ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রার্থীদের বিজয় আসবে তো ?
জুয়েল রাজ –
রাত পোহালেই যুক্তরাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন। কনজার্ভেটিভ পার্টির দীর্ঘ ১৪ বছরের শাসনের অবসান হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন জরীপে বলা হচ্ছে। যদি ও ভোটের ফলাফলের আগে এখনো চূড়ান্ত ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
প্রায় দেড় মাসের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে দেশজুড়ে কাল সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এই নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টিসহ ছোট–বড় অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে।
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগে গত ২২ মে আকস্মিক আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যদিও ২ মে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনের পর লেবার পার্টি জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। নির্বাচনে প্রধান দলগুলো জনমত নিজেদের দিকে টানতে চলমান সমস্যার সমাধানে ও সুসংহত যুক্তরাজ্য গড়ে তুলতে নির্বাচনী ইশতেহারে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিয়ার স্টারমার নাকী ঋষি সুনাক কে ফিরবেন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে? একদিন পরেই জানা যাবে চূড়ান্ত ফলাফল।
ব্রেক্সিট–পরবর্তী সময় থেকে যুক্তরাজ্যের ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন সমস্যাসহ সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবারের নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে। পাশাপাশি ফিলস্তিনে ইসরাইলি হামলার ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থান ও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জনমত জরীপে এগিয়ে থাকা , লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার তাঁর প্রচারনায় বলে আসছেন, ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতি পুনর্গঠন, স্বাস্থ্যসেবাকে গতিশীল করা, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, স্কুলগুলোতে আরও শিক্ষক নিয়োগসহ অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা না পাঠিয়ে নিজ নিজ দেশে পাঠাবেন। স্টারমার কনজারভেটিভ পার্টির টানা ১৪ বছরের ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি’ থেকে দেশকে পুনর্গঠনের জন্য ৪ জুলাই লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে জনমতকে পাত্তা না দিয়ে আবারো বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ঋষি সুনাক, বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋষি সুনাক বলেন, লেবার পার্টির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলা হলেও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি একদম হাল ছেড়ে দেননি। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে লেবার পার্টির কাছে আত্মসমর্পণ না করতে বলেছেন।
বাংলাদেশী প্রার্থীদের অবস্থান –
হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২০২৪ সালের নির্বাচনে ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেখানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ৯ জন নারী প্রার্থী সহ মোট ৩৪ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যাদের মধ্যে গত নির্বাচনে বিজয়ী ৪ নারী, রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক , রূপা হক, আফসানা বেগম এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এই চার জনের বিজয়ের সম্ভাবনা এবার ও উজ্জ্বল। যদি ও লেবার নেতার বাংলাদেশ সম্পর্কিত একটি বিতর্কিত বক্তব্যকে ঘিরে ব্রিটিশ বাংলাদেশী ভোটারদের লেবার দলের প্রতি বিক্ষুব্দ করে তুলেছে। যার প্রভাব বাঙালি অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকার দুই প্রার্থী রুশনারা আলী ও আফসানা বেগম কে বেশ প্রতিযোগীতার মুখে ফেলে দিয়েছে।
মূলত, ডেইলি সানের ইলেকশন শো-ডাউন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। সেসময় একজন অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে তার অবস্থান জানতে চান।
জবাবের একপর্যায়ে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে টেনে স্টার্মার বলেন, “যারা বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে এদেশে এসেছেন, তাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে। কয়েকটি দেশের মানুষের এখানে আসা বন্ধ করতে পারি আমরা।”
রুয়ান্ডা অ্যাসাইলাম প্ল্যানকে ‘ব্যয়বহুল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে দেশ থেকে তারা এসেছেন, সেখানেই তাদের ফেরত পাঠানো হবে। আমি নিশ্চিত করব সেটা।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে রুয়ান্ডা অ্যাসাইলাম প্ল্যান নামের একটি অভিবাসন নীতি প্রস্তাব করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে না রেখে পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পুনর্বাসনের জন্য স্থানান্তর করা হবে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যে বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন স্টারমার তার সাথে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা সম্পর্কহীন। এই নৌকায় আসা অবৈধ অভিবাসীর তালিকায় ২০ নাম্বারে ও নাম নেই বাংলাদেশের।
এর বাইরে গত এক দশকে ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়া এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
এই আবেদনকারীদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছেন পাকিস্তানি নাগরিকরা। প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ পাকিস্তানি আশ্রয় প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন। তারপরই বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতীয় ৭,৪০০ জন, নাইজেরীয় ৬,৬০০ জন এবং আফগানিস্তান থেকে যাওয়া ৬,০০০ জন রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনারের পক্ষ থেকে ও বলা যায় , কূটনৈতিক ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন , স্টারমারের বক্তব্যের।
যদি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়া মাত্রই তোপের মুখে এর ব্যাখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে মি. স্টারমার।যেখানে তিনি বলেছেন, “আমি কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। আপনারা যে আমার কথায় কষ্ট পেয়েছেন এনিয়ে আমি উদ্বিগ্ন”। এবং বারবার বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি কমিউনিটির সাথে তার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করছেন। প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি এম পি হিসাবে বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে তার সফর শুরু হয়েছিল বলে ও জানান।
কিন্তু এর আগেই দলীয় নেতার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় লেবার পার্টির টাওয়ার হ্যামলেটস-এর ডেপুটি লিডার ও কাউন্সিলর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবিনা আখতার লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
নিজের এক্স একাউন্টে পদত্যাগের কথা জানিয়ে সাবিনা আক্তার বলেছেন, “দলের নেতা যখন আমার কমিউনিটিকে আলাদা করে এবং আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারিনা।’
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লেবার পার্টির নির্বাচনী প্রার্থী আপসানা বেগমও। এক ভিডিও বার্তায় আপসানা বেগম বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমি যতদিন আছি, অভিবাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দোষারোপ সহ্য করব না। আমাদের বাংলাদেশি সম্প্রদায় ১৯৭৮ সালে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনে ইস্ট লন্ডনে ২৫ বছর বয়সী আলতাব আলী নিহত হন।
“তখন আমাদের স্লোগান ছিল- ‘আমরা এখানে ছিলাম, আমরা এখানে থাকব’। আপনারা আমাকে ভোট দিলে শক্তিশালী আওয়াজের জন্য ভোট দিচ্ছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন। যিনি সংসদে গিয়ে যেকোনও উপায়ে আমাদের অভিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার এবং সম্মান রক্ষা করবে।”
টানা চারবার নির্বাচিত এমপি রুশনারা আলী তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন “কোনও দেশকে এভাবে এককভাবে বলা ঠিক নয়। এটা ভুল হয়েছে। আমি আমার নেতাদের জানিয়েছি, এভাবে এককভাবে বললে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।”
কিন্তু তবু ও থামছে না প্রতিবাদ বাংলাদেশীদের দাবী প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে স্টারমারকে। শুধু বাঙালি নয় ব্রিটিশ মুল ধারার গণ মাধ্যমে ও ব্যাপক ভাবে চর্চিত হচ্ছে বিষয়টি। বিষয়টি নির্বাচনকে কতোটা প্রভাবিত করবে তা জানা যাবে আগামীকালের ফলাফলের উপর। বাংলাদেশী প্রার্থীদের
যদিও অধিকাংশই হয়তো জামানত হারাবেন । তবু আশার আলো হচ্ছে মূলধারার রাজনীতিতে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের অংশ গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে,। স্বয়ং লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের সাথ প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন।
লেবার পার্টি থেকে প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন রোশনারা আলী এর পর টিউলিপ সিদ্দিক ও রুপা হক। সর্বশেষ আফসানা সহ মোট চারজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি পায় যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশীরা। এবং সবাই নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টি থেকেই। এবং ধারণা করা হচ্ছে সব ঠিকঠাক থাকলে এবারের নির্বাচনে সেই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে । ধারণা করা হচ্ছে আর ও দুই নারী প্রার্থী রুমী আশরাফ ও রুফিয়া চৌধুরী ও বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন। এবং জনমনে ধারণা নির্বাচনে লেবার দল সরকার গঠন করলে রুশনারা আলী ও টিউলিপ সিদ্দিক নির্বাচিত হলে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথমাবারের মত মন্ত্রী পেতে যাচ্ছে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি।
যারা হতে পারেন বিজয়ী –
রুশনারা আলী: রুশনারা আলী যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি। লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ২০১০ সাল থেকে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০১০ থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রুশনারা আলী। এরপর তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবরে ছায়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। রুশনারা আলীর জন্ম সিলেটে। তিনি অক্সফোর্ডের সেন্ট জনস কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
টিউলিপ সিদ্দিক: টিউলিপ সিদ্দিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার মেয়ে। তিনি টানা তিনবারের এমপি। ২০১৫ সালে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার, নারী ও সমতা নির্বাচন কমিটির সদস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন। তিনি হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্নে এলাকার স্কুলে পড়েছেন ও কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।
রুপা হক: পুরো নাম, রাবেয়া রুপা আশা হক। কিন্তু রূপা হক নামেই পরিচিত। তিনি লেবার পার্টির মনোনয়নে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। এরপর টানা তিনবার তিনি পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেবার পার্টির ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রুপা আশা হক। তাকে সর্বদলীয় সংসদীয় মিউজিক গ্রুপের ভাইস চেয়ার এবং ক্রসরেলের সর্বদলীয় সংসদীয় পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। বার্মিংহামের কুইনস শার্লটস হসপিটালে জন্ম হয় রূপা হকের। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৯ সালে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
আফসানা বেগম: আফসানা বেগম পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এমপি আফসানা বেগম। তার আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে।
রুমী চৌধুরী: রুমী চৌধুরী এবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের লন্ডন থেকে ৩০ মেইল উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে লিয়া নদীর তীরে ও বেডফোর্ডশায়ারে অবস্থিত লুটন কাউন্সিল থেকে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
রুফিয়া আশরাফ: ব্রিটিশ বাংলাদেশি রুফিয়া আশরাফ নর্থাম্পটন টাউন কাউন্সিলের মেয়র ও কাউন্সিলর। তিনি প্রথম লেবার পার্টির মনোনয়নে সাউথ নর্থাম্পটন আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। রুফিয়া আশরাফের বাবার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায়। তার স্বামী আবু তাহের মোহাম্মদ আশরাফ সিলেটের সাবেক মেয়র আ ফ ম কামালের ছোট ভাই।