অনলাইন ডেস্ক-
জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় উদ্ধার কার্যক্রম এবং অপারেশনে ব্যবহার করা হয় র্যাবের হেলিকপ্টার। অপারেশন চলাকালে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে নন লিথাল ওয়েপন ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল। র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি করা হয়নি বা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
র্যাব হেলিকপ্টার দিয়ে চালানো অভিযানের ভিডিও ধারণ করে রেখেছে। যেগুলো তাদের ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু একটি পক্ষ হেলিকপ্টারের এসব ভিডিও প্রচার করে বলছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে।
র্যাব বলছে, যারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ধরনের গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাহিনীটি।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার যে অভিযোগটি করা হচ্ছে, সে বিষয়ে র্যাব মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ বলেন, এগুলো প্রপাগান্ডা। আমরা নিজেরাও ভিডিও করেছি। হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও গ্যাস সেল ফায়ার করা হয়েছে। কোনো গুলি করা হয়নি। র্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সহিংসতা ও নাশকতার সময় দুর্বৃত্তরা কোমলমতী শিশু-কিশোরদের আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ করে এবং ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কোমলমতী শিশু-কিশোররা সামনে থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। নিরুপায় হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলাচলের পথ সুগম করার জন্য এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন ও ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করার নিমিত্তে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এক্ষেত্রে হেলিকপ্টার থেকে কোন প্রকার গুলি করা হয়নি বা কোন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
রাজধানীর বাড্ডা ও নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে দুর্বৃত্তরা হামলা ও আক্রমণ করে সাধারণ জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবরুদ্ধ করে ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীদের আক্রমণের শিকার হয়ে আটকে পড়া ডিএমপির সদস্যরা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাদে অবস্থান নিলে ৬১ জন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে র্যাবের হেলিকপ্টার।
২০ জুলাই দুপুরে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় দুর্বৃত্তরা মা হাসপাতাল ভবনের নিচে অগ্নিসংযোগ করলে ওই ভবনের বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ সদস্য ছাদে অবরুদ্ধ হয়। ওই সময় ভবনের নিচে তিনজন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করে। ভবনের ছাদে অবরুদ্ধরা র্যাবের সহায়তা চাইলে ওই হাসপাতালের কর্মচারীসহ ৩৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে র্যাব ফোর্সেসের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়।
র্যাব জানিয়েছে, আকাশ পথে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল ও উদ্ধারসহ সকল কার্যক্রমের ভিডিও চিত্র র্যাব ফোর্সেসের মাধ্যমে ধারণ করা হয়েছে যা ইতোমধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, র্যাবের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।