দুল গাফফার চৌধুরী।  লন্ডন সময় আজ সকাল ৬.৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্ণেট হাসপাতালে  শেষ নিঃশ্বাস  ত্যাগ করেন ( ইন্না-লিল্লাহী  ওয়া ইন্নাইলাহী রাজিউন) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল  ৮৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই নানান অসুস্থ্যতায় ভোগছিলেন তিনি।
সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল,  হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মারা যান তাঁর মেয়ে বিনীতা চৌধুরী। এর পর থেকেই মানসিক ভাবে বিশেষ ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।  তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দ মুজাম্মিল আলী। বর্তমানে বার্নেট হাসপাতালেই  গাফফার চৌধুরীর মরদেহ রাখা আছে। পরিবারের সাথে আলোচনা করে  পরবর্তী  সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক কিংবদন্তীর মহাপ্রয়াণে যুক্তরাজ্য জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য গাফফার চৌধুরী,  ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ডিসেম্ভর   বরিশালে  জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনেরা হলেন মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর  নির্মম হত্যাকান্ডের পর  লন্ডনেই স্থায়ীভাবে  বসবাস করে আসছিলেন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গাফফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।
মহান মানুষের মৃত্যুতে ব্রিকলেন পত্রিকার পক্ষ থেকে গভীর  শোক জানাচ্ছি
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১