আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: 
আজ অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে বাংলার জনগণ হতবাক ও ক্ষুব্ধ। আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, আজ স্বাধীন দেশে সেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে জনগণের ম্যান্ডেটহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলার মাটিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উর্বর ভূমিতে পরিণত করতে চায়। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ মানে হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও মূলবোধকে নির্বাসিত করা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের নগ্ন উল্লম্ফনকে প্রশয় দেওয়া। আমরা ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং এটার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি যে, ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথোচিতভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই ভূখণ্ডে ৭৫ বছরের সর্বপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন এবং গণমানুষের আস্থার প্রতিষ্ঠান। ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতাসহ বাঙালি জাতির সকল মহতী অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলার জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস ও অস্তিত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জড়িত। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে চাওয়া মানে হলো বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা। একমাত্র দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

রাষ্ট্রের কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে জনগণের ম্যান্ডেটহীন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এই সিদ্ধান্তকে পদদলিত করে আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজপথে সোচ্চার থাকবে বাংলার জনগণ। কেননা, বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগ সর্বদা আপসহীন। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জনগণের মিতালি অকৃত্রিম ও নিখাদ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি আস্থাশীল নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক ইউনূস সরকারের এই হীন সিদ্ধান্তকে নিন্দা করার। এই ফ্যাসিবাদী সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে জনগণের বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করার অপপ্রয়াস থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারী এই গোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই এবং তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদলে বিশ্বাস করে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই এই ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার গায়ের জোরে একের পর একে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে। যাতে শুধু বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, মানুষের জীবন-জীবিকাও চরম হুমকির মুখে পড়ছে। ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা ও তাদের জানমালের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সোচ্চার ছিল, আছে ও থাকবে। তাই গণবিরোধী সরকার আওয়ামী লীগকে শত্রুজ্ঞান করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আওয়ামী লীগ বাংলার জনগণের হৃদয়ে লালিত ও বহমান অনুভূতির নাম। যখন এই অনুভূতির স্পদন পরস্পরের সংযোগ ঘটাবে তখন তার কম্পনে স্বৈরাচারের যে কোনো দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙে পড়বে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি, ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের এই অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। পাশাপাশি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান থাকবে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে গণবিচ্ছিন্ন অসংগলগ্ন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

তারিখ: ১০ মে ২০২৫

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১