৫ আগস্ট আন্দোলনে নিখোঁজ কিশোরকে উদ্ধার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ কিশোর মো. জিহাদকে (১৪) ৭০ দিন পর গাজীপুরের টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা-বাবার ওপর রাগ করে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে ওই হোটেলে কাজ করছিল সে। এর আগে জিহাদের নিখোঁজের ঘটনায় ১৮ আগস্ট আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা মো. বেলাল হোসেন।

সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে জিরাবোর বাসা থেকে জিহাদ ও তার বোন ফাতেমা (২) নিখোঁজ হয়।

পরে খোজাখুজি করে পাশের এক বাসায় শিশুকন্যা ফাতেমাকে খুঁজে পেলেও জিহাদকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট মা-বাবার ওপর রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায় জিহাদ। সে পরিবারের সঙ্গে সাভারের ইয়ারপুর ইউনিয়নের জিরাবো এলাকার ভাড়া বাসায় থাকত। নিখোঁজের রাতে সে আশুলিয়া এলাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করে।

পরদিন টঙ্গী রেলস্টেশনের ভাই-ভাই হোটেলে এক ব্যক্তির সহযোগিতায় কাজ শুরু করে। নিখোঁজের পরদিন তার সঙ্গে থাকা মুঠোফোনটি চুরি হয়ে যায়। পরে খোয়া যাওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জিহাদকে উদ্ধার করা হয়। 

জিহাদের বাবা মো. বেলাল হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে জিহাদ বাসা থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর হাসপাতাল, থানা, মর্গসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে পাননি। দেয়ালে পোস্টারিং করেছি। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা অলক কুমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টঙ্গী থেকে তাকে উদ্ধার করে দেয়। 

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ অলক কুমার দে বলেন, ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন ও সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নিখোঁজ জিহাদের বাবা-মা তাদের সন্তানকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। থানায় জিডি করার পর একাধিক কর্মকর্তা জিহাদকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।

সর্বশেষ তাকে দায়িত্ব দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টঙ্গীর একটি হোটেলে কাজ করা অবস্থায় জিহাদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। 
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

আরো পড়ুন

সর্বশেষ খবর

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১