নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমানে দেশে বহুল আলোচিত ইস্যু চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া ও রাখাইন আর্মির জন্য মানবিক করিডোর চালু। এ বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা বক্তব্য দিয়েছেন যা নিয়ে চলছে সমালোচনা। অপরদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও তার বাহিনীর পক্ষ থেকে গত ২১ মে বক্তব্য প্রদান করেছেন।

উভয় পক্ষের বক্তব্যের বিষয়ে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের মাঝে জরিপ পরিচালনা করেছে। সেই জরিপে চট্টগ্রাম বন্দর ও করিডোর ইস্যুতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উ জামানের বক্তব্যের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৫০.৮০ শতাংশ মানুষ আর প্রধান উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন ৩০.২০ শতাংশ মানুষ। এই জরিপে কোন মন্তব্য জানাননি ১৯ শতাংশ মানুষ।
উল্লেখ্য; গত বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে এবং তা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয়েও তিনি বলেছেন, এখানে স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
অপরদিকে, গত বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, করিডোর নিয়ে সরকার কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেনি এবং বলবেও না। তবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রাণ সরবরাহের একটি ‘চ্যানেল বা পাথওয়ে’ তৈরির জাতিসংঘের প্রস্তাব বাংলাদেশ বিবেচনা করছে।
কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেছিলেন, যারা বন্দরের ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ, পৃথিবীর সেরা যারা, তাদের দিয়ে এই কাজ করাতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ যদি রাজি না হয়, জোরাজুরি নয়, রাজি করিয়েই করতে হবে। কারণ, এটা এমন এক বিষয়, পুরো জিনিস শুনলে রাজি না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’