ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনে যে যে এলাকায় দায়িত্ব পালন করছি—আমাদের জন্য এত সুযোগ তৈরি হয়েছে, আমরা কোনোদিন কল্পনা করিনি। এত বড় শিপমেন্ট আমরা আগে কখনো দেখিনি। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে আমরা অন্তত ১৬০টি আসন পাব। আমাদের আগে ছিল ১৮টি, সর্বোচ্চ ৫০টি।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে খুলনা মহানগরী ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এসব কথা বলেন। ‘সম্প্রীতির টানে শিকড়ের পানে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, বার্ধক্য আসার আগেই যৌবনের সময়কে মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে আল্লাহতায়ালা আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যানেল দিতে পারছে না অনেকেই। যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বামদের আঁতুড়ঘর, সেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতায়ালা আমাদের যে এতকিছু দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ফেসবুকে কথা চালাচালি এসব যারা করে তাদের বিরত থাকতে হবে। যদিও আমরা মনে করি আমাদের কোনো দায়িত্বশীল কেউ করে না, যারা সংগঠনের টাচে নাই তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবেগের বশবর্তী হয়ে করতে পারে।
খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হাসানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।