‘সন্তানের পাশে অভিভাবক ব্যানারে’ শাহবাগে সমাবেশ করেছেন অভিভাবকরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

ব্রিকলেন অনলাইন- 

‘সন্তানের পাশে অভিভাবক ব্যানারে’ শাহবাগে সমাবেশ করেছেন অভিভাবকরা। এ সময় তারা বলেন, ‘অধিকার চাইলে আমাদের সন্তানকে হত্যা করা হবে কেন’?

শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সারা দেশে নির্বিচারে শিক্ষার্থী হত্যা, মিথ্যা হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ‘সন্তানের পাশে অভিভাবক ব্যানারে’ এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাবেশ আয়োজনের অন্যতম সমন্বয়ক রাখাল রাহা বলেন, আমাদের দুই শতাধিক সন্তান-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার সন্তান আহত হয়েছে , আটক করা হচ্ছে তার চেয়েও বেশি আর মামলা দেওয়া হচ্ছে তারও অনেক বেশি। তার মানে লাখ লাখ সন্তান, মানুষের জীবন আজ হুমকির মুখে।

তিনি বলেন, আজ থেকে আমাদের সন্তানদের যে কর্মসূচি, আমাদেরও একই কর্মসূচি। সন্তানরা যখন যে কর্মসূচি দিবে আমরা সারা দেশে এই ব্যানার নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াব। তাদের সহযোগিতা করব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের বুকের রক্ত না নিয়ে আর আমাদের সন্তানদের রক্ত নিতে পারবে না।

চঞ্চল চৌধুরী নামে এক অভিভাবক বলেন, এখন দেশে দিনে নাটক আর রাতে আটক চলছে। আমি একজন শিক্ষক। আমার নয় বছরের একটি সন্তান আছে। আমার প্রতিটি রাত নির্ঘুম কাটে। কখন আমাকে নিয়ে যাবে বা আমার ছেলেকে নিয়ে যাবে, এ চিন্তায় আমি ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। এই আতঙ্কের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রতিটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারের কোনো মন্ত্রী মিথ্যাচার ছাড়া কোনো কথা বলছে না।

তিনি বলেন, আমি খুনির কাছে কোনো খুনের বিচার চাই না। আমরা এই খুনির অপসারণ না হয় পদত্যাগ চাই। আমি সব অভিভাবক এবং জনতাকে আহ্বান করছি- আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন। আপনারা নিজেদের বাঁচান, নিজেদের দেশকে বাঁচান। গত জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত যা যা হচ্ছে সেটি কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।

নাসিমা নামে আরেক অভিভাবক বলেন, আজকে যেসব অভিভাবক ভয়ের কারণে রাস্তায় নামতে পারছেন না, আপনারা বাসায় থাকুন, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আপনারা বাসায় বসে দেশের অবস্থা বাইরের মানুষকে জানান। আমাদের উপকার করতে পারছেন না ঠিক আছে, কিন্তু অপকার করবেন না।

এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মা বলেন, আমার পোলাডা আরেকজনরে বাঁচাইতে গিয়া নিজে দুই পায়ে গুলি খাইয়া পইরা রইছে। আমার পোলা যখন হাসপাতালের বেডে কান্দে তখন আমার কইলজাটা ফাইট্টা যায়। আমার সন্তানের এক পা ভাঙা, গুঁড়া গুঁড়া হয়া গেছে। আরেক পায়ের গোস্ত ফুটা হয়া বাইর হয়া গেছে। এহন আমার পোলা হাঁটতে পারবে কিনা তাও কইতে পারি না। আমার পোলার হাসপাতালের বেডে শুইয়া কান্না আমি সহ্য করতে পারি না। আমি এই সন্তান নিয়া এহন কি করমু? কার কাছে যামু? আমার তো এমন কোনো লোকও নাই যে আমারে সাহায্য করবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০