যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন আইনে যত পরিবর্তন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
অনলাইন ডেস্ক- 
যুক্তরাজ্যের নতুন ভিসা নীতির কড়াকড়ি  আইন নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। অভিবাসীদের  কাছে যুক্তরাজ্য সবসময়ই স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্ত বর্তমান  বাস্তবতায়  ইমিগ্রেশন  যুক্তরাজ্যের রাজনীতির বড় নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে লেবার দল ইমিগ্রেশন বা অভিবাসী  বান্ধব দল হিসাবে জনপ্রিয় । বিপুল ভোটে সরকার গঠনের পর সেই অভিবাসন নীতিতে খড়্গ হাতে নিয়েছে। বিগত ৫০ বছরে এত কঠিন কোন আইন করেনি যুক্তরাজ্য।
নতুন প্রস্তাবনায়  হোম সেক্রেটারি  শাবানা মাহামুদ জানিয়েছেন, কেয়ার ভিসায় যারা এসেছেন তাদের আইএলআর পেতে ১৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
স্বাস্থ্য ও কেয়ার সেক্টরের ৬ লাখের বেশি বিদেশি কর্মী ও তাদের পরিবার, যাদের “বোরিসওয়েভ”–এর অংশ বলা হয়, ১৫ বছর পর স্থায়ী হওয়ার যোগ্য হবেন বলে জানিয়েছেন হোম সেক্রেটারী।
তবে যদি তারা এক বছর বা তার বেশি সময় বেনিফিট দাবি করেন, অপেক্ষার সময় বেড়ে ২৫ বছর হবে।
হোম সেক্রেটারি শাবানা মাহমুদের ঘোষিত প্রস্তাব অনুযায়ী:
ছোট নৌকায় বা ট্রাকে করে আগত অভিবাসীদের ৩০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে স্থায়ী আবাসনের জন্য।
অর্জিত’ সিটিজেনশিপ—যোগ্যতার ভিত্তিতে দ্রুততা
সরকার বলছে, যাঁরা  অর্থনীতিতে বা অন্য কোন বিশেষ ক্ষেত্রে বেশি ‘অবদান’ রাখবেন, তাঁরা দ্রুত সিটিজেনশিপের সুযোগ পাবেন।
উচ্চ আয়ের কর্মীরা ৩ বছরে  সিটেজেনশীপ পাবেন।
স্বাস্থ্যখাত এনএইচএস ডাক্তার ও নার্সরা ৫ বছরে সিটেজেনশীপ পাবেন।স্বেচ্ছাসেবা, উচ্চমানের ইংরেজি দক্ষতা এবং বেনিফিট না নেওয়া—এগুলো দ্রুততার শর্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
এনজিও ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো পরিকল্পনাকে কঠোর ও অমানবিক বলে সমালোচনা করছে।Refugee Council বলছে, মানুষকে “তিন দশক অনিশ্চয়তায়” আটকে রাখা হবে।
Unison এই নীতিকে essential কর্মীদের জন্য “ধ্বংসাত্মক” আখ্যা দিয়েছে।Migration Observatory শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ পরিবারে ‘মিশ্র স্ট্যাটাস’ তৈরি হবে।
Work Rights Centre এটিকে “ডিস্টোপিয়ান” বলেছে।
Praxis বলছে, এটি “ছোট, সংকীর্ণ এবং বৈচিত্র্যবিরোধী ব্রিটেনের দিকে ফিরে যাওয়া”।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী র‍্যাচেল রিভস বাজেটে ঘোষণা করবেন, অবৈধ শ্রমিক শনাক্তে নতুন তদন্ত দল গঠন করা হবে।১০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দ দিয়ে দলটি কারওয়াশ, নেল বার, টেকঅ্যাওয়ে, গ্রোসারি ও ভ্যাপ শপগুলোতে তল্লাশি চালাবে।
স্টার্মার বলেন, “যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে কাজ করা খুব সহজ—এটা কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে।”
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০