জুয়েল রাজ-
বাংলাদেশের জীবনে আগস্ট শুধু বেদনার নয় একটি কলংকের ও মাস। আগস্টে বারবার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নেতৃত্বকে স্তব্দ করে দেয়ার মরণপণ হিংস্র কামড় আমরা দেখতে পাই। ১৯৭৫ সালে’ প্রথম আঘাতে নি:শেষ করে দিয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ।কিন্ত অলৌকিক ভাবে কিংবা ইতিহাসের প্রয়োজনেই বেঁচেছিলেন তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।এরপর শেখ হাসিনার বিপদ সংকুল ঝড়ঝাপটা পাড়ি দেয়ার পথে দৃশ্যমান ভাবে ১৯ থেকে ২০ বার তাঁকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে , ইতিহাস বলে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো কে সর্বোচ্চ ৬০০ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে । এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খুব সম্ভবত শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে , ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। আর সর্বশেষ চেষ্টা হল ২০২৪ এর ৫ আগস্ট। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল পরিকল্পিত উপায়ে গণরোষ প্রমাণ করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করা । যাতে করে শেখ হাসিনার সাথে সাথে ইতিহাসে আওয়ামী লীগ একটি ঘৃণার প্রতীক হিসাবে থেকে যায়। কিন্ত ইতিহাস সব সময় সত্যের পাশে দাঁড়ায় , তাই এই যাত্রায় শেখ হাসিনা আবার ও বেঁচে গিয়েছেন । ইতিহাস তার পাশে দাঁড়িয়েছে।
২০২৪ এর আগস্ট ষড়যন্ত্র তো আজকের না। যার শুরু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম লগ্ন থেকে, কিন্ত সমস্যা হচ্ছে ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নেই না। আওয়ামী লীগ ও ঠিক একই ভুল করেছে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় নি।আত্মসমালোচনা ,সমালোচনা সবকিছুরই প্রয়োজন আছে। সেটি আওয়ামী লীগকে করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে সেই ডিজিটাল আক্রমণে আওয়ামী লীগকে এইভাবে বিপন্ন করে দিল কেন? কারা এই অস্ত্র তুলে দিয়েছে বিপক্ষ শিবিরের হাতে।বর্তমান পৃথিবী অন্তর্জালে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, ২০২৪ এর ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের এই কথা বললে তার অবজ্ঞা ভরে উড়িয়ে দিতেন ,তারা বলতেন ফেইস বুকে অনলাইনে রাজনীতি হয়না। কিন্ত জুলাই আগস্ট সেই ধারনাকে ভেঙে দিয়েছে। কিন্ত আওয়ামী লীগ সেটি উপলব্ধি করতে পারছে কী না সেটি একটি প্রশ্ন।
বুদ্ধিভিত্তিক ভাবে আওয়ামী বিরোধী বিভিন্ন ন্যারিটিভের বিরুদ্ধে কোন ন্যারেটিভস তৈরী হয়নি। বিরোধী পক্ষ থেকে একই মিথ্যা বারবার বলে বলে মানুষকে মিথ্যার পক্ষেই সহানুভূতিশীল করে তুলেছিল।যার ফলে পুরো জুলাই আগস্ট জুড়ে মিথ্যা খুন ,গুম ধর্ষনের মত মিথ্যা গুজব মানুষের কাছে বিশ্বাস যোগ্য করে তুলতে পেরেছিল।
বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই , শেখ হাসিনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাইএই ছিল ২০২৪ এর কোটা বিরোধী আন্দোলনের শ্লোগান। সাধারণ মানুষ এই ছাত্রদের বিশ্বাস করেছিল।
কোটা নিয়ে আদালতের বিষয় গুলো বা প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারন মানুষের জানার পরিধি বা বুঝার সক্ষমতা সীমিত ,মানুষ দেখে মিডিয়া কি বলছে, ফেইস বুক কি বলছে , রিল ,টিকটকে কি দেখাচ্ছে। ঠিক সেইভাবেই সাজানা হয়েছিল ২৪ এর আগস্ট ষড়যন্ত্র । সেই ষড়যন্ত্রের শেষ দৃশ্য ছিল জুলাই আগস্টের সেই তথাকথিত আন্দোলন , শেষ দৃশ্যে মঞ্চ নাটকের মত কিছু চরিত্র দরকার ছিল ,এই চরিত্রগুলো অভিনয় করে গেছে যার যার চরিত্রে , ফারজানা সিঁথি বলেন ,হিজাব পরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পরিচয়ের সানিজিদা অথবা বারবার স্কুল ড্রেস কলেজ ড্রেস পাল্টানো তরুণীটি ফেইস বুকে লাইভ করা রিলস বানানো টমেটো আপা কিংবা বাঁধন , নীলা, এই রকম একটি সংঘবদ্ধ দল, যাদের আর কোথাও দেখা যায় না।আর যাবে ও না। কারণ নাটক শেষে তারা তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
এডলফ হিটলার যে ত্বত্ত্বের ভিত্তিতে তার ফ্যাসিবাদব কায়েম করেছিল তার প্রধানতম ছিল,
“সন্ত্রাস, নাশকতা,হত্যা এবং বিস্ময়ের মধ্য দিয়ে শত্রুর মনোবল ভেঙে দাও, এটাই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ। যে ব্যাক্তি আকাশকে সবুজ দেখে এবং জমিনকে আঁকে নীল রঙে তাকে নপংসুক করে দেয়া কর্তব্য। শক্তি প্রতিরোধে নয়, আক্রমণেই প্রকাশিত হয়।
২০২৪ এর ৫ আগস্টের পর থেকে ঠিক একই আচরণ বা ত্বত্তের প্রয়োগ করেছে, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ কে শত্রু গণ্য করে তারা সেই মনোবল ভেঙে দিতে ভয়ংকর ভাবে আক্রমন করেছে ,যাতে করে মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস না রাখে।
হিটলারের কিছু বাক্যবন্ধ আছে, যা বহুল প্রচারিত ও চর্চিত যেমন একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও। সেই মিথ্যাবাদী যাদুকর আমাদের সামনে এসে হাজির হলেন ড: ইউনুস ।হিটলার বলত ,অপছন্দের চেয়ে ঘৃণার স্থায়িত্ব বেশি। আওয়ামী লীগ কে অপছন্দ নয় যাতে করে মানুষ ঘৃনা করে সেই ব্যবস্থা করতেই তারা হত্যাকান্ডগুলো ঘটিয়েছে।
হিটলার বলত ,যদি কোনো মিথ্যাকে তুমি বারবার এবং সাবলীলভাবে বলতে পার তবেই তা বিশ্বাসযোগ্য হবে।যদি বড় কোন মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাও, সহজ ভাবে এটাকে বলো, বারবার বলতে থাকো, একসময় দেখবে সবাই এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।বিজয়ীকে কেউ কখনো জিজ্ঞাসা করেনা সে সত্য বলছে কিনা।মিথ্যা যত বড়, লোকে তা বিশ্বাস করার সম্ভাবনা তত বেশি।
যেহেতু কেউ জিজ্ঞাসা করার নেই, ইউনুস গং নামের যে পাপেটরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মিথ্যার পর মিথ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পিরামিড বানিয়ে চলছে।
ফ্যাসিবাদ ও গণতন্ত্র হল বিপরীতধর্মী দু’টি ভাবধারা। গণতন্ত্র উদার। এখানে জনসাধারণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে। ফ্যাসিবাদে তা হয় না- রাষ্ট্রই এখানে সব। গণতন্ত্রে ভোটাধিকার, স্বাধীন আইনসভা, বিচারব্যবস্থা থাকে। ফ্যাসিবাদে তা অনুপস্থিত। যেখানে নেতার ইচ্ছাই সব। গণতন্ত্রে সরকারের সমালোচনা করা যায়। নেতার বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করা যায়। ফ্যাসিবাদে তা হয় না। সেখানে নেতার বিরোধিতা করার অর্থই হল নির্যাতন বা মৃত্যু।
বাংলাদেশ আজ সেই ফ্যাসিবাদই দেখছে। রাষ্ট্রক্ষমতা বা ব্যাক্তি ক্ষমতা সব সময়ই কিছুটা ঔদ্ধত্য হয়। কিন্ত এই পাপেট সরকার সব ঔদ্ধত্য , দু:শাসন ,অরাজকতাকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ সমর্থন করার কারণে হেন কোন নির্যাতন নেই এই সরকার করছে না । গোপালগঞ্জ তো রীতিমতো রক্তে ভাসিয়ে দিয়েছে।এবং সবচেয়ে অবাক করার বিষয় , হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না , এই জন্য আইন প্রণয়ণ বা নির্বাহী আদেশ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। বাংলাদেশে এইটা নিয়ে দ্বিতীয়বার এই নির্বাহী আদেশ বা খুনের অধিকার দেয়ার ঘটনা ঘটল, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল আর এইবার ড: ইউনুস আসিফ নজরুল গং দ্বিতীয় বারের পুলিশ হত্যা বা ৫ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেই সব হত্যাকাণ্ডের দায়মুক্তি দিয়ে দিয়েছে। ইতিহাস কি এই দায় মুক্তি মেনে নিবে ?
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন,
আমাদের বাঙালির মধ্যে দুইটা দিক আছে। একটা হল ‘আমরা মুসলমান, আর এ হল, আমরা বাঙালি।’ পরশ্রীকাতরতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়ে গেছে। বোধহয় দুনিয়ার কোন ভাষায়ই এই কথাটা পাওয়া যাবে না, ‘পরশ্রীকাতরতা’। পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয়, তাকে ‘পরশ্রীকাতর’ বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষায়ই পাবেন,সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে, কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয় না। এই জন্যই বাঙালি জাতির সকল রকম গুণ থাকা সত্তেও জীবনভর অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। সুজলা, সুফলা বাংলাদেশ সম্পদে ভর্তি। এমন উর্বর জমি দুনিয়ায় খুব অল্প দেশেই আছে। তবুও এরা গরিব। কারণ, যুগ যুগ ধরে এরা শোষিত হয়েছে নিজের দোষে। নিজকে এরা চেনে না, আর যতদিন চিনবে না এবং বুঝবে না ততদিন এদের মুক্তি আসবে না।
অনেক সময় দেখা গেছে, একজন অশিক্ষিত লোক লম্বা কাপড়, সুন্দর চেহারা, ভাল দাড়ি, সামান্য আরবি ফার্সি বলতে পারে, বাংলাদেশে এসে পীর হয়ে গেছে। বাঙালি হাজার হাজার টাকা তাকে দিয়েছে একটু দোয়া পাওয়ার লোভে। ভাল করে খবর নিয়ে দেখলে দেখা যাবে এ লোকটা কলকাতার কোন ফলের দোকানের কর্মচারী অথবা ডাকাতি বা খুনের মামলার আসামি। অন্ধ কুসংস্কার ও অলৌকিক বিশ্বাসও বাঙালির দুঃখের আর একটা কারণ।আওয়ামী লীগের উন্নয়নযাত্রা ,শেখ হাসিনার সাফল্যর প্রতি পরশ্রীকাতরতা থেকে একটি অংশ কোন কারণ ছাড়া এই আলখাল্লা ওয়ালেদের সাথে এই যুদ্ধে মাঠে নেমেছিল।
তুমি কে আমি কে ? রাজাকার রাজাকার , যে দেশে দিনের পর দিন গর্ব করে উচ্চারিত হয়, যেখানে রক্তে লেখা সংবিধান বাতিল করে ২৪ এর প্রেরণায় নতুন সংবিধানের দাবী করা হয়। এবং ২৪ই বাঙালির অর্জন হিসাবে প্রতিস্থাপন করার দাবী বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া চলছে তখন মনে হয় এই শিক্ষা বাংলাদেশের জন্য ,আওয়ামী লীগের জন্য প্রয়োজন ছিল।
এই যে অধ্যাদেশ বলুন ,আই সিটি আইনের সংশোধন বলুন , যে সব বলে কয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পরিপত্র জারী করা হয়েছে এর পুরো বিষয়টিই অবৈধ ভাবে গায়ের জোরে করা। যার কোন আইনী ভিত্তি থাকবে না। অনেকেই যুক্তি হিসাবে জামায়াত নিষিদ্ধকরণ এর কুতর্কটি সামনে নিয়ে আসেন। তারা ভুলে যান বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং রাজনীতিতে জামায়াত আর আওয়ামী লীগকে এক পাল্লায় মাপা তেল আর পানির মত।
১৯৭৫ সালে যে ভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডিমেনিটি অধ্যাদেশ জারী করে হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না। কিন্ত ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না।
সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং সাধারণ আইন মেনে। ঠিকই একই ভাবে জুলাই আগস্টে যে সব পুলিশ হত্যার জন্য সেই ইনিডিমেনিটি বা ক্ষমা ঘোষণা করেছে অধ্যাদেশ জারী করে।
আমি আজকে এই আলোচনায় চ্যালেঞ্জ রেখে যাচ্ছি।ইতিহাস এর ক্ষমা করবে না।
পুলিশ হত্যা সহ জুলাই আগস্টের প্রতিটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের বিচার বাংলাদেশে হবে। এবং আওয়ামী লীগই সেটি করবে। হয়ত দিন তারিখের গ্যারান্টি দিতে পারব না।এই যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বন্দোবস্ত করেছে ইউনুস আসিফ নজরুল হাসনাত গং , আমার মনে হয় এক হিসাবে ভাল করেছে।
আমি প্রায়ই একটা কথা বলতাম বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান ছাড়া বাংলাদেশে সবাই আওয়ামী লীগ। কারণ বেগম জিয়া জেলে আর তারেক রহমান লন্ডনে বসে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করা ছাড়া, দেশে বিদেশে সবাই আওয়ামী লীগ করত।
এই নিষিদ্ধ করণের মধ্য দিয়ে হাসনাত সারিজিসের মত আওয়ামী লীগ এই নিষিদ্ধ ছাকনী তে ঝরে পরে যাবে।
প্রকৃত আওয়ামী লীগ কতোটা শক্তিশালী সেই শক্তি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নিজের ও ধারণা নাই।
এইবার যে আওয়ামী লীগ ফিরবে সেইটা বিশুদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং কয়েকগুণ শক্তিশালী সেই আওয়ামী লীগ। গোলাম আজমের বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই , এই একটি শ্লোগান ও জরুরি ছিল।শেখ হাসিনার বিকল্প নেই এবং আওয়ামী লীগ না থাকলে পাকিস্তানি রা ক্ষমতায় আসবে এর চেয়ে বড় সত্য আর নেই।
এই শ্লোগানের মধ্য দিয়ে সেই সত্যটাই প্রমাণিত হয়েছে।
নাহিদ সর্বশেষ কথা বলে দিয়েছে , যারা ৭১ এ ফিরতে চায় তার ২৪কে অস্বীকার করে। তার মানে আপনাকে ৭১ কে অস্বীকার করে ২৪ এর মঞ্চায়িত নাটক কে সত্য বলে মেনে নিতে হবে।
রাজনীতিতে দুর্ঘটনাক্রমে কিছুই ঘটে না। যদি এটি ঘটে তবে আপনি বাজি ধরতে পারেন যে, এটি আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।এর নাম রাজনীতি।



