জুয়েল রাজ-
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনছে সরকার। বিদেশি অপরাধীদের দ্রুত বহিষ্কারের জন্য ‘ডিপোর্ট নাও, আপিল লেটার’ (এখনই বহিষ্কার, পরে আপিল) নীতি প্রায় তিনগুণ সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
আগে এই নীতি মাত্র ৮টি দেশের জন্য কার্যকর ছিল। এখন থেকে মোট ২৩টি দেশের নাগরিক এর আওতায় পড়বে। অর্থাৎ, এই দেশগুলোর কেউ যুক্তরাজ্যে অপরাধ করে মানবাধিকার ভিত্তিক দাবি প্রত্যাখ্যাত হলে, তারা আপিল শুরু হওয়ার আগেই নিজ দেশে ফেরত যাবেন। আপিলের শুনানি হবে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে নিজ দেশ থেকেই।
এই উদ্যোগের ফলে অপরাধীরা আর বছরের পর বছর যুক্তরাজ্যে থেকে আইনি প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে পারবে না। এতে করদাতার অর্থ সাশ্রয় হবে, জেলখানার চাপ কমবে, আর সড়ক হবে নিরাপদ।
সরকারি হিসাব বলছে, শুধু জুলাই ২০২৪ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫,২০০ বিদেশি অপরাধী ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ৩৫,০০০ অবৈধভাবে থাকা মানুষ দেশে ফেরত গেছেন, অবৈধ কর্মসংস্থান বিরোধী অভিযানে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, আর আশ্রয় মামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ বেড়েছে ১১৬ শতাংশ।
হোম সেক্রেটারি ইয়েভেট কুপার বলেন, “অনেকদিন ধরে বিদেশি অপরাধীরা আমাদের অভিবাসন আইনের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে থেকে গেছে। এবার সেই সুযোগ শেষ। আমাদের দেশে যারা অপরাধ করবে, তারা আইন এড়িয়ে যেতে পারবে না।”
ফরেন সেক্রেটারি ডেভিড ল্যামি জানান, “আমরা আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা বাড়াচ্ছি, যাতে অপরাধীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো যায়। চাইলে তারা নিরাপদে নিজ দেশ থেকেই আপিল করতে পারবে।”
কোন কোন দেশ এই তালিকায়
পুরনো ৮টি দেশ: ফিনল্যান্ড, নাইজেরিয়া, এস্তোনিয়া, আলবেনিয়া, বেলিজ, মরিশাস, তানজানিয়া, কোসোভো।
নতুন যুক্ত ১৫টি দেশ: ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, অ্যাংগোলা, বতসোয়ানা, ব্রুনাই, বুলগেরিয়া, গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাটভিয়া, লেবানন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, জাম্বিয়া।
বাংলাদেশ এই তালিকায় নেই। তবে সরকার জানিয়েছে, আরও দেশকে এ নীতির আওতায় আনার জন্য আলোচনা চলছে।