বিশেষ প্রকাশনা:
সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদযুক্তরাজ্য-এর আয়োজনে-একাদশ বাংলাদেশ বইমেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩।
১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবি ও সোমবার দুই দিনব্যপী অনুষ্ঠিতহচ্ছে- বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩
সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য আয়োজিত বইমেলার প্রেক্ষাপট:
বিলেতের বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সেতুবন্ধন রচনা করে এই বহুজাতিক সমাজে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারকে আরো বেগবান করতে ২০০৯ এ গঠিত হয় সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্যের। উদীচী, সংহতি সাহিত্য পরিষদ, মহুয়া আর্টস, মৌলিক আর্টস ইত্যাদি সংগঠনগুলোর সদস্যদের নিয়ে গঠিত প্রথম আহবায়ক কমিটির সাথে পরবর্তীতে যুক্ত হন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, কবিতা পরিষদ, সিতার ফিউশন, তানপুরা, শব্দপাঠ, তৃতীয় ধারা, মূলধারা, ইমোহার্ক ইত্যাদি সংগঠনগুলো। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছরের মাথায়, ২০১০ সালের ১১, ১২ ও ১৩ জুলাই পূর্ব লন্ডনের ব্রাটি আর্ট সেন্টারে আয়োজন করা হয় তিন দিন ব্যাপী প্রথম ‘বাংলা একাডেমি বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব’। সর্বস্তরের লেখক, কবি, সাহিত্যিকগণের অংশগ্রহণে মুখরিত এই মেলায় প্রধান অতিথি হয়ে বাংলাদেশ থেকে আসেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুজ্জামান খান। উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুর। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে এসে অংশ নেয়া খ্যাতিমান প্রকাশনী ‘ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ’ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা তাদের বই নিয়ে মেলায় অংশগ্রহন করে। বিপুল সাড়া জাগানো এই আয়োজনের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ‘বাংলা একাডেমি বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয় ১৭, ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১-এ। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ঘোষণা করে ‘ বাংলা একাডেমি প্রবাসী লেখক পুরস্কার’। পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দিপুমনি, এবং শেষদিনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ঐ বছর ‘বাংলা একাডেমি প্রবাসী লেখক পুরস্কার‘ লাভ করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক কাদের মাহমুদ। এছাড়া বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ লাভ করেন লেখক-সাংবাদিক নুরুল ইসলাম। এর পরের বছর, ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় আসর। ৮ ও ৯ জুলাই পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে, এবং ১০ জুলাই হোয়াইটচ্যাপেল আইডিয়া স্টোরে অনুষ্ঠিত বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে যোগ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুজ্জামান খান, এবং ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের’ অনুবাদক খ্যাত অধ্যাপক উইলিয়াম রেডিচি। সে বছর কবিতা ও কথাসাহিত্যে ‘বাংলা একাডেমি প্রবাসী সাহিত্য পুরষ্কার’ লাভ করেন সাহিত্যিক মাসুদ আহমেদ ও সালেহা চৌধুরী। ২০১৩ সালের বইমেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ১৫ ও ১৬ জুন পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে, এবং এর সমাপনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ২০ জুন, হোয়াইটচ্যাপল আইডিয়া স্টোরে। বইমেলাটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। মেলায় যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে আসেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুজ্জামান খান, গণপ্রজানতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা সচিব কবি কামাল চৌধুরী, ও বাংলা একাডেমির ডাইরেক্টর শাহিদা খাতুন। স্ব স্ব ক্ষেত্রে গবেষণা কর্মের জন্য ‘বাংলা একাডেমি প্রবাসী পুরস্কার লাভ করেন যুক্তরাজ্যবাসী লেখক সাংবাদিক ইসহাক কাজল, লেখক-গবেষক ফারুক আহমদ ও জার্মানবাসী বিজ্ঞান-গবেষক ড. গোলাম আবু জাকারিয়া। এর পরের বছর ২০১৪ সালের বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয় ৫-৭ ডিসেম্বর পূর্ব লন্ডনের মাইলএন্ড পার্কের দ্য আর্ট প্যাভিলিয়নে। মেলার উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুজ্জামান খান, ও সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে এই মেলায় অংশ নিয়েছিলেন আগামী প্রকাশনী, অন্যপ্রকাশ, মাওলা ব্রাদার্স, পাঞ্জেরী ও আহমেদ পাবলিশার্স। ২০১৪ সালের মেলা থেকেই ‘বাংলা একাডেমি প্রবাসী সাহিত্য পুরস্কার’-এর নাম বদলে রাখা হয় ‘ বাংলা একাডেমি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার’। সে বছর পুরস্কারপ্রাপ্তরা ছিলেন কানাডাবাসী সৈয়দ ইকবাল ও ইকবাল হাসান। ২০১৫ সালের ১৫-১৭ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়া তিনদিন ব্যাপী বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসব শামসুজ্জামান খান। এ বছর ‘বাংলা একাডেমি সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ’ পুরস্কার লাভ করেন ফরাসি লেখক ও প্রফেসর আ্যমেরিটাস ফ্রে ভট্টাচার্য এবং কথাসাহিত্যিক মঞ্জু ইসলাম ( সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম)। মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব লন্ডনের কর্মাশিয়াল রোডের আমানাহ সেন্টারে। গণপ্রজানতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তত্ত¡াবধানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্য; বাংলা একাডেমি, ঢাকা; জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ঢাকা এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি, ঢাকা- এর সম্মিলিত সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬সালের আয়োজনটির। বর্হিবিশে^ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চাকে ছড়িয়ে দিতে এই বছরই ‘বাংলা একাডেমি বইমেলা‘র নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব’। উৎসবটির উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কবি মাহবুবুল আলম শাকিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক এম আখতারুজ্জামান, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সভাপতি এবং আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধীকারী ওসমান গণি প্রমুখ। দ্বিতীয় দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খন্দকার এম তালহা। সে বছর ‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার’ লাভ করেন, কবি শামীম আজাদ ও নাজমুন নেসা পিয়ারী। মেলায় অংশগ্রহণ করে, বাংলা একাডেমি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, অন্যপ্রকাশ, মওলা ব্রাদার্স, আগামী প্রকাশনী, আহমদ পাবলিশিং হাউস, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন, কথাপ্রকাশ এবং ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, ঢাকা। এছাড়াও বিলাতের লেখকদের বই নিয়ে ছিল আলাদা স্টল।
নানা কারণে ২০১৭ সালে বইমেলার আয়োজন করা সম্ভব না হলেও এর পরের বছর ২০১৮ সালের ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বরে আবারও উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব । মেলায় বাংলাদেশ থেকে প্রধান অতিথি হয়ে আসেন কবি আসাদ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মাহমুদ শাহ কোরেশি, আবদুল গাফফার চৌধুরী, কানাডা থেকে কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, আমেরিকা থেকে কবি আঞ্জুমান রোজি, টাওয়ার হ্যামলেটস-এর স্পিকার কাউন্সিলর আয়াস মিয়া প্রমুখ। এ বছরই প্রবর্তন হয় স্বাধীনতাযুদ্ধে বিলাতবাসীদের ভূমিকা নিয়ে লিখিত প্রথম গ্রন্থসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রন্থের রচয়িতা আব্দুল মতিনের নামে ‘ আব্দুল মতিন সাহিত্য পুরস্কার’ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সংগঠক ও রাজনীতিবিদ তাসাদ্দুক আহমেদের নামে ‘তাসাদ্দুক আহমেদ পুরস্কার’। পুরস্কার লাভ করেন সাহিত্যিক রব্বানী চৌধুরী। ২০১৮-এর মেলায় অংশগ্রহণ করে আগামী প্রকাশনী, শব্দশৈলী, অনিন্দ্য প্রকাশ, অন্যপ্রকাশ, দ্য ইউনিভার্সেল একাডেমি, পারিজাত প্রকাশনী, বাসিয়া প্রকাশনী, জাগৃতি প্রকাশনী, পান্ডুলিপি প্রকাশনী, অনার্য প্রকাশনী সহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।
নানা কারণে ২০১৭ সালে বইমেলার আয়োজন করা সম্ভব না হলেও এর পরের বছর ২০১৮ সালের ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বরে আবারও উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব । মেলায় বাংলাদেশ থেকে প্রধান অতিথি হয়ে আসেন কবি আসাদ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মাহমুদ শাহ কোরেশি, আবদুল গাফফার চৌধুরী, কানাডা থেকে কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, আমেরিকা থেকে কবি আঞ্জুমান রোজি, টাওয়ার হ্যামলেটস-এর স্পিকার কাউন্সিলর আয়াস মিয়া প্রমুখ। এ বছরই প্রবর্তন হয় স্বাধীনতাযুদ্ধে বিলাতবাসীদের ভূমিকা নিয়ে লিখিত প্রথম গ্রন্থসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রন্থের রচয়িতা আব্দুল মতিনের নামে ‘ আব্দুল মতিন সাহিত্য পুরস্কার’ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সংগঠক ও রাজনীতিবিদ তাসাদ্দুক আহমেদের নামে ‘তাসাদ্দুক আহমেদ পুরস্কার’। পুরস্কার লাভ করেন সাহিত্যিক রব্বানী চৌধুরী। ২০১৮-এর মেলায় অংশগ্রহণ করে আগামী প্রকাশনী, শব্দশৈলী, অনিন্দ্য প্রকাশ, অন্যপ্রকাশ, দ্য ইউনিভার্সেল একাডেমি, পারিজাত প্রকাশনী, বাসিয়া প্রকাশনী, জাগৃতি প্রকাশনী, পান্ডুলিপি প্রকাশনী, অনার্য প্রকাশনী সহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।
২০১৯ সালে নবম বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট্স অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাননীয় সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যস্থ মান্যবর হাইকমিশনার মিসেস সাঈদা মুনা তাসনীম। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন, অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী (চেয়ারম্যান, বাংলা বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা), ঔপন্যাসিক শাহাদুজ্জামান ও ড. শেখ মুসলিমা মুন (সহকারী সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়) প্রমুখ। হাসপাতাল থেকে ভিডিও-বার্তার মাধ্যমে মেলার অনুষ্ঠানসূচির উদ্বোধন করেন সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। বাংলাদেশ থেকে মেলায় যে সকল প্রকাশনী অংশগ্রহণ করে, তাদের মধ্যে ছিল বাংলা একাডেমি, আগামী প্রকাশনী, অন্য প্রকাশ, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্স, শিখা প্রকাশনী, অনিন্দ প্রকাশ, পুথিনিলয়, শব্দশৈলী, নওরোজ কিতাবিস্তান, দি ইউনিভার্সেল একাডেমি, পরিজাত প্রকাশনী, অনার্য পাবলিকেশন্স, আদর্শ, ভাষাচিত্র, জিনিয়াস পাবলিকেশন্স, চারুলিপি, আহমদ পাবলিশিং হাউস, নালন্দা, বাসিয়া প্রকাশনী, পান্ডুলিপি প্রকাশনী ইত্যাদি। উৎসবের সহযোগিতায় ছিলেন, বাংলাদেশ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতি, ঢাকা।
বৈশি^ক মহামারী করোনার প্রার্দূভাবের কারণে ২০২০ ও ২০২১-এ বইমেলার আয়োজন করা না গেলেও ২০২২-এর ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব লন্ডনের মাইলএন্ড পার্কের দ্য আর্ট প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত হয় দশম বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা গহওর রিজভী, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা লেখক সৈয়দ তোশারফ আলী, ড. শাহাদুজ্জামান প্রমূখ। শারিরীক অসুস্থতার জন্য অংশ নিতে না পারলেও এক ভিডিও-বার্তার মাধ্যমে অনূষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবীদ প্রফেসর অমর্ত্য সেন। প্রয়াত সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুরো আয়োজনটি উৎসর্গ করা হয়। এবং এবারই প্রথমবারের মতো প্রবর্তন করা হয় ‘সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পদক’। পুরস্কার লাভ করেন কবি ও ছড়াকার নুরুজ্জামান মণি। মেলায় বাংলা একাডেমিসহ বাংলাদেশ থেকে পনেরটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, রবি ও সোমবার পূর্ব লন্ডনের মাইল এন্ড পার্কের দ্য আর্ট প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব। বাংলাদেশ ও বিলেতের স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং তার স্বত্বাধিকারীসহ আনেক স্বনামধন্য শিল্পী, সাহিত্যিকগণের অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমরা আশাকরি সকল শ্রেণীর সাহিত্যমোদি মানুষজন এই মেলায় অংশগ্রহণ করবেন, মেতে উঠবেন বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির উৎসবে।
একই সাথে উল্লেখ করার মতো একটি বিষয় যে, সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পষিদের উদ্দ্যোগে অনুষ্টিতব্য এবারের বইমেলা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ১০টির উপরে প্রকাশনা সংস্থা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বইসহ স্বত্তাধিকারীগণ উপস্থিত থাকবেন। আরও আনন্দের বিষয় যে, বাংলা একাডেমির মতো এখন লন্ডন বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন লেখকদের নতুন নতুন বইও প্রকাশ হচ্ছে। আর এবার লন্ডন বইমেলাকে কেন্দ্র করে লেখকদের নতুন বই প্রকাশের সংখ্যা এ পর্যন্ত ১৫টি ছাড়িয়েছে।
১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবি ও সোমবার দুই দিনব্যপী অনুষ্ঠিতব্য এই বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব প্রতিদিন বিকাল ১-৩০ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।