ব্রিকলেন রিপোর্ট-
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আসন্ন বৈঠকের সম্ভাব্য মূল বিষয় কি হতে পারে ? শুধুই কি সৌজন্য সাক্ষাত নাকী বাংলাদেশের ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা এই নিয়ে নানা মুনির নান মত প্রকাশিত হচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দিনের আভাস হিসাবে উল্লেখ করলে ও আসলে বিষয়বস্ত কি কেউই মুখ খুলছেন না।
আগামী ১৩ জুন ২০২৫ তারিখে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক সূত্র থেকে জানা তথ্যমতে ,
বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং সম্ভাব্য নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যেখানে ড: ইউনূসের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হতে পারে ,পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগির যেখানে বিএনপি এবং তার মিত্ররা: ২২০ আসন।জামায়াতে ইসলামী: ৪০টি আসনএনসিপি : ৩০টি আসন এবং অন্যান্য (এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, ইত্যাদি সহ): ১০টি আসনের প্রস্তাব দেয়া হবে।
সরকার গঠনের রূপরেখা নিয়ে প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তারেক রহমান।জামায়াত এবং অন্যান্য বিরোধী দল থেকে ১০ জন মন্ত্রী
বিএনপি থেকে স্পিকার।জামায়াত বা অন্য বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।জামায়াত থেকে মনোনীত একজনকে নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ সৃষ্টি। “জুলাই ঘোষণা”-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন, কাঠামোগত সংস্কার এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিচার শুরু।
বিএনপি এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আলোচনায় স্থান পাবে
বর্তমান শাসনামলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার অসম্ভব তাই,২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান।
*জুলাই ঘোষণা” এবং যেকোনো নতুন সংবিধান প্রত্যাখ্যান; নির্বাচন-পরবর্তী সংসদে প্রয়োজনীয় সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে শাসনব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।
সূত্র বলছে এই বৈঠকটি মূলত জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি সম্ভাব্য ক্ষমতা ভাগাভাগি ব্যবস্থা এবং জোট সরকারে গঠনের আগাম নীলনকশা। ড. ইউনূসের প্রস্তাব জামায়াত এবং ছোট রাজনৈতিক দলগুলির অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির পক্ষে বলে মনে হচ্ছে, যা সম্ভবত রাজনৈতিক সমীকরণকে জটিল করে তুলবে। এই সামগ্রিক রাজনৈতিক অভিযাত্রা যদি বাস্তবায়ন হয় তবে বাংলাদেশের দৃশ্যপটে নতুন জটিলতা তৈরি করতে পারে।
উল্লেখ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী নির্ধারিত বৈঠকে তারেক রহমানের সাথে যোগ দিতে আজ লন্ডন পৌঁছেছেন বলে ও জানা গেছে।
প্রেস সচিব যদি ও সাংবাদিকদের বলেছেন সাক্ষাতটি একান্তই সৌজন্য সাক্ষাত । দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসাবে তারেক রহমানের সাথে এই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
কিন্ত পুরো বাংলাদেশের চোখ এখন দুইজনের সাক্ষাতের দিকে।